মানষিক চাপ বা স্ট্রেস ভাল নয়। মানষিক চাপ আমদের ইমিউন সিস্টেমকে চাপে রাখে। ফলে আমার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাপণা যায় কমে। এরকম হলে আমরা সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের লক্ষ্যবস্তুকে পরিণত হবো।
অল্প ঘুম বা ঘুমহীনতাও আমদের ইমিউন সিস্টেমকে চাপে রাখে। আমাদের শরীরের যে সব কোষ কিলার সেল বা শত্রুর বিরুদ্ধে হন্তারক কোষ হিসেবে কাজ করে অনিদ্রা বা ঘুমহীনতা বা কম ঘুম হলে সেই হন্তারক কোষগুলোর সংখ্যা কমে যায়। একারণে আমাদের ইমিউন সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আল কুরআনে বলা হয়েছে, “ঘুম হলো প্রশান্তিকারক।” সূরা আন নাবা দ্রষ্টব্য।
সূর্যের আলোর মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে আমাদের শরীরের ওপর। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরী করে। সূর্যের আলোর উপস্থিতিতে আমাদের শরীর সেরোটোনিন নামের এক রাষায়নিক তৈরী করে। এর আরেক নাম “ফিলগুড কেমিক্যাল” বা “হ্যাপী কেমিক্যাল।” এর সেরোটোনিন আমাদের মানষিক চাপ কমিয়ে দেয়। আবার সূর্যের আলোর আল্ট্রাভায়োলেট রে বা রশ্মি আমাদের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের শরীরকে সহজেই ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাসের লক্ষ্যবস্তুকে পরিণত করে। তাই সূর্যের আলোতে আমাদের কম থাকাও ভালো নয় আবার বেশী থাকাও ভালো নয়। পরিমিত পরিমাণ হলেই ভালো।
তাই আমরা মানসিক চাপে না থাকি, পরিমিত পরিমাণ ঘুমাই ও দৈনিক পরিমিত সময় সূর্যের আলোতে থাকি।
No comments:
Post a Comment