রব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররিয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিন ওয়াজ’আলনা লিলমুত্তাকীনা ইমামা।
“হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।”
হাবলানা: আমাদের দান করো
মিন আজওয়াজিনা: আমাদের স্ত্রীদের থেকে
ওয়া জুররিয়্যাতিনা: এবং আমাদের সন্তানদের থেকে
কুররাতা আয়ুনিন: আমাদের চোখের সান্ত্বনা
ওয়াজ’আলনা লিলমুত্তাকীনা ইমামা: এবং আমাদের মুত্তাকীদের নেতা করো
দু‘আর উপকারিতা
এই দু‘আ পড়ার অনেক আধ্যাত্মিক এবং ব্যবহারিক উপকারিতা রয়েছে:
১. আধ্যাত্মিক শান্তি: নিয়মিত এই দু‘আ পাঠ আধ্যাত্মিক জীবনে শান্তি এবং প্রশান্তি বয়ে আনে।
২. পারিবারিক সাদৃশ্য: এই দোয়া পরিবারে প্রেম ও বোঝাপড়া প্রচার করে। সৎ জীবনসঙ্গী এবং সন্তানের জন্য প্রার্থনা একটি সাদৃশ্যপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবার তৈরি করতে সহায়ক।
৩. সৎ সন্তান: সন্তানদের জন্য যারা গর্ব এবং আনন্দের উৎস, এই দোয়ার একটি উল্লেখযোগ্য উপকারিতা। এটি পরিবারে ধার্মিকতা এবং সচ্চরিত্রতা বাড়াতে উৎসাহিত করে।
৪. ধার্মিকতা এবং নেতৃত্ব: মুত্তাকীদের নেতা হওয়ার জন্য প্রার্থনা করা, ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে উদাহরণ হতে উৎসাহিত করে।
৫. বৈবাহিক সম্পর্কের দৃঢ়তা: এই দু‘আ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, যাতে জীবনসঙ্গী সান্ত্বনা এবং সুখের উৎস হয়।
দু‘আ পড়ার সর্বোত্তম সময়
এই দু‘আ যে কোনো সময়ে পড়া যেতে পারে, তবে কিছু মুহূর্ত এর গুরুত্ব বাড়াতে পারে:
নামাজের সময়: বিশেষত সেজদায় বা তাশাহহুদের পরে। এই মুহূর্তগুলোতে একজনের প্রার্থনা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ফজর এবং ইশা নামাজের পরে: এই সময়গুলো আধ্যাত্মিকভাবে ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়।
বিশেষ উপলক্ষে: যেমন বিবাহ, সন্তানের জন্ম, বা পারিবারিক জমায়েতের সময়।
“রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা” দু‘আ কুরআনের একটি গভীর প্রার্থনা যা সুখী, সৎ এবং সাদৃশ্যপূর্ণ পারিবারিক জীবনের জন্য আল্লাহর আশীর্বাদ কামনা করে। এর অর্থ বুঝা এবং দৈনিক প্রার্থনায় অন্তর্ভুক্ত করা একটি আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ পারিবারিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিটি শব্দ বিশ্লেষণ করে, আমরা এর গভীরতা এবং গুরুত্ব উপলব্ধি করি, যা আমাদের পারিবারিক সম্পর্কের সব দিকেই আল্লাহর নির্দেশনা প্রার্থনা করতে উৎসাহিত করে।
No comments:
Post a Comment