৭ খাবার খোসা(ত্বক)সহ খেলেই মঙ্গল

 ১. আলু

এর ভেতরে লোড করা আছে iron, calcium, magnesium, vitamin B6 and vitamin C.

আলু হেল্দি ভেজিটেবলগুলোর অন্যতম। এর খোসায় আছে বহু জাতের নিউট্রিয়েন্ট যা শরীরের জন্য সত্যিই দরকার। আর মিষ্টি আলুর খোসায় আছে beta-carotene যা হজমের প্রক্রিয়ায় ভিটামিন A তে পরিবর্তিত হয়। এটি চোখের জন্য বিশেষ দরকারী। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য vitamin A খুবই দরকারী।

২. টক ফল বা সাইট্রাস ফ্রুটস

শুনলে মাথা ঘুরে যাবে যে একটা কমলার খোসায় যে পরিমান ভিটামিন সি আছে তা ওর ভেতরেরটার দ্বিগুন। আরো আছে riboflavin, vitamin B6, calcium, magnesium, flavonoids and potassium. riboflavin, vitamin B6, calcium, magnesium আর potassium হলো প্রদাহ নাশক বা আর flavonoids হলো anti-cancerগুণ সম্পন্ন। তাহলে বাদটা দেবো কি?

৩. শশা বা খিরাই

গাঢ় রঙের শশা বা খিরাইতে আছে antioxidants যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগায়। আরো আজে পটাশিয়াম আর vitamin K. দুঃখের বিষয় যে আমরা শশা প্রায়ই খোসা ফেলে দিয়ে খাই। তাই এখন থেকে আর না খাই খোসাটা ফেলে দিয়ে।

৪. বেগুন

আমি অনেককে দেখেছি বেগুনের খোসা ফেলে দিতে। কিন্তু আমরা জানিনা যে এতে কি আছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এতে আছে nasunin বা নাসুনিন নামের একটি পাওয়াফুল antioxidant যা আমাদের স্নায়ুমন্ডলীর ক্যান্সার বিরোধী কাজ করে। নাসুনিন মানুষের ত্বক বুড়িয়ে যেতে দেয় না। বেগুনে chlorogenic acid থাকার কারণে এটি প্রদাহ নাশক বা anti-inflammatory. বেগুন কখনো চড়া আঁচে রান্না করতে নেই।

৫. আম

আমাদের এই উপমহাদেশেই এর জন্ম আর আমরাই এর কদর করতে জানিনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন আমের ত্বকে যা আছে তা আঙুরে থাকা অ্যন্টিঅক্সিড্যান্ট resveratrol-এর সমতুল। এই resveratrol চর্বি বার্ন

করায়। ফলে শরীরে বাড়তি চর্বি জমে না। তাছাড়া আমের ত্বকে আছে প্রচুর পরিমাণে carotenoids, polyphenols, omega-3, omega-6 ও polyunsaturated fatty acids যেগুলো ভেতরের ফলের প্রায় দ্বিগুন। তাছাড়াও আমের খোসায় আছে quercetin আমের আরেকটি flavonoid যা প্রদাহ নাশক।

৬. গাজর

এর ত্বকে যা যা আছে তা ভেতরের চেয়ে অনেক বেশী। খোসা বা ত্বকে অছে polyacetylenes যা ব্যাক্টেরিয়া ও একই সাথে প্রদাহ নাশক। গাজরের ত্বকে উদ্ভিজ্জ নিউট্রিয়েন্ট বা phytonutrients প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

৭. তরমুজ

এদেশে সকলেই তরমুজ খায় খোসাটা ফেলেই। আমরা জানিনে যে এর খোসায় আছে citrulline নামের antioxidant যা শরীরে ঢুকলে বদলে যায় arginine আরজিনিন নামের একটি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিডে। আরজিনিন হার্ট আর রক্তসংবহন তন্ত্রের জন্য বিশেষ ভাবে দরকারী। তরমুজের খোসার আরেক নাম রিন্ড (Rind)। প্রস্রাব সংক্রান্ত সমস্যায় রিন্ড বিশেষআবে কার্যকর। তরমুজের লাল আর রিন্ডসহ সাদা অংশ বেল্ড করিয়ে নিয়ে খেলেই কেল্লাফতে। এ কাজটা আমি করি। আমার মা প্রায় বহু বছর আগে আমাকে এটা জানিয়েছে।

আমরা যত উন্নত হচ্ছি ভালো খাবারগুলোও খেতে ভুলে যাচ্ছি। ফাস্ট ফুড যে কখন লাষ্ট ফুড হয়ে যায় তা কিন্তু জানিনা। আমাদের ফলগুলো বা শব্জিগুলোতে আছে হরেক রকমের কীটনাশক যেগুলো হজম করাও মুশকিল। তবে আমরা একটু জ্ঞান করলে সেগুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে পারি। বিজ্ঞানীরা বলছেন জলের স্প্রে দিলে ফলগুলো বা শব্জিগুলোর কীটনাশক বহুলাংশে বের হয়ে যায় ফলে তা হয় নিরাপদ খাবারযোগ্য।

সূত্র:

১. দ্য অল্টানেটিভ ডেইলী

২. আমার পাঠ