Monday, November 29, 2021

সহনশীলতা নিয়ে কিছু ভাল ভাল কথা

 সহনশীলতা নিয়ে কিছু ভাল ভাল কথা

ইবনুল আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আবদুল কায়েস গোত্রের আশাজ্জাকে বললেনঃ তোমার মধ্যে এমন দু’টি গুণ বা অভ্যাস রয়েছে যা আল্লাহও পছন্দ করেনঃ সহনশীলতা ও ধীর-স্থিরতা। (মুসলিম ৬৩২)
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আল্লাহ কোমল। তাই তিনি প্রতিটি কাজে কোমলতা পছন্দ করেন। (বুখারী, মুসলিম-৬৩৩)
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ আল্লাহ নিজে কোমল। তিনি কোমলতা ভালোবাসেন। তিনি কোমলতার দ্বারা ঐ জিনিস দান করেন যা কঠোরতার দ্বারা দেন না। (মুসলিম-৬৩৪)
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ যে জিনিসে কোমলতা থাকে, কোমলতা সেটিকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। যে জিনিস থেকে কোমলতা ছিনিয়ে নেয়া হয় সেটাই দোষদুষ্ট ও ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়। (মুসলিম ৬৩৫)
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুঈন মসজিদে পেশাব করলে লোকেরা ঝাঁপিয়ে পড়তে উঠে দাঁড়াল। নবী (সা) বলেনঃ ছাড় তাকে। তার পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। তোমাদেরকে সহজ নীতি অবলম্বনকারী হিসাবে পাঠানো হয়েছে, কঠোর নীতির ধারক হিসেব নয়। (বুখারী ৬৩৬)
আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। নবী (সা) বলেছেনঃ তোমরা সহজ নীতি ও আচরণ অবলম্বন কর, কঠোর নীতি অবলম্বন করো না। সুসংবাদ শোনাতে থাক এবং পরস্পর ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িও না। (বুখারী, মুসলিম ৬৩৭)
জারীর ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছিঃ যাকে কোমলতা বঞ্চিত করা হয়েছে, তাকে সব রকমের কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত করা হয়েছে। (মুসলিম ৬৩৮)
আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী (সা) কে বলল, আমাকে কিছু উপদেশ দিন। তিনি বলেনঃ রাগ করো না। লোকটি (এটাকে যথেষ্ট মনে না করে) কথাটিকে কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করলো। নবী (সা) বারবার বলেনঃ রাগ করো না। (বুখারী ৬৩৯)
আবু ইয়া’লা শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা) বলেনঃ আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের প্রতি দয়া-মায়াপূর্ণ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন। অতএব তোমরা কোন প্রাণীকে হত্যা করলে, উত্তমভাবে হত্যা করবে এবং কোন প্রাণীকে যবেহ করলে উত্তমভাবে যবেহ করবে। তোমাদের প্রত্যেকেই যেন তার ছুরিকে শানিত করে নেয় এবং যবেহ করার প্রাণীকে আরাম দেয়। (মুসলিম ৬৪০)
আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) কে দু’টি বিষয়ের যে কোন একটি গ্রহণ করার ইখতিয়ার দেয়া হলে তিনি সর্বদাই অপেক্ষাকৃত সহজটি গ্রহণ করতেন, যদি না তা গুনাহর বিষয় হত। তা গুনাহর বিষয় হলে তা থেকে তিনি সকলের চাইতে বেশি দূরে অবস্থানকারী হতেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ব্যক্তিগত কোন বিষয়ে কখনো প্রতিশোধ গ্রহণ করেননি। তবে আল্লাহর বিধান লংঘিত হলে তিনি শুধু মহান আল্লাহর জন্যই প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন। (বুখারী, মুসলিম ৬৪১)
ইবনে মাসঊদ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের জানাব না যে, কোন লোক জাহান্নামের আগুনের জন্য হারাম অথবা কার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম? জাহান্নামের আগুন এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য হারাম যে লোকদের নিকটে বা তাদের সাথে মিলেমিশে থাকে, যে কোমলমতি, নরম মেজাজ ও বিনম্র স্বভাব বিশিষ্ট। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, এটি হাসান হাদীস।

No comments:

Post a Comment