এ নিয়ে নতুন বিতর্ক
শুরু হয়েছে বিজ্ঞানী আর গবেষকদের মধ্যে।
বিবিসির এক
অনুষ্ঠান, “ট্রাস্ট মি, আই অ্যাম এ ডক্টর” সম্প্রতি ঠিক এই প্রশ্নে একটা ছোট্ট
পরীক্ষা চালিয়েছিল।
তার ভিত্তিতে
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ক্লিন শেভড পুরুষের চেয়ে দাড়িওয়ালাদের মুখে রোগ-জীবানু বেশি,
এমন কোন প্রমাণ তারা পাননি।
যারা দাড়ি রাখেন,
তারা এর মধ্যে নানা রোগ-জীবাণু বহন করে চলেছেন এমন ভয় অনেকের মধ্যেই কাজ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি
হাসপাতাল সম্প্রতি এ নিয়ে গবেষণা চালায়।
তাদের গবেষণার ফল
অনেককেই অবাক করেছে।
‘জার্নাল অব হসপিটাল
ইনফেকশনে’ প্রকাশিত এই গবেষণার ফলে বলা হচ্ছে, দাড়িওয়ালাদের চেয়ে বরং দাড়ি
কামানো পুরুষের মুখেই তারা বেশি রোগ-জীবাণু পাওয়া গেছে।
গবেষকরা বলছেন,
মেথিসিলিন-রেসিস্ট্যান্ট স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস (এমআরএসএ) বলে যে জীবাণু
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী, সেটি দাড়িওয়ালাদের চাইতে দাড়ি কামানোদের মুখে
তিনগুণ বেশি মাত্রায় পাওয়া গেছে।
এর কারণ কি?
গবেষকরা বলছেন,
দাড়ি কামাতে গিয়ে মুখের চামড়ায় যে হালকা ঘষা লাগে, তা নাকি ব্যাকটেরিয়ার বাসা
বাঁধার জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
অন্যদিকে দাড়ি নাকি
সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
বিবিসির “ট্রাস্ট
মি, আই অ্যাম এ ডক্টর” অনুষ্ঠানে বেশ কিছু পুরুষের দাড়ি থেকে ব্যাকটেরিয়ার নমূনা
সংগ্রহ করে একই ধরণের পরীক্ষা চালানো হয়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ,
লন্ডনের গবেষক ড: অ্যাডাম রবার্ট এই গবেষণার ফল দেখে বলছেন, দাড়িতে এমন কিছু
‘মাইক্রোব’ আছে, যা ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে সাহায্য করে।
No comments:
Post a Comment