মহত হৃদয়ের মানুষগুলো প্রতিটি মূহুর্তের সদ্ব্যবহার করে অন্যের সুখের কারণে নিজেকে বিলীন করে দেয়। কারণ, মহত হৃদয়ে কৃতজ্ঞতার মধ্যে বিস্ময় বিলীন হয়ে যায়। মহত হৃদয়ের মানুষগুলো অন্যের ভুলগুলো দেখেও দেখেনা। মহত হৃদয়ের মানুষগুলো তাদের প্রজ্ঞা ব্যবহার করে অন্যের ভেতরের সৃজনশীলতা নিয়ত বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে।
তাই কবি কামিনী রায় লিখেছেনঃ
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারণে মরণেও সুখ,
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।”
সবাই ভাল থাকুন
অথবা রবীনাথের ভাষায়-
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি।
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে
ঊর্ধমুখে নরনারী,
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি।
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহপাপ,
না থাকে শোকপরিতাপ।
হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক,
বিঘ্ন দাও অপসারি।
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি।
কেন এ হিংসাদ্বেষ, কেন এ ছদ্মবেশ,
কেন এ মান-অভিমান।
বিতর' বিতর' প্রেম পাষাণহৃদয়ে,
জয় জয় হোক তোমারি-
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি।
-উপস্থাপনার ভাষা নিজের।
No comments:
Post a Comment