খুলে যাক মানুষের জ্ঞান
রুপান্তরের দিক বিবেচনা করে অনেকসময় জ্ঞানীরা উদাহরণ যে থাকেন যে, “তোমরা নুনের মত হও। যাতে অল্পতেই বোঝা যায় যে পরিবর্তনের জন্য তোমাদের মনের সঠিক উপস্থিতি কতটা দরকার।”
সাগর জলে পানি আর নুনের অনুপাত যেমন, মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি কোষেও পানি আর নুনের অনুপাত ঠিক তেমন। এ এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। (Ref: Grolier Encyclopedia of Knowledge)
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আর দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তিনি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস হলো লবণ।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সাগর দুটি একরূপ নয়। একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অন্যটির পানি লোনা, খর। আর প্রত্যেকটি থেকে তোমরা তাজা গোশত খাও এবং আহরণ করো অলংকার, যা তোমরা পরিধান করো। আর তোমরা দেখো তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা: ফাতির, আয়াত: ১২)
আমরা খাওয়ার জন্য যে লবণ ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই আসে সমুদ্রের লবণ থেকে। সমুদ্র থেকে যে লবণ আনা হয় তা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানি জমা করে রাখা হয় বড় বড় জমিতে। এরপর সেই জমির চারপাশ বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ফেলা হয়। এরপর সূর্যের আলোতে সেই পানি বাষ্প হয়ে গেলে তার নিচে লবণ পড়ে থাকে। পরে আবার সেই লবণ পরিষ্কার করে বাজারে বিক্রয় করা হয়। ইংরেজিতে একে Table Salt বলা হয়। ল্যাটিন শব্দ ‘salārium’ মানে হলো নুন আর স্যালারি মানে বেতন কথাটি এসেছে salārium থেকে। রোমে সৈন্যদের বেতন দেয়া হতো নুন কেনার জন্য। The word salary ultimately derives from an allowance—salārium—paid to Roman soldiers for the purchase of salt.( https://en.wikipedia. org/wiki/History_of_salt )
আয়েশা (রা.) গোশত সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৫৭০)
জীবনের জন্য লবণের গুরুত্ব অপরিসীম। লবণে আছে বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম। সোডিয়াম শরীরের জন্য দরকারি ইলেকট্রোলাইট। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম অপরিশোধিত লবণে পাওয়া যায়। তবে তা গ্রহণ করতে হবে পরিমিত। শরীরে লবণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া দুটিই দেহের জন্য বিপজ্জনক। তাই লবণের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার ব্যাপারটি বেশ সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত তা বলাই বাহুল্য।
হাজার হাজার বছর ধরে লবণ যে শুধু রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে তা কিন্তু নয়। কোনো কোনো ধর্মেও লবণের রয়েছে আলাদা মর্যাদা। জাপানের Shintoয় যেকোনো মানুষ বা স্থানকে পরিশুদ্ধ করতে লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। দা িভিঞ্চির আঁকা “লাষ্ট সাপার” চিত্র কর্মে একটি নুনের পাত্র উল্টে পড়ে আছে দেখা যায়। এটা ছিল সে সময়কার রীতি অনুযায়ী এক অশুভ ঈঙ্গিত (spilling salt was generally considered a bad omen).
লবণ নিয়ে রীতিমতো একটা আন্দোলন হয়েছিল, যেটিকে লবণ আইন অভিযান বা লবণ সত্যাগ্রহ বলা হয়। ইংরেজিতে একে সল্ট মার্চ বলে অভিহিত করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই আন্দোলনের বিশেষ মর্যাদা ছিল। লবণের ওপর ব্রিটিশ সরকার যে কর আরোপ করে তারই প্রতিবাদে এই যাত্রার আয়োজন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ সেদিন সেই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। The Salt March, also known as the Salt Satyagraha, Dandi March and the Dandi Satyagraha, was an act of nonviolent civil disobedience in colonial India led by Mohandas Karamchand Gandhi. The 24-day march lasted from 12 March 1930 to 6 April 1930 as a direct action campaign of tax resistance and nonviolent protest against the British salt monopoly. Ref: https://en.wikipedia.org/ wiki/Salt_March
মহান আল্লাহর এই নিয়ামত পরিমিত ব্যবহারে যেমন খাবার সুস্বাদ করে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষতিকর অনুজীব দমনে এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। রাসুল (সা.) নিজেও ওষুধ হিসেবে লবণ ব্যবহার করেছেন। একবার রাসুল (সা.)-কে নামাজরত অবস্থায় বিচ্ছু কামড় দিলে তিনি কিছু লবণ ও পানি চেয়ে নিলেন এবং তা একটি পাত্রে মেশালেন, অতঃপর অঙ্গুলির দংশিত স্থানে পানি ঢালতে এবং ওই স্থান মুছতে লাগলেন এবং সুরা ফালাক ও নাস দ্বারা ঝাড়তে লাগলেন। (মিশকাত, হাদিস: ৪৫৬৭)
বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ডাক্তাররা লবণপানিতে গড়গড়া কুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর কোটি কোটি নিয়ামত দিয়ে আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহু আকবার। যেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মুমিনের ঈমান আরো দৃঢ় হয়ে যায়।
রুপান্তরের দিক বিবেচনা করে অনেকসময় জ্ঞানীরা উদাহরণ যে থাকেন যে, “তোমরা নুনের মত হও। যাতে অল্পতেই বোঝা যায় যে পরিবর্তনের জন্য তোমাদের মনের সঠিক উপস্থিতি কতটা দরকার।”
সাগর জলে পানি আর নুনের অনুপাত যেমন, মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি কোষেও পানি আর নুনের অনুপাত ঠিক তেমন। এ এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। (Ref: Grolier Encyclopedia of Knowledge)
মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আর দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তিনি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস হলো লবণ।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সাগর দুটি একরূপ নয়। একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অন্যটির পানি লোনা, খর। আর প্রত্যেকটি থেকে তোমরা তাজা গোশত খাও এবং আহরণ করো অলংকার, যা তোমরা পরিধান করো। আর তোমরা দেখো তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা: ফাতির, আয়াত: ১২)
আমরা খাওয়ার জন্য যে লবণ ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই আসে সমুদ্রের লবণ থেকে। সমুদ্র থেকে যে লবণ আনা হয় তা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানি জমা করে রাখা হয় বড় বড় জমিতে। এরপর সেই জমির চারপাশ বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ফেলা হয়। এরপর সূর্যের আলোতে সেই পানি বাষ্প হয়ে গেলে তার নিচে লবণ পড়ে থাকে। পরে আবার সেই লবণ পরিষ্কার করে বাজারে বিক্রয় করা হয়। ইংরেজিতে একে Table Salt বলা হয়। ল্যাটিন শব্দ ‘salārium’ মানে হলো নুন আর স্যালারি মানে বেতন কথাটি এসেছে salārium থেকে। রোমে সৈন্যদের বেতন দেয়া হতো নুন কেনার জন্য। The word salary ultimately derives from an allowance—salārium—paid to Roman soldiers for the purchase of salt.( https://en.wikipedia.
আয়েশা (রা.) গোশত সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৫৭০)
জীবনের জন্য লবণের গুরুত্ব অপরিসীম। লবণে আছে বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম। সোডিয়াম শরীরের জন্য দরকারি ইলেকট্রোলাইট। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম অপরিশোধিত লবণে পাওয়া যায়। তবে তা গ্রহণ করতে হবে পরিমিত। শরীরে লবণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া দুটিই দেহের জন্য বিপজ্জনক। তাই লবণের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার ব্যাপারটি বেশ সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত তা বলাই বাহুল্য।
হাজার হাজার বছর ধরে লবণ যে শুধু রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে তা কিন্তু নয়। কোনো কোনো ধর্মেও লবণের রয়েছে আলাদা মর্যাদা। জাপানের Shintoয় যেকোনো মানুষ বা স্থানকে পরিশুদ্ধ করতে লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। দা িভিঞ্চির আঁকা “লাষ্ট সাপার” চিত্র কর্মে একটি নুনের পাত্র উল্টে পড়ে আছে দেখা যায়। এটা ছিল সে সময়কার রীতি অনুযায়ী এক অশুভ ঈঙ্গিত (spilling salt was generally considered a bad omen).
লবণ নিয়ে রীতিমতো একটা আন্দোলন হয়েছিল, যেটিকে লবণ আইন অভিযান বা লবণ সত্যাগ্রহ বলা হয়। ইংরেজিতে একে সল্ট মার্চ বলে অভিহিত করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই আন্দোলনের বিশেষ মর্যাদা ছিল। লবণের ওপর ব্রিটিশ সরকার যে কর আরোপ করে তারই প্রতিবাদে এই যাত্রার আয়োজন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ সেদিন সেই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। The Salt March, also known as the Salt Satyagraha, Dandi March and the Dandi Satyagraha, was an act of nonviolent civil disobedience in colonial India led by Mohandas Karamchand Gandhi. The 24-day march lasted from 12 March 1930 to 6 April 1930 as a direct action campaign of tax resistance and nonviolent protest against the British salt monopoly. Ref: https://en.wikipedia.org/
মহান আল্লাহর এই নিয়ামত পরিমিত ব্যবহারে যেমন খাবার সুস্বাদ করে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষতিকর অনুজীব দমনে এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। রাসুল (সা.) নিজেও ওষুধ হিসেবে লবণ ব্যবহার করেছেন। একবার রাসুল (সা.)-কে নামাজরত অবস্থায় বিচ্ছু কামড় দিলে তিনি কিছু লবণ ও পানি চেয়ে নিলেন এবং তা একটি পাত্রে মেশালেন, অতঃপর অঙ্গুলির দংশিত স্থানে পানি ঢালতে এবং ওই স্থান মুছতে লাগলেন এবং সুরা ফালাক ও নাস দ্বারা ঝাড়তে লাগলেন। (মিশকাত, হাদিস: ৪৫৬৭)
বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ডাক্তাররা লবণপানিতে গড়গড়া কুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর কোটি কোটি নিয়ামত দিয়ে আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহু আকবার। যেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মুমিনের ঈমান আরো দৃঢ় হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment