সূর্যতাপ মানুষের দেহে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে যেমন ক্যান্সার আক্রমণ করতে পারে তেমন আবার সূর্যতাপের প্রভাবে দেহে ভিটামিন ডি তৈরিও হয়।
সূর্যতাপ মানুষের দেহে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে যেমন ক্যান্সার আক্রমণ করতে পারে তেমন আবার সূর্যতাপের প্রভাবে দেহে ভিটামিন ডি তৈরিও হয়। এখানে তুলে ধরা হলো সূর্যতাপের কয়েকটি প্রভাবের কথা।
১. মুড
সূর্যতাপে মানুষের মন ভালো হয়। মূলত মস্তিষ্কের বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই এমনটা হয়। মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় কিংবা মন খারাপ থাকলে তাই অনেকেই বাইরের আলো-বাতাসে হেঁটে উপকৃত হন। এক্ষেত্রে প্রখর সূর্যতাপ প্রয়োজন নেই, দেখার মতো উজ্জ্বল আলো হলেই তা মুড পরিবর্তন করতে পারে।
২. ভিটামিন ডি
সূর্যতাপ দেহকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি দেহের হাড়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন। পাশাপাশি ভিটামিন ডি মস্তিষ্ক গঠনেও ভূমিকা রাখে। ভিটামিন ডি গ্রহণ করার জন্য বেশি রোদে থাকার প্রয়োজন নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে দুইবার পাঁচ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত সময় রোদে থাকলেই চলবে।
৩. হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য
বহু গবেষণাতেই ভিটামিন ডি অভাবজনিত সমস্যার সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক নির্ণিত হয়েছে। ২০১৩ সালে ডেনমার্কের গবেষকরা জানান, হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে সূর্যতাপ ভূমিকা রাখে। এ কাজে তারা চার মিলিয়ন মেডিক্যাল রেকর্ড বিবেচনা করেন।
৪. শক্তিশালী হাড় ও মাংসপেশি
সূর্যতাপে কিছু সময় ব্যয় করা হলে তা মানুষকে শক্তিশালী হাড় ও মাংসপেশি দেয়। সূর্যতাপে নিয়মিত যাতায়াতকারী ব্যক্তিরা অন্যদের তুলনায় শক্তিশালী হাড় ও মাংসপেশির অধিকারী হয় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
৫. প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার
প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সার বিশ্বের প্রচলিত ক্যান্সারগুলোর মধ্যে ১২তম এবং সপ্তম প্রাণঘাতী ক্যান্সার। যেসব দেশে সূর্যালোক কম সেসব দেশে এ ক্যান্সার বেশি। তাই সূর্যালোকের সঙ্গে প্যানক্রিয়েটিক ক্যান্সারের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।
৬. স্তন ক্যান্সার
স্তন ক্যান্সার আরেকটি প্রাণঘাতী সাধারণ ক্যান্সার। এ ক্যান্সারের প্রকোপ কম হয় সূর্যালোকের নিচে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে। যেসব নারী গত ১০ বছর ধরে প্রতিদিন এক ঘণ্টা বা তার বেশি সময় বাইরে কাটান তাদের মাঝে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা কম হয় বলে জানান গবেষকরা।
৭. রক্তচাপ
হাইপারটেনশন কিংবা রক্তচাপ শীতপ্রধান দেশে বেশি। আর এর কারণ হিসেবে জানা যায় সূর্যতাপের কথা। যেসব দেশে বেশি সূর্যতাপ পাওয়া যায়, সেসব দেশের মানুষদের রক্তচাপ কম হয়।
৮. ফুসফুসের সুস্থতা
শহরের দূষিত বায়ু দূষণ আরো বাড়ায় সূর্যতাপ। মূলত সূর্যতাপের আলট্ইরা-ভায়োলেট রে বা উভির প্রভাবে বায়ুর ধোঁয়া তৈরিকারী রাসায়নিকগুলো পরিবর্তিত হয়। আর এতেই বেড়ে যায় দূষণের মাত্রা।
৯. আর্থ্রাইটিস
আর্থ্রাইটিস বা বাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায় সূর্যতাপ। যারা নিয়মিত সূর্যতাপে থাকে তাদের এ রোগের ঝুঁকি কম হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: ফক্স নিউজ
No comments:
Post a Comment