Monday, November 22, 2021

ক্ষুদ্র গ্লিটার(GLITTER) বৃহত ক্ষতি

 ক্ষুদ্র গ্লিটার(GLITTER) বৃহত ক্ষতি

গ্লিটার হল ছোট, প্রতিফলিত কণার একটি ভাণ্ডার যা বিভিন্ন আকার, আকার এবং রঙে আসে। চকচকে কণাগুলি বিভিন্ন কোণে আলো প্রতিফলিত করে, যার ফলে পৃষ্ঠটি ঝলমলে বা ঝলমলে হয়। বাচ্চারা ছবি আঁকার সময় এগুলো ব্যবহার করে।
চলতি মাসে রিডার্স ডাইজেস্টে একটি লেখা এসেছে, “Small steps can stop harming our Oceans”-শীর্ষক শিরোনামে। লেখাটি আমি বেশ মনযোগ দিয়ে পড়েছি। কিন্তু একটি জায়গায় এসে আমার চোখ দুটো আটকে যায়। ওরা লিখেছে- NOT ONLY IS GLITTER REALLY ANNOYING AND IMPOSSIBLE TO GET OUT OF YOUR HOUSE, BUT IT IS ALSO TERRIBLE FOR THE OCEANS. “MOST GLITTER PRODUCTS USED FOR CHILDREN’S ARTS AND CRAFTS ARE MADE FROM PLASTIC AND WHEN WASHED DOWN THE KITCHEN SINK WILL CONTRIBUTE THE GROWING OF MICROPLASTICS IN OUR ENVIRONMENT-“ SAYS DR. DUNE IVES, CEO OF LONELY WHALE-AN ENVIRONMENTAL ORGANISATION.
MICROPLASTICS ARE CONSUMED BY FISH BIRDS AND SEA TURTLES.
ONE STUDY FOUND THAT MICROPLASTICS HAVE BEEN CONTAMINATED THE DEEPEST POINT OF THE OCEAN, CHALLENGER DEEP, IN THE PACIFIC OCEAN’S MARIANA TRENCH, SHE SAYS. BUT YOU DON’T HAVE TO GIVE UP YOUR CHILDRE’S CRAFT PROJECTS-INSTEAD OPT FOR ECO-FRIENDLY ALTERNATIVES SUCH AS FOOD COLORING SALTS.
এখন আমরা চিন্তা করে দেখি যে ছেলে-মেয়েদের আঁকিবুকিতে আমরা যে গ্লিটার ব্যবহার করার জন্য উতসাহি করছি তাদেরকে কিনেও দিচ্ছি, সেই গ্লিটার যদি রান্না ঘরের সিঙ্ক বা বেসিন গড়িয়ে পৃথিবীর গভীরতম খাঁড়ি চ্যালেঞ্জার ডীপের ম্যারিয়ানা ট্রেঞ্চ অব্দি যায়- আর সেগুলো যদি পাখি, মাছ এবং সাগরে বিচরণশীল কচ্ছপগুলো খায় আর আমরা সেই প্রাণীগুলো যদি খেয়ে নিই -তাহলে গ্লিটারতো আমদের তথা মানুষের পেটেই এলো?
ঈশপের গল্প:
সেই ছোট বেলায় শোনায় ঈশপের গল্প মনে পড়ে গেল। গল্পটি এ রকম করে লেখাঃ
এক জলাশয়ে অনেক ভেক (ব্যাঙ) বাস করত। একবার কতগুলো বালক খেলাচ্ছলে সেই জলাশয়ে পাথর নিক্ষেপ করতে লাগল। বালকদের ছোঁড়া পাথরে অনেক ভেক মারা গেল, অনেক হলো আহত। অবশেষে এক সাহসী ভেক উঠে এল কিনারে। বলল, তোমরা আমাদের গায়ে পাথর ছুঁড়ে মারছ কেন?
বালকেরা বলল, এটা তো আমাদের কাছে খেলা।
সর্দার ভেক বলল, ওটা তোমাদের জন্য খেলা হতে পারে। কিন্তু আমাদের জন্য মরণ।
সেই ভেককুলের গল্পের মত এখনকার মাইক্রেপ্লাষ্টিক গ্লিটার। ওরা শুধু সামুদ্রিক প্রাণীই নয়-আমাদেরকেও মারছে।
আমরা সচেতন হবো কবে? কবে?
আল্লাহ পাক তার গ্রন্থ আল করআনে মানুষকে ভালবেসে উল্লেখ করেছেন, ظَهَرَ الْفَسَادُ فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ بِمَا كَسَبَتْ أَيْدِي النَّاسِ لِيُذِيقَهُم بَعْضَ الَّذِي عَمِلُوا لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ
জাহারাল ফাছা-দুফিল বাররি ওয়ালবাহরি বিমা-কাছাবাত আইদিন্না-ছি লিইউযীকাহুম বা‘দাল্লাযী ‘আমিলূলা‘আল্লাহুম ইয়ারজি‘ঊন।– সূরা আর রূম, আয়াত নং-৪১
মানুষ নিজ হাতে যা কামাই, তার ফলে স্থলে ও জলে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কতক কৃতকর্মের স্বাদ গ্রহণ করাবেন সে জন্য; হয়ত (এর ফলে) তারা ফিরে আসবে।
দুনিয়ায় যে ব্যাপক বালা-মুসিবত দেখা দেয়, যেমন দুর্ভিক্ষ, মহামারি, ভূমিকম্প, শত্রুর আগ্রাসন, জালিমের আধিপত্য ইত্যাদি, এসবের প্রকৃত কারণ ব্যাপকভাবে আল্লাহ তাআলার হুকুম অমান্য করা ও পাপাচারে লিপ্ত হওয়া। এভাবে এসব বিপদাপদ মানুষের আপন হাতের কামাই হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা মানুষের উপর এসব বিপদাপদ চাপান এজন্য, যাতে মানুষের মন কিছুটা নরম হয় এবং দুষ্কর্ম থেকে নিবৃত্ত হয়। প্রকাশ থাকে যে, দুনিয়ায় যেসব বিপদাপদ দেখা দেয়, অনেক সময় তার বাহ্যিক কারণও থাকে যা প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ী আপন কার্য প্রকাশ করে। কিন্তু এটা তাে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সেই কারণও আল্লাহ তাআলারই সৃষ্টি এবং বিশেষ সময় ও বিশেষ স্থানে তার সক্রিয় হওয়াটাও আল্লাহ তাআলার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। তিনি নিজের সে ইচ্ছা সাধারণত মানুষের পাপাচারের ফলেই কার্যকর করেন। এভাবে এ আয়াত শিক্ষা দিচ্ছে, সাধারণ বালা-মুসিবতের সময় নিজেদের গুনাহের কথা স্মরণ করে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা ও ইস্তিগফারে লিপ্ত হওয়া চাই, যদিও আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় তা বাহ্যিক কোন কারণ ঘটিত বিষয়।
আল কুরআন বিষ্ময়করভাবে সত্য কথাই বলে আমাদের ভালোর জন্য! কিন্ত আমরা বিষ্ময়করভাবে নির্বিকার।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের মহাসাগরগুলোতে মাছের চেয়ে প্লাষ্টিকের ওজন হবে দ্বিগুণ বা ৪ গুণ।
Source:
Al Quran
Reader’s Digest

No comments:

Post a Comment