Wednesday, April 22, 2020

Wise sayings

সময় সকলের জন্যই একই ভাবে নির্ধারিত
Don't say you don't have enough time. You have exactly the same number of hours per day that were given to Prophet Muhammad (pbuh), Helen Keller, Pasteur, Michelangelo, Mother Teresa, Leonardo da Vinci, Thomas Jefferson, and Albert Einstein.

নেতৃত্বে রসবোধ থাকা চাই
"A sense of humor is part of the art of leadership, of getting along with people, of getting things done."

Integrity and leadership
"The supreme quality for leadership is unquestionably integrity. Without it, no real success is possible, no matter whether it is on a section gang, a football field, in an army, or in an office."


Negative thoughts and tensions
“Negative thoughts and tensions are like birds. We cannot stop them from flying near us but, we can certainly stop them from making a nest in our mind.”

Intelligence
'Intelligence is like a four wheel drive. It allows you to get stuck in more remote places.

Fracture“Fractures well cured make us stronger.”

Teacher
"The mediocre teacher tells. The good teacher explains. The superior teacher demonstrates. The great teacher inspires."

সংসার ও কর্পোরেট জগত
Ambivalence about family responsibilities has a long history in the corporate world.
সংসারের দোটানা বা দোদুল্যমানতা বা বৈপরীত্য থেকে কর্পোরেট জগতের লোকেরা দায়িত্বশীল আচরন শিখতে পারে।

এগিয়ে থাকতে চাও?
To stay ahead, you must have your next idea waiting in the wings

Confidence
“Confidence is the sweet spot between arrogance and despair-consisting of positive expectations for favorable outcomes.”
— Rosabeth Moss Kanter

মানুষ কেন পরিবর্তন চায় না?
Harvard Business School-এর অধ্যাপক Rosabeth Moss Kanter জানিয়েছেন মানুষ ১০টি কারণে কোন পরিবর্তন পায় নাঃ
১. নিয়ন্ত্রনের অধিকার হারানোর ভয়
২. বিশাল অনিশ্চয়তার ভয়
৩. অপ্রত্যাশিত অবস্থা
৪. সব কিছু্ নোতুন হওয়ার ভয়
৫. পুরোনো ঘটনার জন্য লজ্জা পাওযার ভয়
৬. নোতুন অবস্থার সাথে খাপ খাওয়ানো ও সেই সাথে যোগ্যতার প্রশ্ন
৭. বেশী কাজ করার ভয়
৮. পুরোনো শত্রুতার জের
৯. নোতুন অবস্থার বিস্তৃতির কারণে হারিয়ে যাবার ভয়
১০. নোতুন অবস্থার সাথে সাথে আসা নোতুন নোতুন যন্ত্রনা।
Power is the ability to get things done. (Rosabeth Moss Kanter)




Top 10: Traits of a Real Man

Trait No. 1: A real man is strong
Trait No. 2: A real man is focused
Trait No. 3: A real man knows the importance of family
Trait No. 4: A real man doesn't gossip
Trait No. 5: A real man's word is his bond
Trait No. 6: A real man strives to be a role model
Trait No. 7: A real man makes his own fortune
Trait No. 8: A real man doesn't look like a woman
Trait No. 9: A real man keeps his house in order
Trait No. 10: A real man can defend himself
Ref: jysonsin890226

সত্যিকারের পুরুষের ৯ বৈশিষ্ঠ্য আর সত্যিকারের নারীর ১৪ বৈশিষ্ঠ্য

9. He shares your values
8. He celebrates your achievements
7. He’s willing to put the work in
6. He respects your opinions and listens to what you have to say
5. He’s emotionally intelligent
4. He makes as much effort with your friends and family as you do with his
3. He actively supports your career
2. He makes you laugh
1. He’s smart
IF A MAN HAS THESE 9 QUALITIES NEVER LET HIM GO, SCIENTISTS
SAY
সত্যিকারের নারীর ১৪ বৈশিষ্ঠ্য
1. She is smarter than you
2. She is honest
3. She has a positive outlook
4. She compromises
5. She laughs at your jokes
6. She has an open heart
7. She supports your goals and pursues her own
8. She has a good relationship with her parents
9. She is kind
10. She remains calm in fights and calms you down too
11. She does foolish things with you
12. She has a life of her own
13. She accepts your flaws
14. She does not bear grudges
IF A WOMAN HAS THESE 14 QUALITIES NEVER LET HER GO, SCIENTISTS SAY

Tuesday, April 21, 2020

প্রেমের অমর বাণী

তুমি ভালবাসার খোঁজ করোনা, ভালবাসাই তোমাকে খুঁজে নেয়!

আমরা ভালবাসাকে গ্রহণ করি কারণ এটা আমার প্রাপ্য।

প্রেম হারায় না। প্রেমের ভেতরে দেয়া নেয়ার স্বাদ না থাকলে সে ফিরে যায় আর হৃদয়কে কোমল আর বিমল করে দেয়।

জীবন যদি হয় ফুল তাহলে ভালবাসা হচ্ছে মধু।

ভালবাসার বিহার জীবনের আগে, আর মরণের পরে। ভালবাসা হলো সৃষ্টির সূচনা আর শ্বাস-প্রশ্বাসের সূচক।

আমার অন্তর দিয়ে দেখেছি তুমি পারফেক্ট, তাই তোমাকে ভালবেসেছি। পরে দেখলাম তুমি পারফেক্ট নও- এর পর আমি তোমাকে আরো বেশী করে ভালবেসেছি।

প্রেমের প্রতিদান বা পুরস্কার প্রেম নিজেই।

তোমার আয়ুটা যদি হয় ১০০ দিনের, আমারটা হোক ৯৯ দিনের। কারণ আমি একটি দিনের জন্যও তোমাকে ছেড়ে থাকতে চাইনা।

ওর আছে সুন্দর দৃষ্টি, আছে দামী বেশভূষা, আছে দামী গাড়ী- এর জন্য তুমি ওকে ভালবেসনা। ওকে ভালবাসবে এজন্য “ও যে গানটি গাইবে” সেটা তোমারই জন্য যা কেবল তুমিই শুনতে পাবে, তার অনুরণন থাকবে সারাটি জীবন।

প্রেম হলো জীবনের আরেক নাম। যদি তুমি প্রেমকে না বুঝে থাকো, জীবনকে বোঝনি।


যদি আমি বুঝে থাকি প্রেম কি, তাহলে সেটা বুঝেছি “তুমি আমার” বলে ।


7 Healthy Ways to Cope with Coronavirus Anxiety

1. Acknowledge Your Anxiety
2. Unplug Apps as Much as You need
3. Separate Speculations from Facts
4. Do Some Exercise
5. Connect with Others
6. Maintain healthy Structure
7. Remember the Anxious State is Not Permanent

খাঁচার পাখী ও কোয়ারেন্টাইন

আমরা যারা বাংলাদেশে ও সারা বিশ্বে কোয়ারেন্টাইন নামের খাঁচায় রয়েছি, সঙ্গ নিরোধে রয়েছি তারা অবশ্যই (আগে না জানলে এখন) বন্দীদশা বিষয়ে সম্যক ওয়াকিফহাল।
করোনা ভাইরাসের আঘাত হানার আগে ভোর বেলা যখন মসজিদে যেতাম তখন বিভিন্ন বাড়ীর ঝুল-বারান্দা থেকে বিভিন্ন পাখীর ডাক বিশেষতঃ ঘুঘু পাখীর করুন ডাক কানে ভেসে আসতো। ২-১ জন মুসল্লীকেও বলতাম যারা এই পাখীগুলোকে বন্দী করে রেখেছে তাদের উচিত হবে এদেরকে মুক্তি দেয়া। প্রাণিবিদ্যায় পড়ার কারণে আমার ভেতরে এই অনুভুতিটা প্রচ্ছন্ন না থেকে প্রকট হয়েছে। আরো মনে পড়তো, “দুপুরে ঘুঘুর ডাক আমের শাখায়, আমাদের দু’ নয়নে ঘুম দিয়ে যায়।”(চৈতালী কবিতা)
অরো আগে- ৮ ক্লাশে পড়বার সময় যখন রবীন্দ্রনাথের “দুই পাখী” কবিতাটি পড়ি- তখন থেকেই মনে মনে মুক্তির স্বাদ পেয়েছি।
আমার এই অনুভুতির অনুরণন দেখেছি সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের একটি কোটেশনে, “বণ্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।”
সঞ্জিব বাবু (বঙ্কিমচন্দ্রের সহোদর) একবার বন বিহারের লক্ষ্যে আসামের “পালাম” শাল বনে গিয়েছিলেন। সেখানে যেয়ে তিনি লক্ষ্য করেন যে, সেখানে প্রকৃতির বৈচিত্রময় ও অপরূপ খেলা। ভয়াল বন্য পশুরা থাকলেও তিনি সাহসে ভর করে শালবনের কিছুটা ভেতরে গেলে তিনি তো অবাক, চারদিকে পশু-পাখির অবাধ বিচরণ এবং কল-কাকলীতে মুখরিত। বিচরণকারী পশু-পাখির এতটুকু ভয়-ডর নেই। এটাই বোধ হয় প্রকৃতির স্বাভাবিক ও সহজাত বৈশিষ্ট্য বলে তিনি মনে করলেন। এটি তো আর পশু-পাখির জন্য মানুষের গড়া সাফারী পার্ক বা চিড়িয়াখানা নয়? সবকিছু প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত, মানুষের নিয়ন্ত্রণে নয়। সাহিত্যিক শ্রী সঞ্জিব বাম দিকে পায়ে হাঁটা-সরু-রাস্তার মতো দেখলেন। তাই তিনি আর গভীরে না যেয়ে, শিমুল গাছের পাশ দিয়ে দূর্বাঘাস বিছানো গালিচা স্বরূপ পথ ধরে ডান দিকে মোড় নিয়ে এগুতে লাগলেন। হঠাত্ তার চোখে পড়লো টিলার উপর একটি কুঁড়ে ঘরে একজন যুবতী উপজাতি নতুন মা তার একটি ছোট বাচ্চাকে স্তন পান করাচ্ছে। কিন্তু মায়ের এদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই, সে তালপাতা দিয়ে পাখা বানাচ্ছে তো বানাচ্ছেই। এই বিরল বাস্তব ছবি দেখে সঞ্জিব বাবু অবাক হয়ে ঐ দিকে তাকিয়ে আছেন, কোন কিছু খেয়াল নেই। হঠাত একটি বনমোরগ কোঁক-কোঁ করে ডেকে উঠলে তাঁর আবেগপূর্ণ দৃষ্টি আবার নড়ে উঠলো। তিনি আর ওখানে না দাঁড়িয়ে সোজা বাড়ী ফিরে আসলেন। তবে একটি কথা তাঁর মনের আঙ্গিনায় খুবই উঁকি-ঝুঁকি দিতে লাগলো, তা হলো স্বাভাবিকতায় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে যা কিছু হয়ে থাকে বা ঘটে তাই শাশ্বত সত্য ও চিরন্তন সুন্দর। তাই লিখলেন-
“বন্যরা বনে সুন্দর,
শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।”
তাই বলছি আসুন আমরা মানবিক হই। আমাদের বাড়ীর খাঁচায় যত পাখী আছে তাদের ছেড়ে দিই, আলগা করে দিই। ওরা উড়ুক নীলান্তে। দেখবেন আপনাদের বিশেষ ভাল লাগবেই।
মনে করিয়ে দিইঃ
দুই পাখী কবিতাখানি। সূচিত্রা মিত্রের কন্ঠে কবিতাটি শুনলে মনটা ভরে যাবে:
লিঙ্ক: Khnachar Pakhi Chhilo(খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে) -Suchitra Mitra (1978)
খাঁচার পাখি ছিল সোনার খাঁচাটিতে
বনের পাখি ছিল বনে।
একদা কী করিয়া মিলন হল দোঁহে,
কী ছিল বিধাতার মনে।
বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি ভাই,
বনেতে যাই দোঁহে মিলে।
খাঁচার পাখি বলে-- বনের পাখি, আয়
খাঁচায় থাকি নিরিবিলে।'
বনের পাখি বলে-- "না,
আমি শিকলে ধরা নাহি দিব।'
খাঁচার পাখি বলে-- "হায়,
আমি কেমনে বনে বাহিরিব!'
বনের পাখি গাহে বাহিরে বসি বসি
বনের গান ছিল যত,
খাঁচার পাখি পড়ে শিখানো বুলি তার--
দোঁহার ভাষা দুইমতো।
বনের পাখি বলে, খাঁচার পাখি ভাই,
বনের গান গাও দিখি।
খাঁচার পাখি বলে, বনের পাখি ভাই,
খাঁচার গান লহো শিখি।
বনের পাখি বলে-- না,
আমি শিখানো গান নাহি চাই।'
খাঁচার পাখি বলে-- "হায়,
আমি কেমনে বন-গান গাই।'
বনের পাখি বলে, "আকাশ ঘননীল,
কোথাও বাধা নাহি তার।'
খাঁচার পাখি বলে, "খাঁচাটি পরিপাটি
কেমন ঢাকা চারি ধার।'
বনের পাখি বলে, "আপনা ছাড়ি দাও
মেঘের মাঝে একেবারে।'
খাঁচার পাখি বলে, নিরালা সুখকোণে
বাঁধিয়া রাখো আপনারে!'
বনের পাখি বলে-- "না,
সেথা কোথায় উড়িবারে পাই!'
খাঁচার পাখি বলে-- "হায়,
মেঘে কোথায় বসিবার ঠাঁই!'
এমনি দুই পাখি দোঁহারে ভালোবাসে
তবুও কাছে নাহি পায়।
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে পরশে মুখে মুখে,
নীরবে চোখে চোখে চায়।
দুজনে কেহ কারে বুঝিতে নাহি পারে,
বুঝাতে নারে আপনায়।
দুজনে একা একা ঝাপটি মরে পাখা,
কাতরে কহে, "কাছে আয়!'
বনের পাখি বলে--না,
কবে খাঁচার রুধি দিবে দ্বার।
খাঁচার পাখি বলে--হায়,
মোর শকতি নাহি উড়িবার।

ইউ আর বেটার দ্যান মিলিয়নস্

নিজের বর্তমান “হাল” নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন
১. যে কোয়ালিফিকেশন নিয়ে আপনি চাকরী পেয়েছেন ঠিক সেই কোয়ালিফিকেশন নিয়ে অনেকেই পথে পথে ঘুরছে। ভেবেছেন কি একবারও ওদের অবস্থাটা কি? তাই নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন। বলুন, আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্-আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
২. আল্লাহ আপনার যে প্রার্থনার জবাব দিয়েছেন, আপনি সাফল্য পেয়েছেন, সেই একই প্রার্থনা করে অনেকেই জবাব না পেয়ে হতাশায় নিমজ্জিত। তাই তাই নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন। বলুন, আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্-আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
৩. যে সড়ক দিয়ে আপনি নিরাপদে বাড়ী পৌছতে পেরেছেন কাছের মানুষের কাছে, ঠিক সেই সড়ক পার হতে গিয়ে অনেকেই মূলবান জীবন হারাচ্ছে। তাই তাই নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন। বলুন, আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্- আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
৪. হাসপাতালের যে বেডে শুয়ে থেকে আপনি রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঠিক সেই বেডে শুয়ে অনেকেই সারা জীবনের মত দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। তাই তাই নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন। বলুন, আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্- আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
৫. যে বৃষ্টি আপনার জমিকে উর্বরতা দিয়ে সুন্দর ফসল ঘরে এনে দিল ঠিক সেই বৃষ্টি আরেকজনের ফসলকে ডুবিয়ে দিয়ে তাকে অভাবের ভেতর ঠেলে দিলো। তাই তাই নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন। বলুন, আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্-আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
আপনাকে এজন্যই সন্তুষ্ট থাকতে হবে যে আপনার যা আছে সেটি আপনার কোন্ ক্ষমতা নয়, আপনার কোন পেশীশক্তি নয়, নয় আপনার প্রখর প্রতিভা বা বিশাল বিশাল কোয়ালিফিকেশন। এটি হলো আল্লাহর দয়া আর আপনার ওপর আল্লাহর দান। আপনার ওপর বিশেষ রহমত।
আপনাকে সব কিছু দেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। আর তাই আমাদের সব সময়ই বলা দরকার আলহামদুলিল্লাহি ‘আলা কুল্লি হাল্-আল্লাহ, আমার সকল অবস্থাতেই আমি আপনার ওপর সন্তুষ্ট।
বলো, যদি আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্রসমূহ কালিতে পরিণত হয় তাহলে সেই সমুদ্রসমূহ নিঃশেষ হয়ে যাবে কিন্তু আমার রবের কথা শেষ হবে না৷ বরং যদি এ পরিমাণ কালি আবারও আনি তাহলে তাও যথেষ্ট হবে না৷
বলো, আমি তো একজন মানুষ তোমাদেরই মতো, আমার প্রতি অহী করা হয় এ মর্মে যে, এক আল্লাহ তোমাদের ইলাহ, কাজেই যে তার রবের সাক্ষাতের প্রত্যাশী তার সতকাজ করা উচিত এবং বন্দেগীর ক্ষেত্রে নিজের রবের সাথে কাউকে শরীক করা উচিত নয়৷
সূরা আর কাহফ, আয়াত ১০৯, ১১০
তাই, নিজের বর্তমান হাল নিয়ে আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট থাকুন, বিকজ ইউ আর বেটার দ্যান মিলিয়নস্

ভালো মেয়ে

সাত বৈশিষ্ট্যে 'ভালো মেয়ে' বলে বিবেচিত হয় নারীরা
১. সেবিকার মনোভাব : একজন পুরুষ সঙ্গিনী হিসেবে এমন একজন ভালো মেয়ে চান, যিনি কষ্টের সময় দুই হাত বাড়িয়ে দেবেন। রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে বাচ্চা কেঁদে উঠলে তাকে আগলে রাখবে। অর্থাৎ, যে মেয়েদের মনে আন্তরিক মমত্ববোধ রয়েছে এবং তার মাঝে সেবিকার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান তারাই ভালো মেয়ে বলে বিবেচিত হয়।
২. বিশ্বাসযোগ্যতা : একজন পুরুষ যখন আপনাকে তার হৃদয়টা দিয়ে দেবেন, তখন তিনি চাইবেন তা যেন ভেঙে না যায়। পুরোপুরি বিশ্বাস যায়, এমন মেয়েই খোঁজেন পুরুষরা। বিশ্বাসযোগ্য বলে যাকে মনে হয়, তিনিই ভালো মেয়ে।
৩. সততা : এমন সঙ্গিনী চান পুরুষরা যাকে নিয়ে নির্দ্বিধায় যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়। যে কিনা সঙ্গীর সঙ্গে তার সম্পর্ককে কখনো ভুলে গিয়ে অন্য কিছু করে বসবেন না। নারীদের মাঝে প্রতারণা প্রবৃত্তি থাকলে তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন পুরুষরা। সততা যার মাঝে পরিষ্কার, তিনি স্বাভাবিকভাবেই ভালো মেয়ে হয়ে ওঠেন।
৪. নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিত্ব : পুরুষরা এমন নারীর স্বপ্ন দেখেন যিনি কিনা সঙ্গী ভেঙে পড়লে তাকে সর্বশক্তি দিয়ে তুলে আনার চেষ্টা করবেন। সঙ্গীর যেকোনো সমস্যার কথা তাকে জানানো যায় এবং ভালো পরামর্শ পাওয়া যায়। যিনি প্রয়োজনে হাল ধরার ইচ্ছাও রাখেন। এমন মেয়ে নিঃসন্দেহে ভালো একজন মেয়ে।
৫. নিরহংকার : অহংকারী নারীদের একেবারে পছন্দ করেন না পুরুষরা। কিন্তু তার ভেতরের গুণগুলোকে প্রশংসার দৃষ্টিতে দেখেন। আপনার মাঝে ভালো কোনো গুণ থাকলে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবেন পুরুষরা। কিন্তু এ নিয়ে অহংকারী মনোভাব মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। যার অহংকার নেই, তারই ভালো মেয়ের মন্তব্য জুটে যায়।
৬. বিচারবুদ্ধিসম্পন্ন : আদালতের বিচারকের মতো জ্ঞান-বুদ্ধির দরকার নেই, কিন্তু সাধারণ বিচারবুদ্ধি নারীদের কাছে আশা করেন পুরুষরা। হতে পারে তা সঙ্গীর কালো অতীতকে কখনো তুলে না আনা অথবা পরিস্থিতি অনুধাবন করে এমন কিছু না করা যা পরিস্থিতি বদলে দেয়। কিন্তু ন্যুনতম বিচারবুদ্ধি থাকলেই তিনি ভালো মেয়ের দলের মানুষ।
৭. স্বচ্ছতা : নারীর মাঝে মিথ্যা থাকলে তা কোনো ছাড় দিতে চান না পুরুষরা। যে নারী বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে বলে ডেটিং করতে যান, তাকে নিশ্চয়ই ভালো মেয়ে বলবেন না কোনো পুরুষ। কিন্তু একজন মেয়ে যেমন তার পুরোটা স্বচ্ছ থাকলেই তিনি সবার চোখে ভালো মেয়ে হয়ে ওঠেন।
সূত্রঃ বিভিন্ন

দামী দামী কথায় মনীষী প্লেটো

দামী দামী কথায় মনীষী প্লেটো
বিশ্বাসের সাথে লড়লে অমরা হবো সব্যসাচী(On faith)
এক্সিলেন্স কোন গিফট নয় বরং এটা একটা দক্ষতা যা প্রাকটিসের ভেতর থেকে আসে। আমরা কাজ নিজেদের এক্সিলেন্ট মনে করি, তাই সঠিক কাজটি করি না। কিন্ত এটা জানা দরকার যে সঠিক কাজটি করলেই কেবল এক্সিলেন্ট হওয়া যায়!(On honing your skills)
যে সত্যি কথা বলে বোধ করি তার চেয়ে ঘৃনিত ব্যক্তি এ দুনিয়াতে আরে কেউ নয়।(On speaking the truth)
বাস্তবতা মনের অনন্য এক সৃষ্টি। তাই মনকে বদলে ফেললে বাস্তবতাকেও বদলানো যায়। (On Reality)
মানুষের ব্যবহার তিনটি প্রধান উতস থেকে প্রবাহিত: ১. আগ্রহ ২. আবেগ ৩. জ্ঞান( On the Sources of Civilization)
সব হৃদয়ই গান গায়। কিন্তু সেটা থাকে অপূর্ণ ততক্ষণ যতক্ষণ না আরেকটি হৃদয়ে সেই অনুরণন জাগে। তাই যারা গান গাইতে চাও, মানসম্পন্ন একটি গান/মন খোঁজো যার অনুরণন অপর হৃদয়ে জাগবে।(On Singing)
চিন্তা করা মানে নিজের মনের সাথেই নিবিড়ভাবে কথা কওয়া।(On the Definition of ‘thinking’)
দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ভাল লোকদের আইন দরকার পড়ে না। কিন্ত খারাপ লোকেরা সব সময় এ ব্যাপারে আইনের ছুঁতো খোঁজে।(On the Law)
অল্পে তুষ্ট মনের চেয়ে আর কোন মন এত বড় হতেই পারে না।(On Wealth)
যখন তুমি কৃতজ্ঞ বোধ করবে তখন তুমি হবে বড় মনের অধিকারী আর তখন থেকেই তুমি সবচেয়ে সুন্দর কোন কিছুর দিকে আকৃষ্ট হবে।(On Gratitude)
শারীরিক উতকর্ষ ভাল মন আর উন্নত চরিত্র তৈরী করতে পারে না। অপরপক্ষে ভাল মন আর উন্নত চরিত্র এনে দিতে পারে শারীরিক উতকর্ষ(On Physical Fitness)
যে উন্নয়নের সিঁড়িতে পা রেখেছে এবং এগিয়ে চলছে সে যত ধীর গতির হোকনা কেন-তাকে বাধা দেবে ন।(On Progress)
ক্ষমতায় গেলে মানুষ যা যা করে সেটাই তার মূল্যায়ণের মাপকাঠি।(On Powerful People)
শিক্ষা হলো আমাদের সন্তানদের মধ্যে শিক্ষণের আগ্রহ সৃষ্টি করা।( On Learning)
মানুষের তিনটি শ্রেণী: ১. প্রজ্ঞাপ্রেমী ২. সম্মানপ্রেমী ৩. ধনপ্রেমী (On Categorizing Society)
জনগণ হলো মাটির মতো। এরা হয় মানুষকে সহায়তা করে বড় হতে দেবে নয়তো তারা মানুষকে টেনে নীচে নামাবে প্রবৃদ্ধি স্থবির করে দেবে এবং হীন করে মেরেই ফেলবে।( On the Presence of People
কেবল মৃত মানুষেরাই যুদ্ধের শেষটা দেখতে পাবে।(On never-ending war)
জোর করে যে শিক্ষা দেয়া হয়ে তা মনের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না।(On Obtaining Knowledge)
চিকিতসকদের এটাই সবচেয়ে বড় ভুল যে তারা মনকে সঠিক না করে কেবল শারীরকে সুস্থ করতে চায়। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে শরীর আর মন তো একই মানুষের। তাই শরীর ও মনকে একই সাথে চিকিতসার আওতায় আনতে হয়।(On Medicine)
আমি জীবন দিয়ে পরীক্ষা করবো যে সমালোচকরা হলো মিথ্যেবাদী।(On Determination in the Face of Judgment)
২টি অবস্থায় মানুষের রাগ করতে নেইঃ ১. যখন সে সইতে পারবে ২ যখন সইতে পারবে না (On Rage)

ফা আলহামাহা ফুজুরাহা ওয়া তাকওয়াহা


আল কুরআন একটি বিষ্ময়কর গ্রন্থ: এর প্রতিটি আয়াত তাই প্রমাণ করে-
“তারপর তার পাপ তার তাকওয়া তার প্রতি ইলহাম করেছেন”(সূরা আশ শামস: আয়াত ০৮)
ফা আলহামাহা ফুজুরাহা ওয়া তাকওয়াহা। 
Fa-alhamahaa fujoorahaa wa taqwaahaa
ব্যাখ্যাঃ
ইলহাম শব্দটির উপত্তি “লহম” থেকে৷ এর মানে গিলে ফেলা৷ যেমন বলা হয় উমুক ব্যক্তি জিনিসটিকে দিলে ফেলেছে৷ আর মানে হয়, আমি উমুক জিনিসটি তাকে গিলিয়ে দিয়েছি বা তার গলায় নীচে নামিয়ে দিয়েছি৷ এই মৌলিক অর্থের দিক দিয়ে ইলহাম শব্দ পারিভাষিক অর্থে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন কল্পনা বা চিন্তাকে অবচেতনভাবে বান্দার মন ও মস্তিষ্কের গোপন প্রদেশে নামিয়ে দেয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়৷ মানুষের প্রতি তার পাপ এবং তার নেকী ও তাকওয়া ইলহাম করে দেয়ার দু'টি অর্থ হয়ঃ
একঃ স্রষ্টা তার মধ্যে নেকী ও গোনাহ উভয়ের ঝোঁক প্রবণতা রেখে দিয়েছেন৷ প্রত্যেক ব্যক্তিই এটি অনুভব করে৷
দুইঃ প্রত্যেক ব্যক্তির অবচেতন মনে আল্লাহ এ চিন্তাটি রেখে দিয়েছেন যে, নৈতিকতার ক্ষেত্রে কোন জিনিস ভালো ও কোন জিনিস মন্দ এবং স নৈতিক বৃত্তি ও সকাজ এবং অস নৈতিক বৃত্তি ও অসকাজ সমান নয়৷ ফুজুর ( দুস্কৃতি ও পাপ ) একটি খারাপ জিনিস এবং তাকওয়া ( খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকা ) একটি ভালো জিনিস, এ চিন্তাধারা মানুষের জন্য নতুন নয়৷ বরং তার প্রকৃতি এগুলোর সাথে পরিচিত৷
স্রষ্টা তার মধ্যে জন্মগতভাবে ভালো ও মন্দের পার্থক্যবোধ সৃষ্টি করে দিয়েছেন৷ একথাটিই সূরা আল বালাদে এভাবে বলা হয়েছে: "আর আমি ভালো ও মন্দ উভয় পথ তার জন্য সুম্পষ্ট করে রেখে দিয়েছি৷" (১০ আয়াত) সূরা আদদাহরে নিম্নোক্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: "আমি তাদেরকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি, চাইলে তার কৃতজ্ঞ হতে পারে আবার চাইলে হতে পারে অস্বীকারকারী৷"(৩ আয়াত ) একথাটিই সূরা আল কিয়ামাহে বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে: মানুষের মধ্যে একটি নফসে লাওয়ামাহ (বিবেক) আছে৷ সে অসকাজ করলে তাকে তিরস্কার করে৷ (২ আয়াত ) আর প্রত্যেক ব্যক্তি সে যতই ওজর পেশ করুক না কেন সে কি তা সে খুব ভালো করেই জানে৷ (১৪- ১৫ আয়াত)
এখানে একথাটি ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, মহান আল্লাহ স্বভাবজাত ও প্রকৃতিগত ইলহাম করেছেন প্রত্যেক সৃষ্টির প্রতি তার মর্যাদা ভুমিকা ও স্বরূপ অনুযায়ী৷ যেমন সূরা ত্বা- হা'য় বলা হয়েছে: "যিনি প্রত্যেকটি জিনিসকে তার আকৃতি দান করেছেন, তারপর তাকে পথ দেখিয়েছেন৷"(৫০ আয়াত) যেমন প্রাণীদের প্রত্যেক প্রজাতিকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী ইলহামী জ্ঞান(ইন্সটিংক্ট instinct or innate behavior is the inherent inclination of a living organism towards a particular complex behavior. The simplest example of an instinctive behavior is a fixed action pattern (FAP), in which a very short to medium length sequence of actions, without variation, are carried out in response to a corresponding clearly defined stimulus.) দান করা হয়েছে৷ যার ফলে মাছ নিজে নিজেই সাঁতার কাটে, পাখি উড়ে বেড়ায়, মৌমাছি মৌচাক তৈরি করে, পাখী বাসা বানায়, ক্যাঙ্গারুর ছানা জন্মের পরেই তার মায়ের পেটের নীচের থলেতে( pouch)আশ্রয় খুঁজে নেয়। মানুষকেই তার বিভিন্ন পর্যায় ও ভূমিকার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ইলহামী জ্ঞান দান করা হয়েছে৷ মানুষ এক দিক দিয়ে প্রাণী গোষ্ঠীভুক্ত৷ এই দিক দিয়ে তাকে যে ইলহামী জ্ঞান দান করা হয়েছে তার একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টান্ত হচ্ছে, মানব শিশু জন্মের সাথে সাথেই মায়ের স্তন চুষতে থাকে৷ আল্লাহ যদি প্রকৃতিগতভাবে তাকে এ শিক্ষাটি না দিতেন তাহলে তাকে এ কৌশলটি শিক্ষা দেবার সাধ্য কারো ছিল না৷ অন্যদিক দিয়ে মানুষ একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রাণী৷ এদিক দিয়ে তার সৃষ্টির শুরু থেকেই আল্লাহ তাকে অনবরত ইলহামী পথনির্দেশনা দিয়ে চলছেন৷ এর ফলে সে একের পর এক উদ্ভাবন ও আবিস্কারের মাধ্যমে মানব সভ্যতার বিকাশ সাধন করছে৷ এই সমস্ত উদ্ভাবন ও আবিস্কারের ইতিহাস অধ্যয়নকারী যে কোন ব্যক্তিই একথা অনুভব করবেন যে, সম্ভবতঃ মানুষের চিন্তা ও পরিশ্রমের ফল হিসেবে দু'-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া প্রত্যেকটি আবিস্কার আকস্মিকভাবে শুরু হয়েছে৷ হঠাত এক ব্যক্তির মাথার একটি চিন্তার উদয় হয়েছে এবং তারই ভিত্তিতে সে কোন জিনিস আবিস্কার করেছে৷ এই দু'টি মর্যাদা ছাড়াও মানুষের আর একটি মর্যাদা ও ভূমিকা আছে৷ সে একটি নৈতিক জীবও৷ এই পর্যায়ে আল্লাহ তাকে ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার শক্তি এবং ভালোকে ভালো ও মন্দকে মন্দ জানার অনুভূতি ইলহাম করেছেন৷ এই শক্তি, বোধ ও অনুভূতি একটি বিশ্বজনীন সত্য৷ এর ফলে আজ পর্যন্ত দুনিয়ায় এমন কোন সমাজ-সভ্যতা গড়ে ওঠেনি যেখানে ভালো ও মন্দের ধারণা ও চিন্তা কার্যকর ছিল না৷ আর এমন কোন সমাজ ইতিহাসে কোন দিন পাওয়া যায়নি এবং আজো পাওয়া না যেখানকার ব্যবস্থায় ভালো ও মন্দের এবং সত ও অসতকর্মের জন্য পুরস্কার ও শাস্তির কোন না কোন পদ্ধতি অবলম্বিত হয়নি৷ প্রতিযুগে, প্রত্যেক জায়গায় এবং সভ্যতা-সংস্কৃতির প্রত্যেক পর্যায়ে এই জিনিসটির অস্তিত্বই এর স্বভাবজাত ও প্রকৃতিগত হবার সুস্পষ্ট প্রমাণ৷ এছাড়াও একজন বিজ্ঞ ও বিচক্ষণ স্রষ্টা মানুষের প্রকৃতির মধ্যেই এটি গচ্ছিত রেখেছেন, একথাও এ থেকে প্রমানিত হয়৷ কারণ যেসব উপাদানে মানুষ তৈরি এবং যেসব আইন ও নিয়মের মাধ্যমে জড় জগত চলছে তার কোথাও নৈতিকতার কোন একটি বিষয়ও চিহ্নিত করা যাবে না৷
Ref:

Wednesday, April 15, 2020

দিন যায়, কথা থাকে

বড় বোন ‘আবিদা খাতুনকে আমি দেখিনি। তাকে মনেও পড়েনা। মায়ের মুখে শুনেছি বড় বোন গত হয়েছে যখন অমি ৩ কি ৪ বছরের। বাবার মুখে আরো পরে বড় ভাইয়ের মুখে শুনেছি বোনটি আমার ছিল অপরূপা। আরো বড় হলে আমার তৃতীয় বোনকে দেখেছি সে ও ছিল অপরূপা। ডাক নাম ছিল জোস্না। আরেক নাম রাইসুন্নিছা। সত্যিই যেন জোস্না। রূপে ঝলমল। বোনকে আমি খুবই শ্রদ্ধা করতাম। সে ও আমাকে অত্যন্ত ভালবাসতো। কি যে ভালবাসতো যার বোন নাই যে কোন দিন বুঝবেনা। বোনের বাড়ী যেতাম সুযোগ পেলেই। তার বাড়ী দূরে। তাই হেঁটেই যেতে হতে গাঁয়ের পথ ধরে। বড় ভাল লাগতো সর্পিল আকারের মেঠো পথ ধরে হেঁটে যেতে। বোনের বাড়ীর মাটির ঘরের দেয়ালে টাঙানো ছিল তারই তৈরী করা কাপড়ের ওপরে সূঁই-সুতোর কাজ বাঁধানো ফ্রেমে। লেখা ছিল “দিন যায় কথা থাকে।” ওই বাঁধানো ফ্রেমে লেখাটির কথা মনে হলে এখনো আমার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। প্রিয় সহোদারার মুখখানা সামনে চলে আসে। বোন নেই- কিন্তু আমার কাছে তার স্মৃতিটা ফেলে গেছে। আমিও আমার ছেলে বেলা- বোনের গাঁয়ের বাড়ীতে ফেলে এসেছি।
আজ সঙ্গ নিরোধের ২০তম দিনে “দিন যায়, কথা থাকে”- এ বাক্যটি মনে হতেই সূরা আল ‘আসর’কে মনে এলো গভীরভাবে। এ সূরায় এ কথার ওপর সময়ের কসম খাওয়া হয়েছে যে, মানুষ বড়ই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে এবং এই ক্ষতি থেকে একমাত্র তারাই রক্ষা পেয়েছে যারা চারটি গুণাবলীর অধিকারী:
(১) ঈমান
(২) সতকাজ
(৩) পরস্পরকে হকের উপদেশ দেয়া এবং
(৪) একে অন্যকে সবর করার উপদেশ দেয়া৷
আল্লাহর এই বাণীর অর্থ সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য এখন এখানে প্রতিটি অংশের ওপর পৃথকভাবে চিন্তা -ভাবনা করা উচিত৷ ইমাম রাযী এই পর্যায়ে একজন মনীষীর উক্তি উদ্ধৃত করেছেন৷ তিনি বলেছেন: "একজন বরফওয়ালার কাছে থেকে আমি সূরা আসরের যথাযথ অর্থ বুঝেছি৷ সে বাজারে জোর গলায় হেঁকে চলছিল, “দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে৷ দয়া করো এমন এক ব্যক্তির প্রতি যার পূঁজি গলে যাচ্ছে৷” তার একথা শুনে আমি বললাম, এটিই হচ্ছে বাক্যের আসল অর্থ৷ মানুষকে যে আয়ুষ্কাল দেয়া হয়েছে তা বরফ থেকে পানি হয়ে যাবার মতো দ্রুত গলে যাচ্ছে৷ একে যদি নষ্ট করে ফেলা হয় অথবা ভুল কাজে ব্যয় করা হয় তাহলে সেটিই মানুষের জন্য ক্ষতি৷ "কাজেই দ্রুত ধাবমান সময়ের কসম খেয়ে এই সূরায় যে কথা বলা হয়েছে তার অর্থ এই যে, এই দ্রুত গতিশীল সময় সাক্ষ দিচ্ছে, এই চারটি গুণাবলী শূন্য হয়ে মানুষ যে কাজের নিজের জীবন কাল অতিবাহিত করে তার সবটুকুই ক্ষতির সওদা বৈ নয়? এই চারটি গুণে গুণান্বিত হয়ে যারা দুনিয়ায় কাজ করে একমাত্র তারাই লাভবান হয়৷ এটি ঠিক তেমনি ধরনের একটি কথা যেমন একজন ছাত্র পরীক্ষার হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রশ্ন পত্রের জবাব দেবার পরিবর্তে অন্য কাজে সময় নষ্ট করছে তাকে আমরা হলের দেয়ালে টাঙ্গানো ঘড়ির দিকে অংগুলি নির্দেশ করে বলি: এই দ্রুত গতিশীল সময় বলে দিচ্ছে তুমি নিজেই ক্ষতি করছো৷ যে ছাত্র এই সময়ের প্রতিটি মুহূর্ত নিজের প্রশ্নপত্রের জবাব দেবার কাজে ব্যয় করছে একমাত্র সে ই লাভবান৷
কবি ফররুখ আহমদ তাঁর ডাক-গাড়ী কবিতায় দ্রুত ধাবমান “ওয়াক্ত” বা “সময়ের” প্রতিধ্বনি করেছেন নিখুঁতভাবেঃ
ডাক-গাড়ী
অন্ধকারের অতল অন্ধকারে
ডাক-গাড়ী শুধু ডাক নিয়ে চলে
শুধু চলে আর চলে
কোথা ভেসে যায় লাঞ্ছিত বুক বেদনা- অশ্রুজলে
আর কোথা মরে ক্ষয়মাণ প্রাণ নিপীড়িত পলে পলে-
সে সকল দিকে তাকায়না ডাক-গাড়ী
গাঢ় আঁধারের বুক চিরে চিরে শুধু
রাত্রির পথে চলে।
২.
ডাক-গাড়ী চলে নিশীথের কালা তন্দ্রা ছিন্ন করে’
পার হয়ে কত বিনিদ্র বিভাবরী-
কত দেশ দেশ ঘুরে
অজানা অচেনা সুরে
কত সে আশায় দোল খেয়ে আর নিরাশায় দিয়ে পাড়ি
পথে চলে ডাকগাড়ী।
৩.
ডাক-গাড়ী চলে আনমনে বেগে, কখনো পিছন ফিরি’
দেখেনা সে কত অশ্রু জমেছে আঁখির তারকা ঘিরি’,
কত যে যাত্রী এল আর গেল খবর নাহিতো তার
কত যে যাত্রীনী বাতায়নে এসে হাসিল যে শেষ বার
সে দিকে তাহার খেয়াল নাহিক মোটে
চপল চলার পাগল নেশায় স্মৃতি সব পথে লোটে।
৪.
তুমি বলে যাবে, ভয় নাই কোন, মোর মনে ভয় জাগে
সময় কাটেনা আনন্দে অনুরাগে;
যে ডাক গাড়ীর পান্থ আমরা হায়,
সে-গাড়ী কখনো ফেল হ’লে আর খুঁজে নাহি পাওয়া যায়।
৫.
ডাক-গাড়ী চলে মাঝে মাঝে থেমে বিশ্রাম-মঞ্জিলে
আর্তনাদের বুক-ভাঙা সুর বেজে উঠে হুইসিলে
বেজে উঠে হুইসিলে
সারাটি জনম চালালে শুধুই থির নাহি হ’তে দিলে।
৬.
ডাক-গাড়ী চলে বিশ্রামহীন, শুধু চলে-শুধু চলে
আমারো চলার বিরাম নাহি যে কালো জীবনের তলে,
কালো জীবনের তলে
আমি চলি, সাথে ডাক-গাড়ী চলে- নিরাশায় পথ চলে।
-এ চলা নিখিল মানব জাতির। সময়ের সাথে চলা। আমাদের সকলের ভাষা সকলের অন্তর্লোকের গভীর অনুভূতি এখানে মুর্ত হয়ে উঠেছে। এ যেন সেই আপ্ত বাক্য-প্রতিধ্বনিত উচ্চারণ “টাইম অ্যান্ড টাইড ওয়েট ফর নান।” ডাকগাড়ী কখনো কখনো বিরতির স্টেশনে থেমে আবার ছেড়ে যায় হুইশেল বাজিয়ে। বুক চেরা সে হুইশেলের আর্তনাদ যাত্রীদের সচেতন করে দিয়ে যায়। ঘুর্ণায়মান মহাজাগতিকতার আবর্তমান পৃথিবীতে ‘গতিতে জীবন মম স্থিতিতে মরণ’- এ দার্শনিক তত্ত্বই এখানে ফুটে উঠেছে প্রবলভাবে।
কবি যতীন্দ্র নাথ সেনগুপ্ত তার “হাট” কবিতার কিয়দংশে জীবনকে এভাবে দেখিয়েছেন সময়ের প্রেক্ষিতে-
“দিবসেতে সেথা কত কোলাহল চেনা অচেনার ভীড়ে
কতনা ছিন্ন চরণচিহ্ন ছড়ানো সে ঠাঁই ঘিরে
মাল চেনাচিনি দর জানাজানি
কানাকড়ি নিয়ে কত টানাটানি
হানাহানি ক‘রে কেউ নিলো ভরে কেউ গেল খালি ফিরে,
দিবসে থাকেনা কথার অন্ত চেনা অচেনার ভীড়ে।
কত যে আসিল, কত না আসিছে কত না আসিবে হেথা
ওপারের লোক নামালে পসরা ছোটে এপারের ক্রেতা।”
সমাপ্ত

Tuesday, April 14, 2020

চিনি: স্বাস্থ্যের বিরুদ্ধে এক শানিত অস্ত্র

চিনি শরীরের প্রাকৃতিক সেরোটোনিনের প্রবাহ ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়
Sugar causes a serotonin crash
Serotonin or 5-hydroxytryptamine is a chemical produced by nerve cells and is found in three parts of the body — the brain, the lining of the digestive tract, and in blood platelets. It is a vital neurotransmitter known as the “happiness molecule” because of its key role in maintaining a positive mood.

যত চিনি তত ডিপ্রেশন তত ইনফ্লামেশন
Depression, sugar, and inflammation
A diet that is high in refined carbs may promote inflammation.

বানিজ্যিকভাবে তৈরী করা খাবারের চিনি ডিপ্রেশন বাড়ায় বৈ কি?
Frequent consumption of commercial baked goods can increase the risk of depression
Various commercially prepared baked goods like muffins, doughnuts, croissants, and pastries may taste incredibly good but aren’t good for your mental health according to Spanish researchers.

মাত্রাতিরিক্ত চিনি, ডিপ্রেশন রিস্ক প্রচুর
Too much sugar could increase depression risk in men
Recent research has indicated that men who consume more sugar run an increased risk of depression. Researchers from University College London (UCL) studied the sugar in the diet and common mental health problems of a large group of men and women.

চিনি: কোকেনের চেয়েও অধিকতর নেশাকারক
Sugar can be more addictive than cocaine
In a study that was published in the British Journal of Sports Medicine, the authors mentioned that sugar could act as a gateway to alcohol and other addictive substances. They added that sugar is refined from plants to produce pure white crystals, much like stimulants, such as cocaine and opium. According to the researchers, this process significantly adds

রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (মূলতঃ চিনি)ও ডিপ্রেশন
The link between depression and refined carbohydrates
A study by Columbia Medical Center in 2015 noted that a diet high in refined carbohydrates may become a risk for depression, especially in postmenopausal women. Highly refined carbohydrates include items like white bread/pasta, white rice, crackers, cookies, and soda. These products increase blood sugar and may set off a hormonal response in the body to reduce blood sugar levels. These responses may also lead to changes in mood and cause fatigue.