ছোট গল্প
When the vision is blurred, effect is rippled
যেদিকে তাকাই অথই পাথার! মা’বুদ তোমার সাহায্য ছাড়া আমি বাঁচবো না যে! দয়া করো। ফিরে চাও আমার দিকে।
নিরাশার পাথারে তোমাকে ভাসতে দেখে মা’বুদ স্থির না থেকে তোমার জন্য মাঝি আর নৌকো পাঠালেন। তুমি যার পর নেই উল্লসিত হলে। তুমি উঠে গেলে নৌকোতে। মা’বুদ খুশী হলেন। পাড়ে এসে তুমি নেমে গেলে নৌকো থেকে, তোমার গন্তব্যের পানে চললে। মাঝি রয়ে গেলো বৈঠা হাতে, নৌকোতে। মাঝি ভেবেছিলো তুমি অন্তত: একবার ফিরে তাকাবে। কিন্তু মঝির সব আশা বিফল করে তুমি চলেই গেলে তোমার নিশানার দিকে। মাঝির দৃষ্টি ধীরে ধীরে ঝাপসা হয়ে আসে। একবার ডান হাতটাও উঁচু করে তোমাকে ডাকতে, আবার মনের অজান্তেই হাতটা নামিয়ে ফেলে। ব্যাকুল মাঝি তার অন্তরকে প্রবোধ দেয় -হৃদয়ের মধ্যে অত্যন্ত একটা বেদনা অনুভব করে বিশ্বব্যাপী বৃহত অব্যক্ত মর্মব্যথা অনুভবে এনে, “ওকে ফিরে আসার কথা বলে ফল কী। পৃথিবীতে কে কার।”
পেশীবহুল হাতে বৈঠা মেরে মাঝি গুন গুন করে গাইতে থাকে, “যতই হানিবে হেলা ততই সাধিবো… জনম জনম তব তরে,” উথাল পাথাল মনের ভুলে আবারো বেসুরো গলায় গায়- “আমার দোষে কারো নাকি কপাল ভেংগেছে, সেই কপালে বিনা রোদে আগুন…..”
কষ্টে কষ্টে সে আবারও গায়…. “ভালোবাসলেও সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না, ঘর বাঁধা যায়না। হাজার বছর পাশে থাকলেও, কেউ কেউ আপন হয় না।”
উদাস মাঝি ফিরে চলে অজানা গন্তব্যের পানে।
পাথারে তখন জোয়ার এসেছে!
No comments:
Post a Comment