১. কফি
শরীরচর্চার এক ঘণ্টা আগে কফি খেতে পারেন। তাতে আপনি চনমনে হয়ে উঠবেন। শরীরচর্চার সময় হয়ে এলে আলস্য জেঁকে বসার সুযোগ পাবে না। তবে শরীরচর্চার সময়টা যদি হয় রাত, সে ক্ষেত্রে আবার এই কফিতে আপনার ঘুমের বারোটা বাজতে পারে। আবার ভোরবেলায় যদি শরীরচর্চা করার অভ্যাস করতে চান, সে ক্ষেত্রে খালি পেটে কফি খাওয়ার ফলে আপনি অ্যাসিডিটিতে ভুগতে পারেন। তাই সকালে বা রাতে ব্যায়াম করতে চাইলে ব্যায়ামের ঘণ্টা খানেক আগে ফলের রস বা বিটরুটের রস খেতে পারেন। অন্য কিছু না হলেও ব্যায়ামের ঘণ্টা খানেক আগে নিদেনপক্ষে খানিকটা পানি খেয়ে নেওয়া ভালো।
২. শেষ বিকেলে ব্যায়াম করুন
শেষ বিকেলে আমাদের শরীর খানিকটা উষ্ণ হয়ে ওঠে। তাই এই সময়ে ব্যায়ামের জন্য ‘ওয়ার্ম আপ’ করা সহজ। ফলে এই সময়ের ব্যায়ামে নিয়মিত হয়ে ওঠাও তুলনামূলক সুবিধাজনক। কাজে যাওয়া বা সন্তানকে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার তাড়া না থাকায় এই সময়টাকে কাজে লাগানো অনেকের পক্ষেই সম্ভব।
৩. শরীরচর্চায় সঙ্গী
ব্যায়ামের সময় একজন সঙ্গী থাকলে ব্যায়ামে উৎসাহ পাবেন। জীবনসঙ্গীকে নিয়েও ব্যায়াম করতে পারেন। বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যকেও সঙ্গে নিতে পারেন। বন্ধু, প্রতিবেশী কিংবা সমমনা যে কাউকেই বেছে নিতে পারেন ব্যায়ামের সঙ্গী হিসেবে।
৪. পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনুন
ব্যায়ামের সময় পছন্দের অডিও ক্লিপ শুনতে পারেন। এসব অডিও আপনি অন্য সময়ও নিশ্চয়ই শুনতে পারবেন। কিন্তু আপনি নিজের সঙ্গে একটা চুক্তি করে নিতে পারেন। চুক্তি অনুযায়ী কিছু অডিও আপনি কেবল ব্যায়ামের সময়ই শুনবেন। কিংবা যদি আপনি ব্যায়ামটা করতে পারেন, কেবল তারপরই শুনবেন। চুক্তির ঝামেলায় না গিয়েও অবশ্য আপনি অডিও ক্লিপ কাজে লাগাতে পারেন। চমৎকার কিছু অডিওর তালে ব্যায়াম করাটা এমনিতেই উপভোগ্য হতে পারে আপনার জন্য।
৫. নিজেকে অন্যভাবেও পুরস্কৃত করুন
সপ্তাহে যতটা শরীরচর্চা করা আপনার লক্ষ্য, তা পূরণ করতে পারলে নিজেকে পুরস্কৃত করতে পারেন। সপ্তাহান্তে নিজের পছন্দের কাজে খানিকটা বাড়তি সময় দেওয়াই হতে পারে নিজের পুরস্কার। মাসজুড়ে ঠিকঠাক শরীরচর্চা করতে পারলে মাস গেলে নিজের জন্য একটা বই কিংবা শখের অন্যান্য টুকিটাকি জিনিস কিনতে পারেন।
সূত্র: লিভস্ট্রং ডটকম
No comments:
Post a Comment