Tuesday, May 31, 2022

হৃদ্‌রোগের কারণ হয়ে উঠতে পারে ৫ খাবার

 ১) সোডা জাতীয় পানীয়: এই গরমে স্বস্তি পেতে গলা ভেজানোর জন্য অনেকেই বেছে নেন সোডা জাতীয় পানীয়। এতে সাময়িক ভাবে স্বস্তি পাওয়া গেলেও এই ধরনের পানীয় শরীরের অন্দরে ক্ষতিই করে। সোডাযুক্ত পানীয়তে থাকা রাসায়নকি উপাদান অন্ত্রের ক্ষতি করে। নিয়মিত এই ধরনের পানীয় খাওয়ার অভ্যাস হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই সোডা, নরম পানীয়, রঙিন পানীয় বেশি না খাওয়াই ভাল। এগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।

২) নুন: অত্যধিক কাঁচা নুন খাওয়ার অভ্যাস উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম বড় কারণ। হৃদ্‌যন্ত্র ভাল রাখতে চিকিতসকরা কাঁচা নুন খেতে বারণ করেন। বিশেষ করে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যায় ভুগছেন, কাঁচা নুন তাঁদের জন্য মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সেখান থেকেই বাড়তে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। তাই দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে কাঁচা নুন খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
৩) সাদা পাউরুটি: সকালের জলখাবারে বা অফিসের টিফিনে পাউরুটি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। কিন্তু চিকিতসকরা বলছেন, সাদা পাউরুটি স্থূলতা, ডায়াবিটিস এবং হৃদ্‌রোগের কারণ হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, বেশি পাউরুটি খাওয়ার অভ্যাস অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো শারীরিক সমস্যাও তৈরি করে। যেহেতু পাউরুটিতে ফাইবার ও প্রোটিন কম থাকে, তাই দ্রুত হজম হতে পারে না। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই বলে ভাবছেন পাউরুটি খাওয়া ছাড়বেন? সাদা পাউরুটির বদলে খেতে পারেন ব্রাউন ব্রেড।
৪) ভাত: শরীর সুস্থ রাখতে ভাত খাওয়া জরুরি। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণে ভাত খেলে বাড়তে পারে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। ভাতে স্টার্চের পরিমাণ অনেক বেশি। স্টার্চ শরীরে পক্ষে ক্ষতিকর। একই কারণে চিকিতসকরা বেশি আলু খেতেও বারণ করেন।
৫) সিরিয়াল জাতীয় খাবার: কর্নফ্লেক্স, মুসলির মতো সিরিয়াল জাতীয় খাবার প্রাতরাশে অনেকেই খেয়ে থাকেন। অনেকের কাছেই এই ধরনের খাবারগুলি স্বাস্থ্যকর হলেও পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই খাবারগুলিতে চিনির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। চিনি হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ো তোলে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, এই ধরনের খাবারের বদলে সকালের জলখাবারে রাখতে পারেন বাড়িতে তৈরি পোহা, উপমার মতো স্বাস্থ্যকর কিছু খাবার।
Source: Heart Damaging five foods

পানি/জল

 দেখা যায়, অনেকেই তেষ্টা পেলে তবেই জল খান। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল। প্রথমে মেপে নিতে হবে, নিজের শরীরের জন্য নিয়মিত কত পরিমাণ জল পর্যাপ্ত। সেই হিসেব করে নিয়ম মেনে সময়ে-সময়ে পান করতে হবে জল। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা ২-৩ লিটার জল খাওয়া উচিত।

এনার্জি বাড়ায়: মাঝেমধ্যেই বিশেষ করে গরমের দিনে ক্লান্ত লাগে। কাজের এনার্জিও থাকে না। এটা হয় দেহে জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের কারণে। আসলে দেহে জলশূন্যতা আমাদের মস্তিষ্কে বেশ প্রভাব ফেলে। তার ফলে ক্লান্তিভাব আসে এবং কাজের ইচ্ছেও চলে যায়। তাই এনার্জির মাত্রা বাড়াতে বেশি করে জল খেতে হবে।
অবসাদ বা ক্লান্তিভাব দূর করে: শরীরে উপযুক্ত হাইড্রেশন হলে তা দেহের ক্লান্তিভাব দূর করতে সাহায্য করে। অনেক সময় বারবার ক্লান্তি অনুভব করার সঠিক কারণ আমরা বুঝে উঠতে পারি না। আসলে ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) বিষয়টা আমাদের মস্তিষ্কই প্রথম বুঝতে পারে। কারণ জল মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, না-হলে কোষে-কোষে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত পৌঁছে দিতে পারবে না। ফলে যদি মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে পেশিও ভালো ভাবে কাজ করবে না। চোখও ক্লান্তিভাব আসবে। আর মস্তিষ্কও ঝিমিয়ে পড়বে।
মন-মেজাজ ভালো করতে: ডিহাইড্রেশন হলে ঘিরে ধরে একরাশ বিরক্তি। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস জল খেয়ে নিলে দূর হবে সমস্যা। আসলে মন-মেজাজকে তরতাজা করতে ও চাঙ্গা রাখতে জল পান করা জরুরি।
ওজন কমাতে: ওজন কমানোর জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল পান করাও অপরিহার্য। কারণ জল দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে। আসলে জলে ক্যালোরি বা ফ্যাট থাকে না, ফলে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে জল। এছাড়া খিদে কমায় এবং মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমরা অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকি।
সুন্দর জেল্লাদার ত্বক পেতে: ত্বক সুন্দর, সতেজ এবং জেল্লাদার রাখতে জলের জুড়ি মেলা ভার। কোলাজেন নামে এক ধরনের প্রোটিন আমাদের ত্বকে থাকে, যা আমাদের ত্বককে টানটান ও সুন্দর রাখে। সেই কোলাজেন কিন্তু জলের উপর নির্ভরশীল। তাই শরীরে জল না-থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে কুঁচকে যায়। আর ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা বাঞ্ছনীয়।
-নিউজ১৮

জামরুল,সুদর্শন ফল

 টসটসে জামরুল আনিবো অঢেল

বৈশাখ যায় যায়। খরতাপে দগ্ধ দিন। ক্ষণে ক্ষণে গলা শুকিয়ে কাঠ। এ সময় তপ্ত দিনে রসাল জামরুল
একে নিজ দেশের উদ্ভিদ ভাবার কারণ নেই। সেই যে এককালে ভারতের স্বাধীনতাকামী রাজবন্দীদের আন্দামানে নির্বাসিত করত ব্রিটিশরা, সেই আন্দামান ও নিকোবর হলো জামরুলের জন্মভূমি। তবে বহুকাল থেকে আমাদের দেশে গাছটি জন্মাচ্ছে।
ইংরেজিতে বলে ‘স্টার অ্যাপল’ বা ‘ওয়াটার অ্যাপল’। বৈজ্ঞানিক নাম Eugenia javanica।
Rose Apple Benefits:
জামরুলে রয়েছে আম-কমলার চেয়ে বেশি খনিজ
জামরুল সাদা, লাল দুই রকমেরই পাওয়া যায়। অনেকেই অবশ্য এই ফল খেতে চান না। তবে এর রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। যা আমরা অনেকেই জানি না।
বিশেষজ্ঞদের মতে জামরুল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে ২২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন C পাওয়া যায়। যা ত্বকের তারুণ্যতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুল থেকে ২৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম মেলে। যা হাড় বা দাঁতের জন্য প্রয়োজনীয়। আপনার শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে গরমের সময় জামরুল রাখতেই পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে জামরুলে রয়েছে জামবোসিন। যা আমাদের রক্তে স্টার্চ থেকে শর্করা তৈরির পক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এই কারণে চিকিৎসকরাও ডায়াবিটিসের রোগীদের জামরুল খাওয়ার পরামর্শ দেন। জামরুলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। তাতে কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।
​ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
রোগ নিরাময়ে জামরুলের ভেষজ গুণ অনেক। জামরুলে রয়েছে ভিটামিন A এবং C। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় যৌগ। যা প্রস্টেট এবং স্তনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। রোজ জামরুল খেলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। পেটের সমস্যায়ও দারুণ কাজ দেয় জামরুল।
​হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে জামরুল রাখতেই পারেন। প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে প্রায় ২৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এই ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। রোগ হলে ওষুধ খেতে তো হবেই । তবে রোগ ঠেকাতে কাজে দেয় কিছু ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মরসুমি ফলগুলো আমাদের অনেক অসুখ-বিসুখের হাত থেকে বাঁচায়। অনেক সময় স্বস্তিও দেয়। তাই এ বার থেকে অবহেলা নয়, গরমে প্রাণ ভরে খান জামরুল।
​হাইড্রেট রাখতে ও পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে ৯৩ গ্রাম জল থাকে। যা শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার রয়েছে এটি পেট ফাঁপা ও ডায়ারিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কাজ করে। এ ছাড়া আমাদের অনেকেরই চোখের সমস্যা রয়েছে। জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন থাকায় এই ফল চোখের জন্যও উপকারি।
টনিক
জামরুল মস্তিষ্ক ও লিভারের যত্নে টনিক হিসাবে কাজ করে।
বাত সারায়
জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
চোখের নিচের দাগ দূর করে
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও জামরুলের ভূমিকা অনন্য।
প্রতিদিনের পুষ্টি
প্রতিদিন একটি তাজা জামরুল খাওয়ার মাধ্যমে প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব।
জামরুলে আছে
প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুল আছে ৫৬ ক্যালরি শক্তি, প্রোটিন ০.৫ থেকে ০.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৪.২ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.১ থেকে ১.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ থেকে ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯ থেকে ৪৫.২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১.৭ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৪৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, কপার ০.০১ মিলিগ্রাম, সালফার ১৩ মিলিগ্রাম, ক্লোরিন ৪ মিলিগ্রাম এবং পানি ৪৫.৫ থেকে ৮৯.১ গ্রাম।
সূত্র: বোল্ড স্কাই/প্রথম আলো/ সমকাল/এইসময়
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিতসার অঙ্গ নয়, আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক?

 তুমি দুর্দশাগ্রস্ত?

এর কারণ তুমি নিজেই
তুমি আশীর্বাদপুষ্ট?
এর কারণ তুমি নিজেই
কেউই এজন্য দায়ী নয়- কেবল তুমি ছাড়া
তুমিই তোমার নরক আর স্বর্গও বটে!
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষেরি মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর!
রিপুর তাড়নে যখনই মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক-অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরষ্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।

শিখি, শেখাই

 Thomas J. Watson আইবিএম-এর সাবেক প্রধান।

একবার তাঁকে বা হলো, “ আপনাকে আপনার একজন কর্মী যে কিনা কোম্পানীর ৬লাখ ডলার লোকসান করেছে তাকে বহিষ্কার করার কথা বলা হলে আপনি কি করতেন? “
Thomas J. Watson সরলভাবে বল্লেন, দেখুন, “আমি তাকে প্রশিক্ষিত করতেই মাত্র ৬লাখ ডলার ব্যয় করেছি মাত্র। আর আমি তাকে ছাঁটাই করবো না এ জন্য যে ৬লাখ ডলার লোকসান করে তার একটা বিশাল অভিজ্ঞতা আইবিএম উপহার দিয়েছে। তার অভিজ্ঞতার একটা দাম তো কোম্পানীর কাছে আছেই।
তিনি আরো জানান দিলেন, ব্যর্থতার হারটা “ডবল” না হলে সফলতাটা ঠিক আঁচ করা যায় না। আর ব্যর্থতা সফলতার শত্রু নয় আমরা যা ভাবি। আঁধার আছে বলেই আলোকে চেনা যায়।
এঁরাই সত্যিকারের সি.ই.ও!! কর্মীবান্ধব তো বটেই। এঁরাই চা কফি তৈরী করে পেয়ালাটা কর্মীদের হাতে তুলে দেয়।
এদেশে আছেন ক’জন সি.ই.ও এমন?

ক্লেশ হোক লাঘব

 রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের পার্থিব দুঃখ-কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দুঃখ-কষ্ট দূর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো সংকটাপন্ন ব্যক্তির সংকট নিরসন করবে, আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় সংকট নিরসন করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার সাহায্য করে থাকেন, যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা নিজ ভাইয়ের সাহায্যে রত থাকে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৩০; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪৬)

তাওয়াক্কুল বা আল্লাহর ওপর ভরসা করলে সম্পদ বৃদ্ধি হয়

 শুধু আল্লাহর ওপর আন্তরিক নির্ভরতার নাম ভরসা। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা যদি আল্লাহর ওপর যথাযথ ভরসা করো তাহলে তোমাদের জীবিকা দেওয়া হবে সেভাবে যেভাবে পাখি রিজিকপ্র্রাপ্ত হয়। পাখি সকালে ক্ষুধার্ত অবস্থায় বের হয় এবং পেট পূরণ করে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৪৪)

‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার পথ করে দেবেন। আর তাকে তার ধারণাতীত উতস থেকে রিজিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর নির্ভর করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহ তার ইচ্ছা পূরণ করবেনই। আল্লাহ সব কিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা। ’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)

Benefits of taking honey before sleep

 Honey is a natural tonic and it is extremely nutritious.

Honey contains fructose, glucose, active enzymes, amino acids, protein, vitamins, as well as iron, calcium, potassium and other nutrients that are beneficial to health.
Eating 1 to 2 spoons of honey (about 10 g to 15 g) before going to bed at night can help relieve mood swings, reduce sleep disturbances, and improve sleep quality.
Scientific research has proved that honey can promote the production of serotonin. Serotonin is an inhibitory neurotransmitter, which can effectively regulate mood, sleep and the body's circadian rhythm.
In addition, clinical practice has proved that honey can also regulate gastric acid secretion. Consuming honey before going to bed is very beneficial to the health of the gastrointestinal tract.
Ref: Lucia Garcia, Pritzker School of Medicine at University of Chicago, USA

Best Foods That Increase Children Height

 1. Eggs 2. Milk for children height Banana for a child’s growth 4. Marine Fish 5. Dairy for children height 6. Carrot 7. Spinach 8. Chicken 9. Stay away from caffeine, carbonate foods 10. enough sleep

আত্মহত্যা

 মানুষের মৃত্যু ঘটানোর কাজটি একমাত্র আল্লাহরই। অতএব কেউ যদি কাজটি নিজের হাতে তুলে নেয়, সে অনধিকার চর্চাই করবে।

Suicide is the result of indecision.

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা আত্মহত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়াশীল’ (সূরা আন-নিসা-২৯)।
‘তোমরা তোমাদের নিজেদের ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না’ (সূরা আল-বাকারা-১৯৫)।
‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ যাবতীয় অপরাধ মার্জনা করেন’ (সূরা জুমার-৫৩)।
হাদিসে যা বলা হয়েছে : জাবির বিন সামুরাহ রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা:-এর এক সাহাবি আহত হন। এর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে তিনি তার তীরের ফলা দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাসূলুল্লাহ সা: তার জানাজার সালাত পড়াননি (তিরমিজি-১০৬৮, নাসায়ি-১৯৬৪)।
ইসলামী দৃষ্টিকোণে আত্মহত্যা একটি জঘন্যতম মহাপাপ।
রাসূলুল্লাহ সা: নিজে কখনো আত্মহত্যাকারীর জানাজা পড়াননি, সাহাবিদের দ্বারা পড়িয়েছেন।
মানুষ কেন আত্মহত্যা করে : আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। যেমন-
১. সাংসারিক কলহ-দ্বন্দ্ব;
২. অতিরিক্ত রাগ;
৩. কাঙ্খিত কোনো কিছু লাভ করতে না পারা;
৪. নিরাশ বা বঞ্চিত হওয়া;
৫. লজ্জা ও মানহানিকর কোনো কিছু ঘটে যাওয়া বা অপ্রত্যাশিতভাবে প্রকাশ হওয়া;
৬. অভাব ও দরিদ্রতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার অসুখ-বিসুখে জর্জরিত হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ করা যায়।
এ ছাড়া আরো যেসব কারণে এই কাজটি ঘটে-
১. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য;
২. যৌতুকের কারণে ঝগড়া বিবাদ;
৩. পিতা-মাতা ও ছেলে-মেয়ের মধ্যে মনোমালিন্য;
৪. পরীক্ষায় ব্যর্থতা;
৫. প্রেম-বিরহ;
৬. মিথ্যা অভিনয়ের ফাঁদ;
৭. ব্যবসায়ে ব্যর্থ হওয়া ইত্যাদি।
যখন মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধি, উপলব্ধি-অনুধাবনশক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে বসে।
আত্মহত্যাকারী কি চিরস্থায়ী জাহান্নামি : কেউ যখন নিজেকে হত্যা করে তখন সে নিজেকে মূলত আল্লাহর গজব ও ক্রোধের শিকারে পরিণত করে। তবে তার বিষয়টি আল্লাহর ইচ্ছাধীন। কারণ, তা কোনো শিরকি কাজ নয়। একমাত্র শিরকই এমন গুনাহ আল্লাহ যা ক্ষমা না করার ঘোষণা দিয়েছেন। ‘নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমা করেন না তাঁর সাথে শরিক করাকে এবং এ ছাড়া যাকে চান ক্ষমা করেন। আর যে আল্লাহর সাথে শরিক করে সে তো ঘোর পথভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট হলো’ (সূরা আন-নিসা-৪৮)।

ভয়াবহ পরিণতি, অন্যের দোষচর্চার

 অন্যের দোষত্রুটি খুঁজতে আমরা সর্বদা পছন্দ করি। এটি আমাদের দৈনিক কাজের তালিকায় যেনো পয়লা নম্বরেই জায়গা কোরে নিয়েছে। কে কী করল, তা নিয়ে গবেষণা করি। কখনো অনুমানের ভিত্তিতে মানুষের ওপর নানা অপবাদ পর্যন্ত দিয়ে বসি, অনেক ক্ষেত্রেই যার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকে না। মানুষের দোষত্রুটি প্রচার করা, নিন্দা করা আমাদের বেশ আনন্দ দেয়।

কিন্তু এই ভয়ংকর কাজগুলো আমাদের কোনো উপকারে আসে না। এর দ্বারা আমরা আমাদের পাপের পাল্লাই ভারী করতে থাকি। অথচ আমাদের উচিত, আল্লাহকে ভয় করা, অন্যের পেছনে গোয়েন্দাগিরি না করে নিজের মধ্যে যে ভুলত্রুটি আছে, তা বের করে নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করা। এতে করে আমাদের ঈমান-আমল সুন্দর হবে। আর অন্যের দোষত্রুটি তালাশে আমাদের ইহকাল ও পরকালের ক্ষতি হবে। মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে চায়? বস্তুত তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই মনে করো। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তাওবাহ গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)
মুমিনের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে তাঁদের দোষত্রুটি অন্বেষণ করা, তাঁদের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করা মুনাফিকের কাজ। মুনাফিকরা মুসলমানদের গোপন তথ্যগুলো পাচার করার জন্য তাদের সঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে পর্যন্ত যোগ দিত এবং মুসলমানদের গোপন তথ্য শত্রুপক্ষের কাছে পাচার করত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, যদি তারা তোমাদের সঙ্গে বের হতো, তবে তোমাদের মধ্যে ফাসাদই বৃদ্ধি করত এবং তোমাদের মধ্যে ছোটাছুটি করত, তোমাদের মধ্যে ফিতনা সৃষ্টির অনুসন্ধানে। আর তোমাদের মধ্যে রয়েছে তাদের কথা অধিক শ্রবণকারী, আর আল্লাহ জালিমদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৪৭)
তাই আমাদের উচিত, অন্যের দোষত্রুটি অন্বেষণ থেকে বিরত থাকা, কারণ যারা অন্যের দোষত্রুটি বের করে তাকে অপমান করতে চায়, মহান আল্লাহ তার ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলোই মানুষের সামনে ফাঁস করে দেন, তাকে সবার সামনে অপদস্ত করেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু বারজাহ আল-আসলামি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, হে সেসব লোক, যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গিবত করবে না এবং দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্ত করে ছাড়বেন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৮৮০)
দোহাই: কালের কন্ঠ

আল্লাহই প্রথম আল্লাহই শেষ

 মহান আল্লাহর দুটি জাতি বা সত্তাগত গুণ হলো—‘আল-আউয়ালু’ (যিনি প্রথম) ও ‘আল-আখিরু’ (যিনি শেষ)। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো, আল্লাহই সর্বপ্রথম এবং আল্লাহই সর্বশেষ। আল্লাহর প্রথম হওয়ার অর্থ অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে আসা নয়। বরং এমন প্রথম যার আগে কিছু নেই এবং যার আগে কোনো সময় অতিক্রান্ত হয়নি।

একইভাবে আল্লাহর শেষ হওয়ার অর্থ সমাপ্তি নয়, বরং এমন শেষ যার পরে কিছু থাকবে না এবং যে শেষের কোনো সমাপ্তি নেই। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই আদি, তিনিই অন্ত; তিনিই ব্যক্ত ও তিনিই গুপ্ত এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। ’ (সুরা হাদিদ, আয়াত : ৩)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত দীর্ঘ এক দোয়ায় এসেছে, ‘আপনিই প্রথম, আপনার আগে কিছুই নেই। আর আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছুই নেই। আপনিই প্রকাশিত, আপনার ওপরে কিছুই নেই। আপনিই লুকায়িত, আপনার থেকে কিছুই গোপন নয়। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৪০০)
ইমাম তাবারি (রহ.) বলেন, ‘তিনি প্রথম কোনো সীমা ছাড়া সব কিছুর আগে এবং তিনি শেষ কোনো সমাপ্তি ছাড়া সব কিছুর পর। কেননা তিনি যখন ছিলেন তখন কোনো কিছুই ছিল না এবং সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরও তিনি অস্তিত্বে থাকবেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর সত্তা ছাড়া সব কিছু ধ্বংসশীল। ’ (সুরা কাসাস, আয়াত : ৮৮; তাফসিরে তাবারি, হাদিস : ২২/৩৩৫)
ইমাম বাগাভি (রহ.) বলেন, ‘কোনো সূচনা ছাড়াই আল্লাহ সব কিছুর আগে। সব কিছুর আগে তিনিই ছিলেন, যখন কোনো কিছুই ছিল না। কোনো সমাপ্তি ছাড়াই তিনি শেষ। সব কিছু ধ্বংস হওয়ার পরও তিনি অস্তিত্বে থাকবেন। ’ (তাফসিরে বাগাভি : ৫/২৬)
আল-মাউসুয়াতুল আকাদিয়া
সৌজন্যঃ মুফতি আতাউর রহমান

রাসুল সা. এঁর জীবন থেকে শিখেছি, কাজে লাগিয়েছি, লাগাচ্ছিঃ

 মনে রেখোঃ

“প্রত্যাখ্যান”(উতপীড়ন, উত্ত্যক্তকরণ, উপেক্ষা বা পরিহাস -সক্রিয় বা নিষ্কিৃয়ভাবে[নীরব আচরণের মাধ্যমে]) তোমাকে দুর্বল করেনা বরং তোমাকে শক্তিশালী করে।
Remember:
Rejection makes you stronger, not weak.

ফিকে দৃষ্টি

 ছোট গল্প

When the vision is blurred, effect is rippled
যেদিকে তাকাই অথই পাথার! মা’বুদ তোমার সাহায্য ছাড়া আমি বাঁচবো না যে! দয়া করো। ফিরে চাও আমার দিকে।
নিরাশার পাথারে তোমাকে ভাসতে দেখে মা’বুদ স্থির না থেকে তোমার জন্য মাঝি আর নৌকো পাঠালেন। তুমি যার পর নেই উল্লসিত হলে। তুমি উঠে গেলে নৌকোতে। মা’বুদ খুশী হলেন। পাড়ে এসে তুমি নেমে গেলে নৌকো থেকে, তোমার গন্তব্যের পানে চললে। মাঝি রয়ে গেলো বৈঠা হাতে, নৌকোতে। মাঝি ভেবেছিলো তুমি অন্তত: একবার ফিরে তাকাবে। কিন্তু মঝির সব আশা বিফল করে তুমি চলেই গেলে তোমার নিশানার দিকে। মাঝির দৃষ্টি ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসে। একবার ডান হাতটাও উঁচু করে তোমাকে ডাকতে, আবার মনের অজান্তেই হাতটা নামিয়ে ফেলে। ব্যাকুল মাঝি তার অন্তরকে প্রবোধ দেয় -হৃদয়ের মধ্যে অত্যন্ত একটা বেদনা অনুভব করে বিশ্বব্যাপী বৃহত অব্যক্ত মর্মব্যথা অনুভবে এনে, “ওকে ফিরে আসার কথা বলে ফল কী। পৃথিবীতে কে কার।”
পেশীবহুল হাতে বৈঠা মেরে মাঝি গুন গুন করে গাইতে থাকে, “যতই হানিবে হেলা ততই সাধিবো… জনম জনম তব তরে,” উথাল পাথাল মনের ভুলে আবারো বেসুরো গলায় গায়- “আমার দোষে কারো নাকি কপাল ভেংগেছে, সেই কপালে বিনা রোদে আগুন…..”
কষ্টে কষ্টে সে আবারও গায়…. “ভালোবাসলেও সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না, ঘর বাঁধা যায়না। হাজার বছর পাশে থাকলেও, কেউ কেউ আপন হয় না।”
উদাস মাঝি ফিরে চলে অজানা গন্তব্যের পানে।
পাথারে তখন জোয়ার এসেছে!

‘কুফু’ মেনে বিয়ে করো।

 বহু পরিবার ‘কুফু’ না মানার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত।

‘কুফু’(আরবী) শব্দের অর্থ সমতা, সমান, সাদৃশ্য, সমকক্ষ, সমতুল্য ইত্যাদি।
বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের দ্বীনদারি, সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্যতা সব কিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে।
‘কুফু’র মূল লক্ষ্য শান্তিপূর্ণ এবং দীর্ঘস্থায়ী বিবাহ করা। যুক্তি হল যে সাধারণ ধারণা, সমতুল্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি পরিবার একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুখী বিবাহ করবে। যাইহোক, যদি এই ধরনের যুক্তি গ্রহণ করা হয়, তাহলে এটি প্রশ্ন উত্থাপন করে যে কেন এই নিষেধাজ্ঞাগুলি শুধুমাত্র একজন সম্ভাব্য স্ত্রীর জন্য প্রযোজ্য, স্বামীর উপর নয়। আইনী বিধিবিধানের সাথে আরও সংগত একটি উদ্দেশ্য হ'ল সম্ভাব্য স্ত্রীর স্বার্থ রক্ষা করা নিশ্চিত করে যে সে তার বিবাহিত বন্ধনে অসম্মানিত নয়।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং ‘কুফু’ (সমতা) দেখে বিবাহ কর।”
ইবনু মাজাহঃ ১৯৬৮; হাদীসটি সহীহ শায়খ আলবানী। সিলসিলা সহীহাহঃ ১০৬৭।
রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابُورَ الرَّقِّيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ الْأَنْصَارِيُّ أَخُو فُلَيْحٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلَانَ عَنْ ابْنِ وَثِيمَةَ النَّصْرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَتَاكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ خُلُقَهُ وَدِينَهُ فَزَوِّجُوهُ إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ وَفَسَادٌ عَرِيضٌ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের নিকট এমন কোন ব্যক্তি বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এলে, যার চরিত্র ও ধর্মানুরাগ সম্পর্কে তোমরা সন্তুষ্ট, তার সাথে (তোমাদের মেয়েদের) বিবাহ দাও। তোমরা যদি তা না করো, তাহলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ব্যাপক বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৭,তিরমিযী ১০৮৪, ইরওয়াহ ১৮৬৮, সহীহাহ ১০২২।)
,
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ
‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৮)
,
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
বিয়ের সময় নারী ও পুরুষের মাঝে অবশ্যই কুফু বা সমতার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। দাড়ী কামাতে অভ্যস্ত, হারাম ইনকাম এমন কোন পুরুষের সাথে যদি কুরআনের হা’ফিজাহ কোন নারীকে বিয়ে দেওয়া হয়, আর বিয়ের পরে স্বামী তাকে মডার্ণ ড্রেস পড়তে বাধ্য করে, হিন্দী গান শোনানোর বায়না ধরে তাহলে তো প্রবলেম। আবার কোন নারী যদি বিয়ের পরে যেকোন উপায়ে স্বামীকে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করতে চাপ দেয়, দাড়ী রাখা যাবেনা বায়না ধরে, মা-বাবার হক্ক আদায়ে বাঁধা দেয় সংসারে আর যাই হোক, সুখ নামক নামক অচিন পাখিটা কখনো ধরা দেবেনা। তাই বিয়ের পূর্বে সার্বিক দিক বিবেচনা করে কুফু রক্ষা করা উচিৎ।
বিয়ে নারী-পুরুষের নৈতিক চরিত্রের পবিত্রতা রক্ষাকারী এবং মানব বংশের ধারা সুষ্ঠুরূপে অব্যাহত রাখার একমাত্র উপায়। বিয়ে হলো একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে নিষ্পন্ন বৈধ বন্ধন ও সামাজিক চুক্তি। বিয়ে এমন একটি চিরাচরিত প্রক্রিয়া যা সৃষ্টির আদি থেকে চলমান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ধর্মভেদে এর বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য থাকলেও বিয়ের মূল উদ্দেশ্য ও পরিচয় এটিই। বিয়ে একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন নিয়ম, যা পৃথিবীর সব দেশে সব ধর্মে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা তাঁর প্রত্যেক সৃষ্টিকেই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। এবং বিয়ে করতে উৎসাহ প্রদান করেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা বলেন ‘তোমাদের মধ্যে যাদের স্বামী-স্ত্রী নেই, তাদের বিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নূর, আয়াত ৩২)
রাসূল সা: বলেন ‘হে যুবকরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৫০৬৫)
দাম্পত্যজীবনের সূচনা হয় বিয়ের মাধ্যমে। একটি আদর্শ, সুন্দর ও সুখী দাম্পত্যজীবনের জন্য বিয়ের আগে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে । এসব উপেক্ষা করে জীবনে সুখী হওয়া সম্ভব নয়। বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তার মধ্যে ‘কুফু’ অন্যতম।
বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের রুচি, চাহিদা, বংশ, যোগ্যতা সব কিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের রুচি, চাহিদা, অর্থনৈতিক অবস্থান খুব বেশি ভিন্ন হলে সেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন প্রতিষ্ঠা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। একজন উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়ের চাহিদা-রুচির সাথে একজন দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের রুচিবোধের মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক। আবার একজন দ্বীনদার পাত্রপাত্রীর সাথে একজন ধর্মবিষয়ে উদাসীন পাত্রপাত্রীর জীবনাচার নাও মিলতে পারে। দ্বীনদার চাইবে সব কিছুতে ধর্মের ছাপ থাকুক। আর দীনহীন চাইবে সব কিছু ধর্মের আবরণমুক্ত থাকুক। সুতরাং এ দুইয়ের একত্রে বসবাস কখনো শান্তি-সুখের ঠিকানা হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনও বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতে সমতা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
আল্লাহ বলেন, ‘দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য; দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্রা নারীর জন্য; সচ্চরিত্রা নারী সচ্চরিত্র পুরুষদের জন্য এবং সচ্চরিত্র পুরুষ সচ্চরিত্রা নারীর জন্য উপযুক্ত।’ (সূরা নূর : ২৬)।
অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘ব্যভিচারী পুরুষ যেন ব্যভিচারিণী বা মুশরিক নারী ছাড়া কাউকে বিয়ে না করে। আবার ব্যভিচারিণী নারী যেন ব্যভিচারী পুরুষ বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া কাউকে বিয়ে না করে। মুমিনদের জন্য এ ধরনের চরিত্রের নারী-পুরুষকে হারাম করা হয়েছে।’ (সূরা নূর : ৩)।
কুরআনের পাশাপাশি রাসূল সা:-এর পবিত্র হাদিস শরিফেও ‘কুফু’ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। রাসূল সা: বলেছেন,‘ তোমরা যে ব্যক্তির দ্বীনদারী ও নৈতিক চরিত্রে সন্তুষ্ট আছ তোমাদের নিকট সে ব্যক্তি বিয়ের প্রস্তাব করলে তবে তার সাথে বিয়ে দাও। তা যদি না কর তাহলে পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ ও চরম বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস নং ১০৮৪)। তিরমিযি শরিফের আরেকটি হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, রাসূল সা: হজরত আলী রা:-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন ‘হে আলী! তিনটি ব্যাপারে দেরি করো না। নামাজ যখন তার ওয়াক্ত আসে, জানাজা যখন উপস্থিত হয় এবং যখন তুমি তার উপযুক্ত পাত্র পাও’’ (তিরমিজি, হাদিস নং ১৭১) । আরেক হাদিসে রাসূল সা: বলেছেন, ‘তোমরা ভবিষ্যৎ বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবেচনায় বিয়ে করো, আর বিয়ে দিতে সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৯৬৮)। এ রকম আরো কিছু হাদিস উদ্ধৃত করে ইমাম শাওকানি রা: মন্তব্য করেছেন, ‘এসব হাদিস স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক দিয়াই ‘কুফু’র বিবেচনা করতে হবে। ইমাম মালেক দৃঢ়তার সাথে বলেছেন ‘কুফু’র ব্যাপারটি কেবলমাত্র দ্বীনদারীর ক্ষেত্রেই বিবেচ্য। (নায়লুল আওতার)।
বস্তুত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গভীর ভালোবাসা ও দাম্পত্য জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করাই ‘কুফু’র মুখ্য উদ্দেশ্য। কনে যদি দ্বীনদার ও পবিত্র চরিত্রের হয় আর বর যদি বেদ্বীন-চরিত্রহীন হয় কিংবা এর বিপরীত হয়, তাহলে অন্য সব দিক দিয়ে সমতা হলেও সে মিল শরিয়তের দৃষ্টিতে কাম্য নয়।
তেমনি এ ধরনের বিয়ে স্থিতিশীল নাও হতে পারে; হলেও সে দাম্পত্য জীবন হতে পারে তিক্ত ও বিষাক্ত।
কুফু: মাজহাব ভিত্তিক
হানাফী অবস্থান
ঐতিহ্যবাহী হানাফী মাযহাবের মতে, কুফু বিবাহের ক্ষেত্রে একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার মধ্যে একটি বিশেষ আনুপাতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে।
পাকিস্তানি মুফতি ও দায়ী তারিক মাসুদ বলেন, "ফুকাহায়ে কেরাম ছয় জিনিসের মাঝে কুফু ঠিক রাখার কথা বলেছেন। এ ছয় জিনিসের মাঝে কুফু ঠিক থাকা আবশ্যক। এ ছয় জিনিস পুরুষের জন্য নয়। পুরুষ নিজের চেয়ে নিচু জায়গায় বিয়ে করলেও শরীয়াতে তাকে অনুমতি দেয়। পুরুষ নিচু থেকে নিচুতে শাদি করতে পারবেন। কিন্তু মেয়ে পারবে না। বরং মেয়ের বেলায় কুফু তার সমপর্যায়ের হবে বা উঁচু হবে। তাহলে বিয়ে সফল হবে। অন্যথা সফল হবে না।
ছয়টি জিনিস নিম্মরুপ :
ক) বংশ: নারীর চেয়ে নিচু বংশের কারো সাথে কুফু হবে না। বরং সমপর্যায়ের বা উঁচু হতে হবে।
খ) পেশা: পেশায় নারীর চেয়ে নিচু হলে চলবে না। উঁচু বা সমপর্যায়ের লাগবে।
গ) দৌলত: এ দৌলত দ্বারা টাকা পয়সা কিংবা ব্যাংক ব্যালেন্স উদ্দেশ্য নয়। টাকা পয়সাতো আসে যায়। কখনো আছে। কখনো নাই। দেখা যায় আজ গরীব। কাল ধনী। তাই শরীয়ত কখনো টাকা পয়সাকে দৌলতমন্দ বলেনি। বরং কারো যদি দু’হাত ও দু’পা থাকে তাহলে শরিয়ত তাকে ধনী হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। কেননা সে সম্পদ উপার্জন করতে পারবে, (অর্থাৎ উৎপাদনশীল হবে)। এখানে দৌলত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, এতটুকু পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া যতটুকু হলে মেয়ের মহরের টাকা দিতে পারে।
ঘ) ইসলাম: মুসলমান কন্যাকে মুসলমানের কাছেই বিয়ে দিতে হবে। কোনো ঈসায়ীর কাছে দিলে হবে না। তবে কোনো পুরুষের জন্য ঈসায়ীকে বিয়ে করা জায়েজ।
ঙ) দীনদারী: দীনদারী দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, মেয়ে দীনদার। আর ছেলে কোন ধরণের কবীরা গুনাহে লিপ্ত। তাহলে সেও এই মেয়ের উপযুক্ত নয়। দীনদার নারীকে ফাসেকের কাছে বিয়ে দিলে বাবাকে কেয়ামাতের দিন জবাবদিহি করতে হবে।
চ) আলেমা: কোনো সত্যিকারের আলেমা মেয়ের কুফু গায়রে আলেম হতে পারবে না। সব মহিলা মাদরাসার ছাত্রীরা ভালো আলেমা হয় না এটা সবার আগে মনে রাখতে হবে। তবে ভালো মজবুত যোগ্যতাসম্পন্ন আলেমা মেয়ের বিয়ে গাইরে আলেমের কাছে দিতে পারবে না। তবে আলেম ছেলে আলেমা ও গায়রে আলেমা সবাইকে বিয়ে করতে পারবে।"
মাসুদের মতে, "এই ছয়টি বিষয় বিয়ের সময় পিতার দেখা জরুরি। কিন্তু আজকাল সমাজে কুফু মিলানো অনেক কঠিন। যদি বাবা এসব দেখা শুরু করে তাহলে সবদিক দিয়ে মিলানো মুশকিল। তাই ফুকাহায়ে কেরাম এর একটি সুরত বের করেছেন। সেটা হলো, ‘কোনো কুফুওয়ালা ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী বানিয়ে দেয়া। কেননা কোনো গাইরে কুফুর কাছে মেয়ে বিয়ে দেয়ার চেয়ে কুফুওয়ালা ছেলের দ্বিতীয় স্ত্রী বানানো উত্তম। এর মাঝে দাম্পত্যজীবন সুখী হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি। গাইরে কুফুওয়ালার কাছে দাম্পত্যজীবন সফল হওয়ার সুযোগ অনেক কম। এর মাঝে সারাজীবন দুঃখিনী মহিলা কষ্ট পেতে থাকে। একটা সময় এসে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। অশান্তি দেখা দেয়। তাই পরিবারে শান্তির জন্য কুফু দেখে বিয়ে দেয়া জরুরি।"
মালেকী অবস্থান
ঐতিহ্যবাহী মালেকী অবস্থান বলে যে, স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের জন্য ধর্মের মধ্যে কুফু হল সমানুপাতিক।
শাফি অবস্থান
শাফেয়ী চিন্তাধারার মতে, কুফু বংশ, ধর্মীয়তা, পেশা, এবং ত্রুটিমুক্ত হওয়া যা বিবাহ চুক্তি (নিকাহ) বাতিল করার অনুমতি দেয়। কাকে বিয়ে করতে হবে তার সুপারিশ হিসেবে এটা ভুল বোঝা যাবে না। বরং, এটি একটি আইনী নিষেধাজ্ঞা হিসাবে গ্রহণ করা উচিত যাতে একজন নারীর বিবাহের ক্ষেত্রে তার স্বার্থ রক্ষা করা যায়। যদি কোন মহিলা এই বিষয়গুলির উপর ভিত্তি করে আপাতদৃষ্টিতে বেমানান কাউকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক হয়, তাহলে তা করতে তার কোন দোষ নেই। তদনুসারে, একজন আরব মহিলার কোনো অনারব পুরুষকে বিয়ে করা উচিত নয়; একইভাবে, একজন পুণ্যবান মহিলার দুর্নীতিগ্রস্ত পুরুষকে বিয়ে করা উচিত নয়, (যদিও স্বামী তার অন্যায় ত্যাগ করা যথেষ্ট)। উচ্চতর পেশার কারও কন্যাকে নীচ পেশার পুরুষকে বিয়ে করা উচিত নয়। উভয় পক্ষের সম্পদ বিবেচনার বিষয় নয়, কারণ এটি নিছক সাময়িক এবং "যারা আত্মসম্মান এবং বুদ্ধিমত্তার অধিকারী তারা এতে গর্ব করে না।"
হাম্বলী অবস্থান
হাম্বলী চিন্তাধারার পণ্ডিতরা বলেন যে, কুফু পাঁচটি বিষয়, যেমন, ধর্ম, বংশ, স্বাধীনতা, চাকরি এবং সম্পদের উপর ভিত্তি করে মিল এবং আনুপাতিকতার প্রতিনিধিত্ব করে।
@Abdus Sabur Dhms

চোখ যাক খুলে

 সিরিয়াস হাদীস

কাব ইবনু আজুরা রা: বলেন, ‘এক ব্যক্তি রাসূল সা:-এর নিকট দিয়ে গমন করে। সাহাবিরা লোকটির শক্তি, স্বাস্থ্য ও উদ্দীপনা দেখে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল, এই লোকটি যদি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদে থাকত! তখন তিনি বলেন, যদি লোকটি তার ছোট ছোট সন্তানদের জন্য উপার্জনের চেষ্টায় বেরিয়ে থাকে তাহলে সে আল্লাহর রাস্তাতেই রয়েছে। যদি সে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতার জন্য উপার্জনের চেষ্টায় বেরিয়ে থাকে তাহলে সে আল্লাহর রাস্তাতেই রয়েছে। যদি সে নিজেকে পরনির্ভরতা থেকে মুক্ত রাখতে উপার্জনের চেষ্টায় বেরিয়ে থাকে তাহলে সে আল্লাহর রাস্তাতেই রয়েছে।’ (মুনজিরি, আত-তারগিব-৩৩৫, হাইসামী, মাজমাউজ যাওয়ায়েদ-৩২৫)

কুরআনকে বিরক্তিকর করে না তোলা

 এ বাস্তবতা আমরা ক’জন মেনে চলি?

তাবিয়ি ইকরিমাহ্ রহ: থেকে বর্ণিত-‘আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: বলেছেন, হে ইকরিমাহ। প্রত্যেক জুমায় (সপ্তাহে) মাত্র একদিন মানুষকে ওয়াজ-নাসিহত শুনাবে। যদি একবার ওয়াজ-নাসিহত করা যথেষ্ট নয় মনে কর তাহলে সপ্তাহে দু’বার। এর চেয়েও যদি বেশি করতে চাও তাহলে সপ্তাহে তিনবার ওয়াজ-নাসিহত করো। তোমরা এ কুরআনকে মানুষের কাছে বিরক্তিকর করে তুলো না। কোনো জাতি যখন তাদের কোনো ব্যাপারে আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত থাকে তখন তোমরা সেখানে পৌঁছলে তাদের আলোচনা ভেঙে দিয়ে তাদের কাছে ওয়াজ-নাসিহত করতে যেন আমি কখন তোমাদের না দেখি। এ সময় তোমরা চুপ করে থাকবে। তবে তারা যদি তোমাদেরকে ওয়াজ-নাসিহত করার জন্য বলে তখন তাদের আগ্রহ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদেরকে হাদিস শুনাও। কবিতার ছন্দে দোয়া করা পরিত্যাগ করবে এবং এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সা: ও তাঁর সাহাবিগণকে দেখেছি, তারা এরূপ করতেন না।
-(বুখারি-৬৩৩৭, মিশকাতুল মাসাবিহ-২৫২)

জীবনের মানে

 জীবনটা ধনী হওয়ার জন্য নয়, জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নয়, উচ্চ শিক্ষিত বা পার্ফেক্ট হওয়ার জন্য নয়।

জীবন হলো যথার্থ বা আসল মানুষ হওয়ার জন্য, বিনয়ী আর দয়ার্দ্র মানুষ হওয়ার জন্য
LIFE IS NOT ABOUT BEING RICH, BEING POPULAR, BEING HIGHLY EDUCATED OR BEING PERFECT. IT'S ABOUT BEING REAL, BEING HUMBLE AND KIND

রিঅ্যাকশান

তোমাকে যা যা বলা হয়েছে তার সব ক’টাতেই যদি আবেগ প্রবন হয়ে রিঅ্যাকশান দেখাও, তুমি Suffer করবে। এর চে’ বরং আগে যুক্তি দিয়ে বিচার করো তোমার কি করা উচিত। যদি শব্দগুলো তোমাকে কন্ট্রোল করে তবে যে কেউই তোমাকে কন্ট্রোল করতে পারবে। থিতু হও। স্থানু হও। চিন্তা করো।
কিছু কিছু জিনিসকে এমনিতেই চলে যেতে দেয়া উচিত। -বলেছেন ব্রুস লী 

Saturday, May 7, 2022

ভুলে যাওয়ার সমস্যা?

 Playing word games/puzzles could be healthy for brain

সহজ কিছু খেলা নিয়মিত খেললে অনেকটাই প্রতিরোধ করা যেতে পারে
বয়স যত বাড়ে, ততই ক্ষয় হতে থাকে স্নায়ুকোষের। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ভুলে যাওয়ার সমস্যা। কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে স্নায়ুবৈকল্য ও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা। কিন্তু জানেন কি সহজ কিছু খেলা নিয়মিত খেললে অনেকটা প্রতিরোধ করা যেতে পারে এই ধরনের সমস্যা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দছককের মতো খেলা নিয়মিত খেললে অনেকটাই দূরে থাকে স্নায়ুর ক্ষয় সংক্রান্ত সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে অধিকাংশ কোষ ও কলাই ভেঙে যেতে থাকে। সক্রিয় ভাবে এই ক্ষয় প্রতিরোধ না করলে অচিরেই দ্রুত বুড়িয়ে যায় মানুষ। মস্তিস্ক ও স্নায়ুকোষও এর ব্যতিক্রম নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন শব্দকোষের মতো খেলা নিয়মিত খেললে মানুষের অজান্তেই সক্রিয় থাকে মস্তিস্ক। মস্তিষ্কের কোষকে বলা হয় নিউরোন। নিয়মিত এই ধরনের খেলা খেললে এই কোষগুলির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। নতুন নিউরনও গঠিত হয়। ফলে বৃদ্ধি পায় স্নায়ু সংযোগ। স্নায়ু সংযোগ বৃদ্ধি পেলে ভাল থাকে স্মৃতিশক্তি। বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, কম বয়স থেকেই যদি এই ধরনের খেলা নিয়মিত খেলার অভ্যাস থাকে, তবে বেশি বয়সে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমতে পারে।
-সূত্র: আনন্দবাজার

যেগুলো কথা মা-বাবাকে বললে তাদের জন্য বিশাল ক্ষতি

 Words can be eternally damaging especially coming from kids

সন্তানদের উচিত মা-বাবার প্রতি বিনম্র থাকা, সুন্দর ভাষায় কথা বলা
১. অমুকের মা তোমার চেয়ে ঢের ভালো
So & so's Mom is better than you.
২. তুমি আমাকে আগেই সে কথা বলেছো
You told me that already.
৩. তোমার মতো বাবা আমার না হলে ভালো হতো
I wish you weren't my Dad.
৪. তুমি আমার আমার অন্য ভাই/বোনকে বেশী ভালোবাসো
you love my Brother/Sister more than me.
৫. মা হিসেবে তুমি খুব খারাপ
You are a bad Mom
৬. তুমি আমাকে ভালোবাসোনা।
You don't love me.
৭. আমি মনে করি তুমি মরে গেছো
I wish you were dead.
সূত্র: রিডার্স ডাইজেষ্ট, এপ্রিল ২০২২

তুষ্ট জীবন

 জনৈক ব্যক্তি হাতিম আ‘ছাম (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করেন, عَلَى ما بَنَيْتَ আপনি আপনার জীবন কিভাবে পরিচালনা করেন?

তিনি বললেনঃ
‘আল্লাহর উপরে ভরসার ভিত্তিতে। অতঃপর তিনি বলেন, চারটি বিষয়ের উপর আমার জীবনাচরণের ভিত্তি নির্মাণ করেছি। তা হ’লঃ
১) আমি জানি আমার জন্য বরাদ্দ রিযিক আমি ব্যতীত অন্য কেউ খেতে পারবে না। তাই সে ব্যাপারে আমি আত্মিক প্রশান্তি লাভ করি।
(২) আমি জানি যে, আমি ছাড়া আমার আমল অন্য কেউ করে দিবে না। তাই আমি সৎ আমলে ব্যস্ত থাকি।
(৩) আমি জানি মৃত্যু আমার নিকট হঠাৎ চলে আসবে, তাই আমি দ্রুততার সাথে পরকালীন পাথেয় সঞ্চয় করি।
(৪) আমি জানি আমি যেখানেই থাকি না কেন, কখনোই আমি আল্লাহর দৃষ্টিসীমার বাইরে যেতে পারব না। তাই সবসময় আমি তাঁকে লজ্জা করি’।
-আত-তাহরীক সূত্র

চুলের যত্ন নিয়ে এমন অনেক প্রচলিত ধারণা রয়েছে, যা আদতে সত্যি নয়

 ১) প্রতিদিন তেল লাগালে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে: অনেকেই মনে করেন, রোজ নিয়ম করে মাথায় তেল লাগালে তাড়াতাড়ি চুল বাড়বে। এমনটা একেবারেই নয়। মাথার তালু তৈলাক্ত হয়ে থাকলে তাতে ধুলো-ময়লা বেশি জমবে এবং তাতে চুল পড়া বাড়বে বইকি কমবে না। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন তেল মালিশ করলেই যথেষ্ট। তাতে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বাড়বে এবং চুলের গোড়া মজবুত হবে। তেল লাগানোর কিছু ক্ষণ পরেই শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।

২) ন্যাড়া হলে চুল ঘন হয়: ন্যাড়া হলেই যে ঘন চুল হবে, তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। চুল গজায় ফলিক্‌ল থেকে। তা মাথার তালুর কয়েক মিলিমিটার নীচে থাকে। চুল কামানোয় ফলিক্‌লের উপর কোনও ভাবেই প্রভাব পড়ে না।
৩) বার বার চুল কাটলে চুল তাড়াতাড়ি বাড়ে: নিয়মিত চুল কাটলেই চুল বাড়বে, এ ধারণা ভুল। কয়েক মাস অন্তর চুল কাটতে বলা হয় কারণ চুলের ডগা ফেটে গেলে চুলের নীচের দিকটা খুব পাতলা হয়ে যায়। তখন দেখতেও ভাল লাগে না। চুল গোঁড়ার দিক থেকে বাড়ে। আর সম্পূর্ণটাই নির্ভর করছে আপনার জিনের উপর আর আপনি কতখানি চুলের যত্ন করছেন তার উপর।
৪) পাকা চুল তুললে আরও বেশ গজায়: একটি পাকা চুল টেনে তুললে আরও চুল পেকে যাবে, এমন প্রমাণ কোনও গবেষণায় পাওয়া যায়নি। প্রতিটি চুল পৃথক হেয়ার ফলিকল থেকে গজায়। তাই একটি পাকা চুল তুললে পরে সেই ফলিকলটি থেকে যেই নতুন চুল গজাবে সেটিও সাদা হবে। তবে এর কারণে অন্য ফলিকলগুলির উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। তাড়াতাড়ি চুল পাকার কারণ মূলত জিনগত এবং কিছুটা জীবনযাপনে নানা ভুলত্রুটির জন্য।
৫) চুলের প্রকৃতি তৈলাক্ত হলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত নয়: কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল তৈলাক্ত হয় না। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন।
-আনন্দবাজার সূত্র