দেখা যায়, অনেকেই তেষ্টা পেলে তবেই জল খান। এটা কিন্তু একেবারেই ভুল। প্রথমে মেপে নিতে হবে, নিজের শরীরের জন্য নিয়মিত কত পরিমাণ জল পর্যাপ্ত। সেই হিসেব করে নিয়ম মেনে সময়ে-সময়ে পান করতে হবে জল। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা ২-৩ লিটার জল খাওয়া উচিত।
এনার্জি বাড়ায়: মাঝেমধ্যেই বিশেষ করে গরমের দিনে ক্লান্ত লাগে। কাজের এনার্জিও থাকে না। এটা হয় দেহে জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশনের কারণে। আসলে দেহে জলশূন্যতা আমাদের মস্তিষ্কে বেশ প্রভাব ফেলে। তার ফলে ক্লান্তিভাব আসে এবং কাজের ইচ্ছেও চলে যায়। তাই এনার্জির মাত্রা বাড়াতে বেশি করে জল খেতে হবে।
অবসাদ বা ক্লান্তিভাব দূর করে: শরীরে উপযুক্ত হাইড্রেশন হলে তা দেহের ক্লান্তিভাব দূর করতে সাহায্য করে। অনেক সময় বারবার ক্লান্তি অনুভব করার সঠিক কারণ আমরা বুঝে উঠতে পারি না। আসলে ডিহাইড্রেশনের (Dehydration) বিষয়টা আমাদের মস্তিষ্কই প্রথম বুঝতে পারে। কারণ জল মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য, না-হলে কোষে-কোষে বৈদ্যুতিক সঙ্কেত পৌঁছে দিতে পারবে না। ফলে যদি মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে পেশিও ভালো ভাবে কাজ করবে না। চোখও ক্লান্তিভাব আসবে। আর মস্তিষ্কও ঝিমিয়ে পড়বে।
মন-মেজাজ ভালো করতে: ডিহাইড্রেশন হলে ঘিরে ধরে একরাশ বিরক্তি। সেক্ষেত্রে এক গ্লাস জল খেয়ে নিলে দূর হবে সমস্যা। আসলে মন-মেজাজকে তরতাজা করতে ও চাঙ্গা রাখতে জল পান করা জরুরি।
ওজন কমাতে: ওজন কমানোর জন্য ভালো খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পর্যাপ্ত জল পান করাও অপরিহার্য। কারণ জল দেহের ওজন কমাতে সহায়তা করে। আসলে জলে ক্যালোরি বা ফ্যাট থাকে না, ফলে ক্যালোরি বার্ন করতে সাহায্য করে জল। এছাড়া খিদে কমায় এবং মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে দেয়। ফলে আমরা অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকি।
সুন্দর জেল্লাদার ত্বক পেতে: ত্বক সুন্দর, সতেজ এবং জেল্লাদার রাখতে জলের জুড়ি মেলা ভার। কোলাজেন নামে এক ধরনের প্রোটিন আমাদের ত্বকে থাকে, যা আমাদের ত্বককে টানটান ও সুন্দর রাখে। সেই কোলাজেন কিন্তু জলের উপর নির্ভরশীল। তাই শরীরে জল না-থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে কুঁচকে যায়। আর ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে হলে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা বাঞ্ছনীয়।
-নিউজ১৮
No comments:
Post a Comment