'একটি নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষার পর চিকিৎসক আমাকে জানান শারীরিক সমস্যার কথা। আমাকে ছেড়ে চলে যান সঙ্গিনী। কোনোদিন কৌমার্য হারাবো না- এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে জীবনযাপন করছি। এতে অন্যান্য মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন হয়েছে যা আর কোনোদিন শেষ হবে না', এভাবে নিজের জীবনের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন নামা প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি। এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে দ্য গার্ডিয়ান। লেখক নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছেন, যৌনতাবিহীন জীবনকে যারা ভালো মনে করেন, এই জীবন তার চেয়ে অনেক বেশি ভালো।
সদ্য মধ্যসয়সে উপনীত ভদ্রলোক এখন একা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং এক সময় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। ঠিক কখন হয়েছিল জানা নেই, এক পর্যায়ে তিনি বুঝলেন তার সেই নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কথা। সঙ্গিনী যখন তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেন তখন বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। তবুও মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তিনি লিখেছেন, এর পর অনেক কিছুই করতে পারতাম। ঘৃণা থেকে বহু মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারতাম। নিজের বাঁধনহীন জীবনটাকেও উপভোগ করতে পারতাম ইচ্ছেমতো। কিন্তু আমি তা করিনি। কিন্তু আমি যৌনতাবিহীন জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ সেক্সের কারণে এক রাতের সম্পর্ক গড়তে রাজি নই। এক মুহূর্তের বাসনা মেটানোর মধ্যে বরং রয়েছে হাজারো ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা। আবার অন্য কারো সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কে জড়ালেও তা খারাপ কিছু বয়ে আনতে পারে। যদি আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে আমার এই রোগ ঢুকে যায়?
এখন আসল প্রশ্ন হলো, আমি কী সেই উত্তেজনাপূর্ণ কামবাসনা মিস করছি? সত্যিকার অর্থে, যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা মোটেও নয়। আপনারাও যেভাবে ভাবছেন তেমন কিছু কিন্তু মিস হয় না। যেকোনো মানুষ চাইলেই সেক্সের প্রতি এই জৈবিক আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে। এ জন্য দেহ ও মনের সুন্দর সমন্বয় দরকার। যৌনতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তা একবার বিচ্ছিন্ন করতে পারলে যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না।
শুধু তাই নয়, যৌনতাকে বিদায় জানানোর পর আমার অন্যান্য মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমার মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা না থাকায় আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছি। আমি এখন তাদের সেই বন্ধু যার কাছে তারা সব সময়ই নিরাপদ। তবে যারা জানেন না, তারা মনে করেন আমি সমকামী। সেই ভুল ধারণাও পরে ভেঙে যায়।
কুমার থাকার প্রবণতা শুধু আমার অসুস্থতার কারণেই এসেছে তা নয়। আরো বহু ভালো দিক রয়েছে যার কারণে অনেকেই এ পথ গ্রহণ করেন। আপনিও যদি এ পথে যেতে চান, তবে মনটাকে শক্ত করে সুষ্ঠুভাবে চর্চা করুন। দেখবেন, নতুন এক জীবনের স্বাদ পাবেন যা আগে কখনো পাননি। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
সদ্য মধ্যসয়সে উপনীত ভদ্রলোক এখন একা, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং এক সময় বিপরীত লিঙ্গের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী ছিলেন। ঠিক কখন হয়েছিল জানা নেই, এক পর্যায়ে তিনি বুঝলেন তার সেই নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কথা। সঙ্গিনী যখন তাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা বলেন তখন বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েন তিনি। তবুও মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
তিনি লিখেছেন, এর পর অনেক কিছুই করতে পারতাম। ঘৃণা থেকে বহু মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারতাম। নিজের বাঁধনহীন জীবনটাকেও উপভোগ করতে পারতাম ইচ্ছেমতো। কিন্তু আমি তা করিনি। কিন্তু আমি যৌনতাবিহীন জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ সেক্সের কারণে এক রাতের সম্পর্ক গড়তে রাজি নই। এক মুহূর্তের বাসনা মেটানোর মধ্যে বরং রয়েছে হাজারো ভয়ঙ্কর সম্ভাবনা। আবার অন্য কারো সঙ্গে নতুন করে সম্পর্কে জড়ালেও তা খারাপ কিছু বয়ে আনতে পারে। যদি আমার ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে আমার এই রোগ ঢুকে যায়?
এখন আসল প্রশ্ন হলো, আমি কী সেই উত্তেজনাপূর্ণ কামবাসনা মিস করছি? সত্যিকার অর্থে, যতোটা ভেবেছিলাম ততোটা মোটেও নয়। আপনারাও যেভাবে ভাবছেন তেমন কিছু কিন্তু মিস হয় না। যেকোনো মানুষ চাইলেই সেক্সের প্রতি এই জৈবিক আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে। এ জন্য দেহ ও মনের সুন্দর সমন্বয় দরকার। যৌনতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তা একবার বিচ্ছিন্ন করতে পারলে যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না।
শুধু তাই নয়, যৌনতাকে বিদায় জানানোর পর আমার অন্যান্য মেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আমার মধ্যে এ ধরনের প্রবণতা না থাকায় আমি তাদের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছি। আমি এখন তাদের সেই বন্ধু যার কাছে তারা সব সময়ই নিরাপদ। তবে যারা জানেন না, তারা মনে করেন আমি সমকামী। সেই ভুল ধারণাও পরে ভেঙে যায়।
কুমার থাকার প্রবণতা শুধু আমার অসুস্থতার কারণেই এসেছে তা নয়। আরো বহু ভালো দিক রয়েছে যার কারণে অনেকেই এ পথ গ্রহণ করেন। আপনিও যদি এ পথে যেতে চান, তবে মনটাকে শক্ত করে সুষ্ঠুভাবে চর্চা করুন। দেখবেন, নতুন এক জীবনের স্বাদ পাবেন যা আগে কখনো পাননি। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
No comments:
Post a Comment