একটি টেবিল ক্লথের বিশেষ লেখা ও আমার “নম্রতা”
অনুসন্ধানী মন
টেবিল ক্লথের মূল কথা “নম্র যারা, ভদ্র তারা।”
আমার গ্রামের নাম
শিকারপুর। বগুড়া সদর উপজেলায় অবস্থিত এটি। গ্রামটি ঐতিহ্যবাহী। গ্রামের অন্যতম
একটি ঐতিহ্য হলো আমাদের গ্রামের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে- ফুটবল প্রেমী। জেলার
বিভিন্ন এলাকা থেকে দামী ক্লাবের ফুটবলাররা আমাদের গ্রামের মাঠে খেলেছেন, আমাদের
আমোদিত করেছেন। কোন ফুটবল খেলার ফাইন্যালের সময় আশপাশের দু-চার গ্রামে হৈচৈ পড়ে
যেতো। বহু মানুষ আসতো শিকারপুরের নাপিতের আড়ার মাঠে ফুটবলের ফাইন্যাল খেলা দেখতে।
আমারও নেশার কমতি ছিলনা। আমার বড় ভাই, মেজ ভাই আর আমি তিনজনই গ্রামের চাঁদতারা
ক্লাবের খেলোয়াড় ছিলাম। আমি সবসময় ডিফেন্সে খেলতাম। মেজদা আর বড় ভাই সেন্টার
ফরওয়ার্ডে। খেলায় আমাদের তিন ভাইয়ের সূনাম ছিল। আর আমরা পন্ডিত পাড়ার ছেলে সেটা
আমাদের জন্য ছিল বাড়তি সূনাম। ফাইন্যাল খেলায় চ্যাম্পিয়ন হতো আর যে দল রানার-আপ
হতো- তাদেরকে পুরস্কারে ভূষিত করা হতো খেলা শেষের অনুষ্ঠানে। সেই অনুষ্ঠানে আনা
হতো একটি বিশেষ ধরনের টেবিল আর একটি সাদা টেবিল ক্লথ যা আসতো আমার আবদুল হামিদ
চাচার বাড়ী থেকে আর উনি ছিলেন আব্বার চাচাতো ভাই। আবদুল হামিদ চাচা খেলার শেষ
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করতেন। তিনি ছিলেন পন্ডিত মানুষ। চাচার বাড়ী থেকে আনা টেবিল
ক্লথটিতে লেখা ছিল, “নম্র যারা, ভদ্র তারা” -আজকের লেখার উপজীব্য
“নম্র যারা, ভদ্র তারা”
-কথাগুলো মনের ভেতরে রেখে দিলাম। ৮ম শ্রেণির ছাত্র আমি তখন। খুঁজতে থাকলাম এতে কী
বলা হলো আর বাস্তব জীবনে এর মূল্যই বা কী? বলা বহুল্য, আবদুল হামিদ চাচাকে কখনোই
জিজ্ঞেস করা হয়নি একথাগুলোর মানে কি। চাচাতো বোনদের কেউ একজন সূঁই-সুতোর ফোঁড় দিয়ে
দিয়ে কথাগুলো লিখেছিল তাদেরকেও জিজ্ঞেস করা হয়নি। কিন্তু আমার অনুসন্ধানী মন থেমে থাকেনি।
অনেকদিন পর “নম্র যারা,
ভদ্র তারা” এ কথাগুলোর খোঁজে নামলাম।
নম্রতা কি?
১. নম্রতা একটি মানবীয়
গুণ। নম্রতা—এমন এক গুণ যা শান্তি বাড়ায়
২. নম্রতা এক দৃঢ়তা
৩. নম্রতা উত্তম চরিত্রের ভূষণ
৪. মানুষের জীবনে যত উত্তম গুণাবলী রয়েছে তার মধ্যে উত্তম গুণ হলো- বিনয় ও নম্রতা।
৫. বিনয় ও নম্রতা উত্তম চরিত্রের ভূষণ।
৬. আল্লাহ স্বয়ং নম্র, তাই তিনি নম্রতাকে ভালোবাসেন।
৭. বিনয়
ও নম্রতা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ
৮. মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত। বহুধা গুণের সমন্বয়ে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব। তন্মধ্যে
বিনয় ও নম্রতার হার সিংহভাগ।
৯. মানুষের অন্যতম সুকুমার ভূষণ হলো-বিনয় ও নম্রতা।
১০. ব্যক্তিজীবনে যে যতো বিনয়ী ও নম্র, সে তত বেশি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।
১১. বিনয়গুণ দিয়ে অন্যের চোখে বপন করা যায় ভালোবাসার বীজ।
১২. বিনয় ও নম্রতা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা ও ইহ-পারলৌকিক মুক্তির মহৌষধ।
১৩. মন্দকে প্রতিহত করতে হয় বিনয় ও নম্রতা দ্বারা
১৪. বিনয় ও নম্রতা মানুষকে উচ্চাসনে সমাসীন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করতে সহায়তা
করে।
১৫. নম্রতা মানুষকে প্রকৃত মানুষ বানিয়ে দেয় নম্রতার গুরুত্বপূর্ণ পথ অবলম্বন করা ছাড়া মানুষ তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে সক্ষম হয়না।
১৬. ‘যাকে নম্রতার কিছু অংশ প্রদান করা হয়েছে, তাকে দুনিয়া ও আখেরাতের বিরাট
কল্যাণের অংশ প্রদান করা হয়েছে। আর যাকে সেই নম্রতা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে দুনিয়া
ও আখেরাতের বিরাট কল্যাণ হ’তে বঞ্চিত করা হয়েছে’। [তিরমিযী হা/২০১৩; মিশকাত হা/৫০৭৬]
১৭. বিনয়ীকে মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। যে যত বেশী বিনয়ী ও নম্র হয় সে
তত বেশী উন্নতি লাভ করতে পারে।
১৮. নম্র মানুষ সরল ও ভদ্র হয়।
১৯. INNA AKRAMAKUM 'INDAL LAAHI ATQAAKUM
তোমাদের
মধ্যে যে অধিক পরহেজগার সে-ই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদার অধিকারী৷ - সূরা
আল হুজুরাত, ১৩ আয়াতাংশ
২০. বিনয়ং বশীকৃতং ভবেত -বিনয় দিয়ে জগত বশীভুত করা যায়।
২১. "আমার মধ্যে আরেকটু বিনয় থাকলেই আমি
বিশুদ্ধ হয়ে যেতাম।" - টেড টার্নার
(মার্কিন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব)
২২. "বিনয়ের অধিষ্ঠান সৌন্দর্যের বেদীতে।" - ডেমাডেস
(এথেনীয় বক্তা)
২৩. আল্লাহ কর্তৃক বিনয়ীদের প্রশংসা:
‘দয়াময় আল্লাহর বান্দা তো তারাই, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে
চলাফেরা করে এবং তাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে তখন তারা বলে ‘সালাম’। আর
যারা রাত্রি অতিবাহিত করে পালনকর্তার উদ্দেশ্যে সিজদাবনত থেকে ও দন্ডায়মান হয়ে এবং
যারা বলে, হে আমার প্রতিপালক! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত কর, নিশ্চয়ই
এর শাস্তি নিশ্চিত বিনাশ। নিশ্চয়ই তা অবস্থান ও আবাসস্থল হিসাবে অত্যন্ত নিকৃষ্ট’
(ফুরক্বান ২৫/৬৩-৬৬)।
২৪. ‘মুমিন ব্যক্তি নম্র ও ভদ্র হয়। পক্ষান্তরে অভদ্র মানুষ
ধূর্ত ও চরিত্রহীন হয়’। [তিরমিযী হা/১৯৬৪; মিশকাত হা/৫০৮৫।]
নম্রতা, বিনয় বা সহনশীলতার ইংরেজী হলো রিজিলিয়্যান্স।
এর সংজ্ঞা টানতে গিয়ে Mayo Clinic-এর ব্যবস্থাপন পরিচালক মি. অমিত সূধ বলেছেন Resilience is “the core strength
you use to lift the load of life.” মানে
হলো জীবনের ভার বইবার জন্য মানুষ তার যে মূল শক্তিকে ব্যবহার করে সেটাই রিজিলিয়েন্স
বা নম্রতা।
রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার জন্য মানুষের ৭টি ‘C’র
বিশেষ দরকারঃ
·
1. Competence: যে কোন বিরূপ অবস্থার ধকল সামলানোর সক্ষমতা
·
2. Confidence: আত্ম-বিশ্বfস ছাড়া রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার সন্ধান মিলবে
না
·
3. Connection: রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার খোঁজ পেতে হলে পারিবারিক কানেকশান
খুবই দরকারী অনুসঙ্গ
·
4. Character: রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার কাছে যেতে হলে চরিত্র অবশ্যই উন্নত
হতে হবে
·
5. Contribution: রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার কাছে যেতে হলে সমাজে মানুষের অবদান
রাখতে হবেই
·
6. Coping: রিজিলিয়্যান্স বা নম্রতার কাছে যেতে হলে বন্ধুর পথ অতিক্রম
করতে হবে
·
7. Control: রিজিলিয়েন্স বা নম্রতার কাছে যেতে হলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রন
চাই
প্রকৃতিতে “নম্রতা” মিলবে?
প্রাণিবিজ্ঞানী
হিসেবে আমাকে প্রকৃতির সাথে থাকতেই হয়েছে বা হচ্ছে এখনো। গ্রাম-বাংলার ছেলে হিসেবে
তো বটেই। সু-স্নাতক শ্রেণিতে পড়ার সময় আমি প্রকৃতি বিজ্ঞানী আগাসীজের কথা পড়েছিলাম।
তিনি বলেছিলেন, “প্রকৃতি থেকে শেখো, প্রস্তক থেকে নয়।” এ কথাগুলো সামনে রেখে ১৯৭৬এ
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের সময় আমরা একটা ব্যানার তৈরী করেছিলাম।
খুঁজতে
খুঁজতে এক সময় মিলেই গেলো যে প্রকৃতিতে নম্রতা রয়েছে। জীব জগতের সব জীবই নম্র ও সহনশীল
এমনকি হিংস্র প্রাণীটিও। বহু হিংস্র পশু মানুষের পোষ মেনেছে এগুলো আমরা প্রায়ই বিভিন্ন
ভিডিওতে দেখি। বৃক্ষ লতাদির ভেতরেও অনেক সহনশীলতা রয়েছে। তবে দৃশ্যমান সহনশীলতা রয়েছে
ঘাসের মধ্যে। একথা শুনতে একটু অবাক লাগে বৈকি। হ্যাঁ। আমি বাঁশের কথা বলছি। সেটাই দুনিয়ার
সবচেয়ে বড় ঘাস। বৃক্ষ লতাদির মধ্যে একমাত্র বাঁশই সবচেয়ে বেশী নম্র বা সহনশীল বা রিজিলিয়েন্ট।
কবিতায়
পড়েছি-
“লাঠি হোক কাঠি হোক
হয় হোক বাঁশী
দাদা কন জেনো ঠিক-
বাঁশ তবু ঘাসই।”
অথবা
“বংশে যদি বংশী শুধু
বাজে
বংশ তবে ধ্বংস হবে লাজে;
বংশ নিঃস নহে বিশ্ব
মাঝে-
যেহেতু তা লাগে সবার
কাজে।”
“যেহেতু তা লাগে সবার
কাজে” একথাগুলো মনের ভেতরে নিয়ে গাঁয়ের বাড়ীতে গিয়ে দাদাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমাদের
বাড়ীর উত্তর-পশ্চিম কোণে ৪টি বড় বড় বাঁশ ঝাড় কেন? গ্রামের ভাষায় “বাঁশের থোপ” দেখিয়ে
দাদা বলেছিলেন আমাদের মুনশী সাহেবের প্রশ্নটা যেন কেমন? দাদা আমাকে মুনশী সাহেব বলতেন।
কারণ, আমার নানা ছিলেন শিক্ষক আর মসজিদে ঈমামতি করতেন সেই সুবাদে দাদা মুনশী ডাকতেন
আমাকে। বোধ করি তিনি আমার নানার ছায়া আমার ভেতর ঠাহর করতে পেরেছিলেন। তো দাদা বল্লেন
আমাদের এই গাঁয়ের সব পাড়াতেই তুই দেখবি উত্তর-পশ্চিম কোণে “বাঁশের থোপ”। এর বিশেষ কারণটা
হলো প্রবল বেগে ঝড় হলে এই বাঁশগুলো বুক পেতে দিয়ে আমাদের ৫০ বা কোন কোন সময় ১০০ বছরের
পুরোনো মাটির বাড়ীগুলোকে রক্ষা করে। কালবোশেখী বা নরওয়েস্টার যখন আসে তখন সেটা উত্তর-পশ্চিম
কোণ থেকেই আসে। আর ঝড় যখন কালবোশেখী বাঁশ ঝাড়ে ঢোকে তখনই ঝড়ের বেগ হঠাত করেই স্তিমিত
হয়ে যায় বাঁশের বিভিন্ন অবস্থানের কারণে। বাঁশেরা কেউ নুইয়ে থাকে, কেউ আকারে ছোট, কেউ
ডান কাত হয়ে থাকে কেউ বাম কাতে, কেউবা সোঝা -আর কঞ্চির খেলাতো আছেই। আমি হুঁ করে বল্লাম-
বুঝলাম দাদা। আবার দ্যাখ, ৫০-৬০ মাইল বেগে ঝড় হলে ওরা নুইয়ে পড়ে। যেন ঝড়ের সাথে ওদের
অনেক দিনের খেলার সখ্যতা। আসলে কিন্তু বাঁশেরা ঝড়কে ঠেকিয়ে দিচ্ছে। আমি বুঝলাম দাদা
জ্ঞানের ভারী ভারী কথাগুলো বলছে সেই সাথে প্রাকৃতিক বাঁশের নমনীয়তা বা রিজিলিয়েন্স
নিয়ে।
আমরা প্রকৃতির কাছে
কতটা ঋণী তা এই বাঁশের কাছে
শিখলাম দাদার মাধ্যমে। আর বাঁশ আমাকে শেখালো নমনীয়তা। আল্লাহু আকবার।
দাদার কথা শুনে আমার রেড স্যু মূভমেন্ট নামক
লীডারশীপ কোম্পানীর সিইও মিসেস ম্যারিয়েলা দাব্বার কথা মনে হয়েছিল। তিনি বলেছেন,
“প্রতিকূলতার প্রচন্ড কালবোশেখীর তোড়ে উড়ে না গিয়ে দৃঢ়তার সাথে উঠে দাঁড়াও। এটা
হবে তোমার নমনীয়তার সবচে বড় চিহ্ন।”
কবি নজরুলের ভাষায়, “নাচে ওই কালবোশেখী,
কাটাবি কাল বসে কি?”
পজিটিভ সাইকোলজির দুই পন্ডিত মি. কর্ণার ও মি. ডেভিডসন নম্রতা বা সহনশীলতার কতকগুলো স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য
উল্লেখ করেছেন। এগুলো হলোঃ
১. পরিবর্তনকে চ্যালেজ্ঞ হিসেবে নিতে
হবে
২. প্রতিজ্ঞা থাকতে হবে
৩. নিয়ন্ত্রনহীন হলে চলবে না
৪. অন্যের সহায়তা লাগবে
৫. অন্যের সহায়তাটা যেন নিরাপদ হয়
৬. ব্যক্তিক বা সামষ্টিক লক্ষ্য
থাকবে
৭. স্ব-দক্ষতা
৮. ধকল সামলানোর ক্ষমতা
৯. অতীতের সাফল্য সামনে নিতে হবে
১০. বাস্তব অভিজ্ঞতা
১১. রসবোধ থাকতে হবে
১২. লক্ষ্যভেদী অগ্রযাত্রা দরকার
১৩.ধৈর্য
১৪. নেগেটিভ দিক সামলানোর ক্ষমতা
১৫. অভিযোজন বা মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা
১৬. আশাবাদিতা
১৭. পরিপূর্ণ বিশ্বাস
নমনীয়তার নিগূঢ় রহস্য: ব্রুস লী’র কথা
নমনীয়তা বিষয়ে ব্রুস লী’র এই কথাগুলো পড়ে আমি নিজে
“নমনীয়” কি না তা ভাবনার মধ্যে আনতে চেষ্টা করেও পারিনি।
আল্লাহ আল কুরআনের অনেক জায়গায় পানির উদাহরণ কেন
এনেছেন এখন আমার কাছে তা স্পষ্ট হচ্ছে। আর এটাও স্পষ্ট হচ্ছে যে আল্লাহ কেন “ইক্করা”
কথাটি আল কুরআনের প্রথমে এনেছেন।
আল্লাহু আকবার
ব্রুস লী’ বলেছেনঃ
তোমার মনটাকে পয়লা খালি করে ফেলো। তুমি নিজেকে “পানির
মতো” মনে করো যে তোমার নিজের কোন আকার নেই।
এবারঃ
একটি পেয়ালায় পানি ঢাল। পানিটি একটি পেয়ালা হলো
একটি বোতলে পানি ঢাল। পানিটি একটি বোতল হলো
একটি টি-পটে পানি ঢাল। পানিটি একটি টি-পট হলো
এখন পানি পেয়ালা থেকে, বোতল থেকে বা টি-পট থেকে
পানি ঢালা যেতে পারে বা স্থানান্তর করা যেতে পারে অথবা পেয়ালা, বোতল বা টি-পট ভাঙলে
পানি বেরিয়ে যেতেও পারে।
তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত পানির মতোঃ
১. আকারবিহীন হওয়া,
২. নমনীয় হওয়া,
৩. সমোচ্চশীলতা বা Equilibrium বজায় রাখা
৪. প্রবাহমান হওয়া
কতটা রিজিলিয়েন্ট বাঁশ? কতটা?
১৯৪৫এ জাপানের হিরোশিমায়
পরমাণু বোমা মেরেছিল আমেরিকা। সব পুড়ে ছারখার! মানবেতিহাসের এক জঘন্যতম অধ্যায় ছিল
সেটি। পরমাণু বোমার আগুনের দাবদাহ মানুষসহ গাছপালা পুড়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল হিরোশিমায়্।
কিন্তু তাজ্জব ব্যাপার!! পোড়েনি একটি বাঁশ ঝাড়!! মাত্র ১ বছর পরে সেই বাঁশ ঝাড়ের রাইজোম
বা মূল থেকে নোতুন বাঁশের চারা গজিয়েছিল।
কী অসাধারন রিজিলিয়েন্স বাঁশের!!
কী অসাধারণ উদাহরণ মানুষের
জন্য আল্লাহর তরফ থেকে!!
আল্লাহু আকবার।
আল্লাহর কাছে মাথা নত না
করে কি পারা যায়?
No comments:
Post a Comment