গরমের দিন
প্রায় চলেই এসেছে। স্নানের জলের উষ্ণতাও আমরা কমিয়ে নিচ্ছি। সাধারণত গরমে কেউ উষ্ণ
জলে গোসল করতে চান না। ভাবেন, এতে বুঝি অস্বস্তিই হবে। একদমই না, উষ্ণ জল সারা
বছরই স্নানের জন্য সেরা। বরং এমন জলে মাত্র ৫ মিনিটের স্নানও আপনাকে রাখতে পারে
দিনভর ফুরফুরে।
উষ্ণ স্নানে
পানির তাপমাত্রা হওয়া উচিত ৯৬ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট। উষ্ণ স্নান শুধু ভালো
অনুভূতিই দেয় না, এটি স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। তবে বেশি সময় ধরে উষ্ণ স্নান নেয়া
ঠিক না, এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের উষ্ণ স্নান দেহ, পেশি,
জয়েন্ট ও মনে এনে দেয় চাঙ্গা ভাব।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
গরম পানি পেশি
ও জয়েন্টের ব্যথা কমায়। জয়েন্ট, রগ, টিস্যু ও পেশিতে পরিবাহিত হওয়ার সময় উষ্ণ জল
উদ্দীপকের কাজ করে। ফলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। হয়তো এক দফাতেই ব্যথা পুরোপুরি সেরে
যায় না। কিন্তু উষ্ণ পানিতে ৫ মিনিট স্নান ব্যথা কমিয়ে দিতে পারে অনেকাংশে। শরীরে
প্রদাহ থাকলে ও ফুলে যাওয়ার সমস্যা হলে তা প্রাকৃতিক উপায়ে সমাধানের অন্যতম উপায়
উষ্ণ জলে স্নান। কারণ এটি ম্যাসাজ ও ডাক্তারি চিকিত্সার চেয়ে সহজ ও অন্যতম
কার্যকরী উপায়।
পরিচ্ছন্ন ত্বক
লোমকূপে ময়লা
জমলে ত্বকে দাগসহ দেখা দেয় নানা চর্মরোগ। গরম পানি ও উষ্ণ ধোঁয়া ত্বকের লোমকূপ
খুলে দেয়। ফলে ভেতরে জমে থাকা ময়লা সহজেই বেরিয়ে আসে। গরম পানিতে স্নান সেরে
ঠাণ্ডা পানিতে কিছুক্ষণ স্নান করলে লোমকূপগুলো আবার বন্ধ হয়ে যায়। এতে ময়লা প্রবেশের
পথ বন্ধ হয়ে যায় ও তরতাজা অনুভূত হয়।
ওয়ার্ম আপ
শুনতে অদ্ভুত
লাগলেও ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করার আগে হট শাওয়ার বা উষ্ণ জলে স্নান করলে ওয়ার্ম
আপের কাজ হয়। কারণ ঘুম থেকে ওঠার পর পেশি শক্ত অবস্থায় থাকে। যেকোনো ব্যায়ামের আগে
ওয়ার্ম আপ করে নেয়া জরুরি।
ঘাড় ও কাঁধের ব্যথা উপশম
ম্যাসাজের পর
উষ্ণ জলে স্নান কাঁধ ও ঘাড়ের ব্যথা উপশমে দ্বিতীয় সেরা উপায়। ব্যথার
স্থানে ১০ মিনিট ধরে গরম জল ঢালুন। এতে পেশি শিথিল হবে ও আরাম পাওয়া যাবে।
ঠাণ্ডার সমস্যা দূর
উষ্ণ জল ও
ধোঁয়া মিউকাস দূর করে। ফলে ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথার সমস্যা থাকলে তা নিরাময় হয়। ঠাণ্ডা
লাগলে অল্প পরিমাণ সরিষার তেল ত্বকে ম্যাসাজ করে উষ্ণ জলে স্নান করে নিলে আরাম ও
উপকার দুটোই পাওয়া যায়।
স্ট্রেস ও
ইনসমোনিয়া দূর
উষ্ণ জল
প্রাকৃতিকভাবেই স্বস্তিদায়ক। স্ট্রেস থাকলে ও ঘুমাতে সমস্যা হলে শোয়ার আগে ১০
মিনিট উষ্ণ জলে স্নান করুন। এতে শরীর ও মন শান্ত হবে। স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা
ল্যাভেন্ডার অয়েল দিয়ে নিন। কারণ ল্যাভেন্ডার প্রাকৃতিক স্বস্তিদায়ক উপাদান।
No comments:
Post a Comment