সত্যিকারের মুত্তাকী কখনোই আল্লাহর উপর আশা হারায় না। আল্লাহর উপর আশা হারানোর অনুমতি তিনি আমাদের দেননি। লা তাকনাতু মির-রহমাতিল্লাহ! এ আচরণ আমাদেরকে রপ্ত করতে হবে।
কোন এক জায়গায় দেখলাম এক মা তার ছেলেকে ভীষণ বকা দিচ্ছিলেন। আর ছেলেটা চিতকার করে কাঁদছিল। মা ছেলেকে কষে একটা চড়ও বসিয়ে দিল। কিন্তু আপনি জানেন, বাচ্চাটা কার কাছে গেল? এরপরও বাচ্চাটা মাকেই ধরে রইল। তার মাকে ছাড়ছে না। চারপাশে অচেনা লোকের ভীড়। সে তাদের কাছে যেতে চায় না। যদিও তার মা তার উপর রাগ হয়েছে, হতাশ হয়েছে, তাকে বকা দিচ্ছে। কিন্তু তার আশ্রয়, সুরক্ষা সে কার কাছে পাবে? তার মায়ের কাছেই। এ দৃশ্য আমাকে ভাবিয়েছে, সুবহানাল্লাহ! যখন আমি আপনি গুনাহ করি, যখন আমরা আল্লাহকে হতাশ করি, তাঁর অবাধ্য হই— আমরা কার কাছে যাব? আমাদের আর কোথায় যাওয়ার আছে? আমাদের আর কোথাও যাওয়ার আছে?
আমাদের গুনাহের খাতায় বহু জিনিসি আছে যা আল্লাহ প্রকাশ করেননি। শুধু আল্লাহই সেসব জানেন। সেসবের জন্য আল্লাহর কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতেই হবে। জান্নাতে যারা যাবে তাদের বর্ণনায় যেসব বৈশিষ্ট্য এসেছে তার মাঝে এটাই প্রধান বৈশিষ্ট্য।
ওমাই ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লাল্লাহ— আল্লাহ ছাড়া আর কে গুনাহ ক্ষমা করতে পারেন? আপনি আর কার কাছে যাবেন, কোথায় যাবেন? আল্লাহ ছাড়া আর কে জানে আপনি আমি কী কী ভুল করেছি?
কিন্তু একজন সত্যিকারের মুত্তাকী যখন ভুল কিছু করে ততক্ষণাত সে কী করে? সে আল্লাহকে স্মরণ করে! ‘যাকারুল্লাহ, ফাসতাগফারু লিযুনুবিহিম।’ তারপর তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়। (৩:১৩৫)
তাই আমরা হতাশ হবো না। আল্লাহর কাছেই যাবো, তাঁর সাহায্য চাইবো।
No comments:
Post a Comment