যাদের ফুলকপি না খাওয়াই ভালো!
শীতকাল মানে সুস্বাদু সবজির সমারোহ। শীতকালীন সবজির মধ্যে আইকন বা একেবারে প্রতীকী সবজি হচ্ছে ফুলকপি। ভাজি, মাছ দিয়ে ঝোল, বেসন দিয়ে ভাজা ফুলকপির কথা ভাবলেই জিভে আসে পানি। কিন্তু অতিরিক্ত ফুলকপি খাওয়ার কিছু অসুবিধার কথা কি আমরা জানি
খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ওয়েবসাইট ইটদিসনটদ্যাট-এ প্রকাশিত নিবন্ধ থেকে জেনে নেওয়া যাক অতিরিক্ত ফুলকপির কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা-
ফুলকপি হল ক্রুসিফেরাস গোত্রের সবজি, একই রকম সবজি যেমন বাঁধাকপি, ব্রকলি। আর এসব সবজিতে ব়্যাফিনোস নামক একটি কমপ্লেক্স সুগার রয়েছে যা কিনা সহজে হজম হতে চায় না।
বরং এই উপাদানের কারসাজিতে অন্ত্রে গ্যাসের প্রকোপ বাড়ে। আর এই কারণেই বেশি বেশি ফুলকপি কিংবা যেকোনো কপি খেলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি সহ গ্যাসট্রাইট্রিসের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে।
বিশেষত, যারা ইতিমধ্যেই আইবিএস, আইবিডি-এর মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাদের এই সবজি থেকে যতটা সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের ব্যাপারে সাবধান
ফুলকপিতে থাকা ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট আইসোথিওসায়ানেটেস নামের একধরনের অণু উতপাদন করে, যা কিনা আপনার দেহের আয়োডিন শোষণ মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশেষ করে যাদের খাবারে আলাদাভাবে কম আয়োডিন থাকে তারা ফুলকপি বেশিমাত্রায় খেলে আয়োডিনের অভাব বেড়ে যেতে পারে। শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি থেকে জন্ম নিতে পারে হাইপোথাইরয়েডিজম। যারা ইতিমধ্যে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত তারা ফুলকপিসহ অন্যান্য কপি এড়িয়ে চলাই ভাল।
রক্ত তরল করার ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়ার সম্ভাবনা
স্ট্রোক এবং হার্টের অসুখে আক্রান্তদের চিকিতসকেরা ব্লাড থিনার বা রক্ত তরল করার ওষুধ দিয়ে থাকেন। তবে ফুলকপিতে মজুত থাকা ভিটামিনকে এই ওষুধের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ব্লাড ক্লট বা জমাট তৈরি করতে পারে। তাই এরকম ওষুধ খেলে ফুলকপি থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
অ্যালার্জি ও ক্ষুধা মন্দা
ফুলকপিতে মজুত থাকা কিছু উপাদান অনেকের সহ্য হয় না। কারও কারও এই সবজি খেলে ব়্যাশের উঠতে পারে, হতে পারে চুলকানিও।
আবার ফুলকপিতে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ইত্যাদি উপাদান কম কিন্তু ফাইবারে ভরপুর। এজন্য যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ফুলকপি খাওয়া উত্তম। কারণ এতে পেট ভরা থাকে ক্ষুধা কম পায়।
তবে যারা ইতিমধ্যে কম ওজনের এবং অন্যান্য পুষ্টিউপাদানের স্বল্পতায় ভুগছেন তাদের জন্য ফুলকপি ক্ষুধামন্দার কারণ হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
দ্রষ্টব্যঃ প্রতিবেদনটি সাধারণ সচেতনতার জন্য। কোনো আতঙ্ক ছড়ানো কিংবা কোনো কিছু খেতে নিরুতসাহিত করতে নয়। কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই আপনার চিকিতসকের পরামর্শ নেবেন।
No comments:
Post a Comment