মূল শব্দ হলো “সলম” মানে আত্মসমর্পণ। আত্মসমর্পণ করতে হবে আল্লাহর কাছে। যে আত্মসমর্পণ করে সেই হলো মুসলিম।
মুসলিম অর্থ আত্মসমর্পণকারী ও অনুগত। যে নিজেকে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে সে মুসলিম। যে মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর ঈমান এনে তাঁর শরিয়ত পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ, সে মুসলিম। যে কোরআন-সুন্নাহ মেনে চলে সে মুসলিম। যার মুখ ও হাত থেকে অন্য মানুষ নিরাপদ, সে মুসলিম। যে নামাজ পড়ে, কেবলামুখী হয় এবং মুসলমানদের জবাইকৃত পশু ভক্ষণ করে, সে মুসলিম।
মুসলিম আরবি শব্দ। এর বাংলা পরিভাষা হিসেবে মুসলিম ও মুসলমান দুটি শব্দই সমানভাবে ব্যবহার হয়।
যে দ্বিন হিসেবে ইসলামকে মেনে নেয়, সে মুসলিম। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘নিঃসন্দেহে ইসলামই আল্লাহর একমাত্র মনোনীত দ্বিন।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত: ১৯)
যে হালাল-হারাম মেনে চলে, সে মুসলিম। যে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল পালন করে, সে মুসলিম।
মুসলমান হতে হলে পাপ কাজ করা যায় না। অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা যায় না। অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করা যায় না। এক শ্রেণির মানুষের কাছে সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখা যায় না। মানুষের সম্মান নিয়ে খেলা করা যায় না।
মুসলমান কাউকে নিয়ে উপহাস করে না। দোষারোপ করে না। মন্দ নামে ডাকে না। গোপন দোষ প্রকাশ করে না। গিবত করে না। শত্রুভাব নিয়ে থাকে না।
মুসলমান মানবাধিকার রক্ষায় সচেষ্ট হয়। প্রতিবেশীর খবর নেয়। মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করে। এতিম ও অসহায়ের পাশে দাঁড়ায়।
মুসলমান আদম সন্তান হিসেবে ভেদাভেদ দূর করে। পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে। ভাই ভাই হয়ে থাকে।
মুসলমান জীবনকে গতিশীল করে। জীবনের সব ক্ষেত্রে সংকল্প, ধৈর্য, সততা নিশ্চিত করে। আল্লাহর ওপর ভরসা করে।
মুসলমান সর্বাধিক মানবিক হয়। তাকওয়া, বিনয়-নম্রতা, ধৈর্য-সহিষ্ণুতা, দানশীলতা, আমানতদারি, ন্যায়পরায়ণতা, কর্তব্যপরায়ণতা ইত্যাদি মুসলমানের বিশেষ গুণ।
মুসলমান পরিবার ও সমাজবান্ধব হয়।
মুসলমান জীবনের সব ক্ষেত্রে পরকালীন সাফল্যকে প্রাধান্য দেয়।
মুসলমান তার গোটা জীবন আল্লাহর কাছে সঁপে দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘বলে দাও, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ—সবই বিশ্বজগতের রব আল্লাহর জন্য।’ (সুরা আনআম, আয়াত: ১৬২)
No comments:
Post a Comment