Friday, July 10, 2020

সু-অভ্যাস

সু-অভ্যাস কেমন হতে পারে তা নীচের কবিতায় পুরোপুরি উঠে এসেছে। কবিতাটি আমাদের সকলের জানা। আমি পড়েছিলাম ১৯৬০এ- “১” ক্লাশে পড়ার সময়্। কত ভালভাবে পড়েছিলাম বুঝতে পারি যার কারণে এখনো আমার ভেতরে তার অনুরণন চলে। চলবে আমৃত্যু।
বেলা ওঠার আগেই নিদ থেকে জাগার পরে ফ্রেশ হয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দিয়ে কিছু সময় থিতু হয়ে বসো। আজকের দিনের রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ-এ সব কিছুই পাবার জন্য আল্লাহকেই পয়লা ধন্যবাদটুকু দাও। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ হও। কারণ আজকে না জাগলে এই দুনিয়ার শোভাটুকু উপভোগ করার সৌভাগ্য কোনভাবেই আসতো না। আজকের সকালে কত মানুষই তো দুনিয়া থেকে চলে গেছে, যাদের খবর তোমার কাছে পৌছেনি। এবার মনের ভেতরে কিছু ভাল ভাল আইডিয়া তৈরী করে নাও। জীবনে ভাল আইডিয়াগুলোর প্রতিফলণ ঘটাবার চেষ্টা করো। কিছু সময় “নীরব” হয়ে যাও। দেখো তোমার মনে ভেতর আজকের দিনের রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ, শব্দ মিশে গেল কি না! এভাবে ভাবলে আল এ অভ্যাস বজায় রইলে দ্বন্দ্ব ও ডিফিকাল্ট সিচুয়েশনগুলো থেকে উত্তরণ ঘটানো সম্ভব। আর এভাবে ভাবলে সারাদিন শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনও সম্ভব।   
আমার পণ
-মদনমোহন তর্কালঙ্কার
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,
এক সাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি।
ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা।
সুখী যেন নাহি হই আর কারো দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দিই ফাঁকি।
ঝগড়া না করি যেন কভু কারো সনে,
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে।

No comments:

Post a Comment