স্মৃতি
ও ঘুমের নিবিড় সখ্যের
কথা জানা থাকলেও ঠিক
কী প্রক্রিয়ায় এই সম্পর্ক কাজ
করে—এত দিন তা
জানা ছিল না বিজ্ঞানীদের। যুক্তরাষ্ট্র
ও চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন,
সম্প্রতি অগ্রসর প্রযুক্তি ব্যবহার
করে মস্তিষ্কের কর্ম-প্রক্রিয়ায় ঘুম
ও স্মৃতিশক্তির সম্পর্ক নিয়ে নতুন ধারণা
লাভ করেছেন তাঁরা।
দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে এ-সম্পর্কে জানিয়েছে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন-বিয়াও গান বিবিসিকে বলেছেন, ঘুম নিউরনের সঙ্গে নিউরনের নতুন সংযোগ তৈরি করে—এ তথ্য একেবারেই নতুন, আগে এটা কারোরই জানা ছিল না।
স্মৃতি গঠনপ্রক্রিয়ায় ঘুমের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা জানা ছিল যে ঘুম সহায়তা করে। কিন্তু এ ধারণাও ছিল যে, হয়তো এতে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে, এটা সত্যিই সংযোগ তৈরি করে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিশ্চল থাকে না। এ সময় মস্তিষ্কে সারা দিন ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর অনেকটা পুনঃ মঞ্চায়নের মতো ঘটতে থাকে এবং স্মৃতিগঠনে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন-বিয়াও গান বিবিসিকে বলেছেন, ঘুম নিউরনের সঙ্গে নিউরনের নতুন সংযোগ তৈরি করে—এ তথ্য একেবারেই নতুন, আগে এটা কারোরই জানা ছিল না।
স্মৃতি গঠনপ্রক্রিয়ায় ঘুমের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটা জানা ছিল যে ঘুম সহায়তা করে। কিন্তু এ ধারণাও ছিল যে, হয়তো এতে অন্যান্য কারণও থাকতে পারে। এখন দেখা যাচ্ছে, এটা সত্যিই সংযোগ তৈরি করে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক নিশ্চল থাকে না। এ সময় মস্তিষ্কে সারা দিন ধরে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর অনেকটা পুনঃ মঞ্চায়নের মতো ঘটতে থাকে এবং স্মৃতিগঠনে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত এই গবেষণা প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কীভাবে দুই দল ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিজ্ঞানীরা ঘুম এবং স্মৃতির প্রত্যক্ষ সম্পর্কের বিষয়ে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ঘুম কেবল স্মৃতিশক্তির সঙ্গে সম্পর্কিতই নয়, বরং স্মৃতিগঠনে এবং স্মৃতি সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ পর্যাপ্ত ঘুম।
মার্কিন ও চীনা বিজ্ঞানীদের এই গবেষণায় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আবারও সামনে উঠে এসেছে। ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আরও কিছু গবেষণার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হলো এখানে—
১. ২০০২ সালে মার্কিন গবেষকেরা প্রায় ১০ লাখ মানুষের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জরিপ চালিয়ে দেখিয়েছেন যে, রাতে ছয় ঘণ্টার চেয়ে কম ঘুমানো কিংবা আট ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমানো মানুষেরা স্বল্পায়ু হয়ে থাকেন।
২.
রাতে ছয় ঘণ্টার চেয়ে
কম ঘুমান এমন মানুষেরা
অন্যদের তুলনায় তিনগুণ বেশি উচ্চরক্তচাপের
ঝুঁকিতে থাকেন।
৩.
যে নারীরা রাতে চার
ঘণ্টার চেয়েও কম ঘুমান,
তাঁদের হূদরোগে মারা যাওয়ার আশঙ্কা
অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ। এ ছাড়া পর্যাপ্ত
ঘুম না হলে ডায়াবেটিস
ও ওজন বেড়ে যাওয়া
বা মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
Source-দ্য গার্ডিয়ান
No comments:
Post a Comment