Saturday, December 21, 2024

জবা ফুলের চা

 জবা ফুলের চা

AT A GLANCE:
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে ...
কোলেস্টেরল কমায় ...
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে ...
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ...
পিরিয়ডের সমস্যা মেটায় ...
মানসিক অবসাদ কমায় ...
ওজন কমায় ...
জবা ফুল থেকে তৈরি চা খুবই জনপ্রিয়। কেননা, ফুলের মতো জবা ফুলের চা-তেও রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে। আর তাই সারা বিশ্বে জবা চায়ের জনপ্রিয়তা ক্রমেই বাড়ছে। জবা চায়ের কী কী উপকারিতা আছে, তা জানলে হয়তো কেউই এটা মিস্ করতে চাইবেন না।
জবা ফুলের চায়ের গুণ
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে
সম্প্রতি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা এক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, এই বিশেষ চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ নিমেষে রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা আজকাল অফিসে কাজের চাপ এবং দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা থেকে রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তারা জবা ফুলের চা খেতে পারেন।
কোলেস্টেরল কমায়
রক্তচাপ বাড়লে এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়মমতো না হলেই বাড়ে কোলেস্টেরল। সেখান থেকে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বাড়ে। জবার চা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। কোলেস্টেরলও জমতে দেয় না। এ ছাড়া ব্রেইন ও হার্টের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায় জবা ফুলের চা।
লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে
জবা ফুলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। এর ফলে লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে অনেক উপকারও পাওয়া যায়। ক্যানসারের আশঙ্কা কমে। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে
জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড আমাদের শরীরে ভিটামিন সি-র চাহিদা মেটায়। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। যে কারণে সর্দি-কাশির আর্য়ুবেদিক ওষুধ তৈরিতেও জবা ফুল ব্যবহার করা হয়।
পিরিয়ডের সমস্যা মেটায়
মেয়েদের বিশেষ সময়ে যদি নিয়মিত জবা ফুল দিয়ে বানানো চা খাওয়া যায়, তাহলে পিরিয়ড ক্র্যাম্প এবং যন্ত্রণা অনেকটাই কমে। সেই সঙ্গে অন্যান্য অস্বস্তিও দূর হয়। প্রসঙ্গত, হরমোনাল ইমব্যালেন্স কমাতেও এই পানীয়টি দারুণ কাজে আসে। তাই মেয়েরা যদি প্রতিদিন এই চা পান করতে পারেন, তাহলে দারুণ উপকার পেতে পারেন।
মানসিক অবসাদ কমায়
নানা কারণে মনটা খারাপ হলে ঝটপট এক কাপ জবার চা বানিয়ে পান করুন। এমনটা করলে দেখবেন মুড একেবারে ফ্রেশ হয়ে যাবে। কারণ, এতে উপস্থিত উপকারী ভিটামিন এবং মিনারেল স্নায়ুতন্ত্রে তৈরি হওয়া প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি অ্যাংজাইটি কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ওজন কমায়
নিয়মিত জবার চা খেলে শরীরে শর্করা এবং স্টার্চের শোষণ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। জবা ফুলের চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে অ্যামিলেস নামক একটি উপাদানের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
যেভাবে বানাবেন
জবা ফুলের পাঁপড়িগুলো ছিঁড়ে নিন। এবার মাঝখানের ডাঁটা ফেলে দিন। পানির মধ্যে দারুচিনি বা এলাচ ফেলে ফুটিয়ে নিন। ১০ মিনিট ফোটানোর পর রং বদলালে ছেঁকে নিন। মধু মিশিয়ে খান। গ্রিন টি ব্যবহার করতে পারলে খুবই ভালো।
আর জবা ফুলের পাঁপড়ি সাত দিন রোদে ফেলে শুকিয়ে তা কাচের জারে সংরক্ষণ করেও রাখতে পারেন। তারপর চা তৈরির সময় মিলিয়ে নিতে পারেন।
সূত্র: টিভি৯ বাংলা
Spread your knowledge
May be an image of text that says "A study of of 282 beverages revealed that hibiscus tea ranked highest in antioxidant content, even higher than green or matcha. Hibiscus tea has been found to be potentially as effective as the leading blood pressure drugs. The daily consumption of hibiscus tea may significantly lower blood pressure by boosting nitric oxide production. which could help arteries relax and dilate better."
s Khanom

No comments:

Post a Comment