Sunday, March 19, 2017

ওভারিতে সিস্ট

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস সম্পর্কে অনেকেই অবগত। বর্তমানে অনেক নারীই এ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ওভারিতে ক্ষুদ্রকায় সিস্টের মাধ্যমে এর শুরু। পিসিওএসের কারণে নারীদের মাসিক ঋতুচক্র ও গর্ভধারণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে। নষ্ট হয় হরমোনের ভারসাম্য। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বাড়াতে পারে HEART DISEASE, ডায়াবেটিসসহ জরায়ুর ক্যান্সারের ঝুঁকি! তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ের পর চিকিত্সা করতে পারলে সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। সঠিক সময় ডিম্বাণু নির্গমন না হলে তা ওভারিতে জমতে শুরু করে, যা পরে সিস্ট তৈরি করে। সেখান থেকেই পিসিওএসের সূত্রপাত। নারীদের ওভারিতে সামান্য পরিমাণ অ্যান্ড্রোজেন হরমোন উত্পন্ন হয়। পিসিওএস হলে এ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে ঋতুচক্র পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে। ওজন বাড়ে, ব্রণ দেখা দেয়, শরীরে লোমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া পিসিওএসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর ইনসুলিন হরমোনের ব্যবহার সঠিক উপায়ে করতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে দেহে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়, হতে পারে ডায়াবেটিস।
সাধারণ উপসর্গ
চুল ঝরে যাওয়া পিসিওএসের সাধারণ উপসর্গের মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন— ঠোঁটের ওপর, ঘাড় ও গালে লোমের আধিক্য, মুখে ব্রণ, গর্ভধারণে সমস্যা, বিষণ্নতা ও ওজনের ভারসাম্যহীনতা এ রোগের অন্যান্য উপসর্গ। ঋতুচক্র স্বাভাবিক নিয়মে অব্যাহত না থাকলে ও এসব উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। তাছাড়া নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, পর্যাপ্ত পানি পান, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও বিশ্রাম সার্বিক সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি।
উপকারী খাবার
এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা এ রোগ নিরাময়ে ভালো ভূমিকা রাখে।

ফল: বিভিন্ন রঙের ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা পিসিওএস আক্রান্তদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আম, আপেল, কলা, খেজুর, লেবু ও কমলা শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণ করে।
গাঢ় সবুজ সবজি: গাঢ় সবুজ সবজিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম। এসব সবজির বি ভিটামিন পিসিওএস আক্রান্তদের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ এটি শর্করা ও চর্বি বিপাকে সহায়তা করে।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি শরীরের টক্সিন দূর করে এবং খাবারের পুষ্টিকে দেহে কাজে লাগায়; হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজননক্ষমতা বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। খাবারে অলিভ অয়েল, ডিম ও বাদাম রেখে পূরণ করতে পারেন এর চাহিদা।

No comments:

Post a Comment