একবার এক ভিখারির মতো রুগ্ণ, নোংরা, খোঁড়া একটা কুকুর মরুভূমির প্রান্তে এসে পড়ে। সে ছিল একেবারে একা, সমাজ থেকে বিতাড়িত। গায়ের লোম পড়ে গেছে, গায়ে ঘা, কাঁদতে কাঁদতে চিতকার করছিল।
তাকে দেখে পথচারীরা ঘৃণাভরে পাথর ছুঁড়ছিল। তারা বলছিল, “এই জানোয়ার মরলেই ভালো! আল্লাহ তো এমন জীবকে সৃষ্টি করে ভুলই করেছেন!”
কুকুরটি কাঁদতে কাঁদতে বলল:
“হে প্রভু! তুমি যদি আমাকে ত্যাগ করো, তাহলে আমার আর কে আছে? তুমি যদি বলো, ‘তুই অযোগ্য’, তাহলে এই অযোগ্যতাটা কি তোমারই দেওয়া না?”
“আমি ঘৃণিত, আমি অপবিত্র, আমি সবার কাছে তুচ্ছ। তবু আমি জানি, আমার ডাক শোনার কেউ একজন আছে—সে তুমি। যদি তুমিও আমাকে ত্যাগ করো, তবে তোমার করুণার রূপ কোথায় প্রকাশ পাবে?”
এমন মুহূর্তে কুকুরটির কানে এক নিঃশব্দ কণ্ঠ ধ্বনিত হলো—
“তোমার এই স্বীকারোক্তিই তোমার পরিত্রাণ।
তুমি নিজেকে অপবিত্র বলেছো, এটাই তোমাকে পবিত্র করেছে।
তুমি নিজেকে তুচ্ছ বলেছো, এটাই তোমাকে মহিমান্বিত করেছে।
কারণ আমি কেবল তাদেরই ভালোবাসি, যারা নিজের ভুল ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানে।”
উতস: জালালুদ্দিন রূমী
No comments:
Post a Comment