সমগ্র ইতিহাস জুড়ে বিভিন্ন
সভ্যতায় ও জাতিতে বহু বিবাহের কারণ কি? এটা কি বলা যায় যে ইসলাম বহুবিবাহ চালু করেনি
এটাকে শুধু স্বীকৃতি দিয়েছে? বহুবিবাহের ব্যাপারে আল কুরআনের আয়াত আছে কি?
সমাজ বিজ্ঞানী হামুদাহ
আবদ আল- আতিসহ অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন যে বহুবিবাহ কোন সমাজ বিরোধী বা অবিবেচক কাজ
ছিল না। বরং এক জটিল বহুমাত্রিক প্রক্রিয়া যার বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। হামুদাহ আবদ
আল আতির লেখা The Family structure in Islam বইয়ে তিনি এর কয়েকটি সম্ভাব্য করণ চিহ্নিত
করেছেনঃ
ব্যক্তিগত
১. কোন বিবাহিত মানুষ
অপর মহিলার প্রতি এতটা আকৃষ্ট হয়ে পড়লো যে সে তাকে বিয়ে করতে চাইলো।
২. প্রথম স্ত্রীর শারীরিক
বা অন্য কোন সমস্যা দেখ দিল যে সে স্বামীর দৈহিক চাহিদা পূরণে অক্ষম হলো।
৩. সাংস্কৃতিক কারণ যেমন-
প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের একাধিক স্ত্রী রাখার রীতি অন্য ব্যক্তিদের বহু বিবাহে প্রভাবিত
করতে পারে।
৪. কোন কোন সমাজের গরীব
লোকের ১ম বা একমাত্র স্ত্রী হওয়ার চেয়ে ধনী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্ত্রী হতে চাইতো।
জনসংখ্যাগত
১. পুরুষের তূলনায় নারীর
সংখ্যাসাম্য ব্যহত হলে যে সব সমাজে অনেক নারীর বিয়ে না হতে পারে এবং এক্ষেত্রে তারা
বহুবিবাহকে তারা উত্তম বিকল্প পথ বলে মনে করতে পারে।(যুদ্ধ বা অন্য কোন কারণে এরকম
অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে)
জৈবিক
পুরুষের যৌনপ্রকৃতি
তূলনামূলকভাবে বহুবিবাহের দিকেই বেশী।
সামাজিক
১. কোন কোন সমাজে বহুবিবাহের
মাধ্যমে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে ঐক্য. সমঝোতা এবয় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
২. কোন কোন ২য় বিয়ে
বা তৃতীয় স্ত্রী বাড়ীর তথা গৃহস্থালীর কাজে ১মা স্ত্রীর সহায়ক হয়।
৩. যে সব মমাজে শিশু
মৃত্যুর হার বেশী সে সব সমাজের পুরুষের মাঝেও এই বহুবিবাহের প্রবণতা লক্ষ্যকরা যায়।
হামুদাহ আবদ আল আতি
বলেন, এসব কারণ পরস্পর যুক্ত হয়ে অন্যন্য সামাজিক ফ্যাক্টর যেমন ঐতিহ্য, নৈতিকতা, রীতি
এবং আইন ইত্যাদির সাথে মিশে বহুবিবাহকে বাস্তবতা দিয়েছে।
ইসলাম বহুবিবাহকে অনুমতি
দিয়েছেঃ
ইসলাম বহুবিবাহ প্রথা
উদ্ভাবন বা চালু করেনি। এটা আগে থেকেই চালু ছিল। বরং ইসলামই একমাত্র তৌহিদবাদী ধর্ম
যা বহুবিবাহকে কিছু কঠোর শর্ত আরোপ করে সীমাবব্ধ করেছে। ইসলামে বহুবিবাহ অত্যাবশ্যকীয়
কোন কাজ নয় আবার নির্দেশীত কোন কাজও নয় শুধু বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে সুযোগ মাত্র।
।
এখানে আরো একটি কথা
বলা আবশ্যক যে, ইসলামে অনুমোদিত অনেক কাজও ইসলামের অন্য আইন ভংগ হওয়ার পেক্ষিতে অননুমোদিত
হয়ে যেতে পারে। যেমন কেউ যদি এই মতলবে ২য় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় যে সে ১ম স্ত্রীর সাথে
সুব্যবহার করবে না তাহলে তার জন্য ২য় বিয়ে অনুমোদিত নয়। (কারণ এখানে অবিচার সম্পৃক্ত)
যদিও নীতিগতভাবে বহুবিবাহ অনুমোদিত। বলে রাখা ভাল যে সব সময় এসব মৌলিক নীতিমালার আলোকে
ইসলামের নীতির বিচার করতে হবে।
আল কুরআন ও বহুবিবাহ
আল কুরআনের ৪ নং সূরার
৩ নং আয়াতে যা বলা হয়েছে তা থেকে দেখা যায়-
১. বহুবিবাহ মুসলনমানদের
জন্য “আবশ্যক” কোন কিছু নয়
২. একের অধিক বিয়ে শর্তযুক্ত
(Conditional)
৩. সর্বোচ্চ ৪জন স্ত্রী
বিয়ে করার সীমা নির্ধারিত করা হয়েছে যদিও এর আগে এর কোন সীমা ছির না।
৪. উক্ত আয়াতে এক বিশেষ
অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতেই একধিক বিয়ে করার কথা বলা হয়েছে: কোন মুসলমানের সাথে বা তত্ববধানে
থাকা এতিমদের সাথে যথাযথ ব্যবহার প্রসঙ্গে।
উক্ত আয়াত নাযিলের ব্যাখ্যা
হযরত আয়িশা রা.) উক্ত
আয়াত নাযিলের পটভুমি প্রসঙ্গে বলেন, কয়েকজন এতিম বালিকার তত্ববধায়ক এক পুরুষকে নির্দেশনা
দিতেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। আয়াতটি নাযিল হয় ওহুদ যুদ্ধের পরক্ষণেই। ওহুদ যুদ্ধে অনেক
মুসলমান শহীদ হন। এতে তাঁদের স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। তাদের খাদ্য
আশ্রয় ছাড়াও পারিবারিক পরিবেশ থাকায়ও জরুরী ছিল। এ কারই তাদেরকে বিভিন্ন অভিভাবকের
কাছে রাখা হয়েছিল। এমনি কয়েক এতিম বালিকার তত্ববধায়ক পুরুষ একটি বালিকাকে তার প্রাপ্য
মোহরানার চেয়ে কম মোহরানা দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাইল। এই আয়াত মুসলমানদেরকে সাবধান
করে বল্লো এতিমদের প্রতি ন্যায়বান থাকতে আর ন্যায্য মোহরানা না দিতে পারলে তাদের বিয়ে
না করতে। সর্বোচ্চ ৪ বিয়ে করার অনুমোদন দেয়া হয়। একজন ব্যিাখ্যাত তাফসীরকারক তাঁর আল
কাশফ আল তাফসীর গ্রন্থে বলেন, যারা সন্দিহান যে আরেক বিয়ে না করলে তার দ্বারা ব্যভিচার
সংঘটিত হতে পারে তাদের জন্যই এ সুযোগ রাখা হয়েছে। আল কুরআনে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়
যে, এতিমদের সাথে অবিচার করা যাবে না অন্য দিকে ব্যভিচারের বিষয়ে ইসলামের শক্ত অবস্থান
একজন সত্যিকারের মুসলমানকে ভীত করে দেয় এবং তখন বহুবিবাহ এ দু’টির ভেতর সামঞ্জস্য বিধান
করেছিল। অবশ্য এ আয়াতে এটাও সতর্ক করা হয়েছে যে, যারা দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় তাদের
অবশ্যিই উভয় স্ত্রীর সাথে সমব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
রেফারেন্স: আল কুরআন
থেকে:
১. আর যদি তোমরা এতিমদের (মেয়েদের) সাথে বেইনসাফী
করার ব্যাপারে ভয় করো, তাহলে যেসব মেয়েদের তোমরা পছন্দ করো তাদের মধ্যে থেকে দুই, তিন
বা চারজনকে বিয়ে করো৷ কিন্তু যদি তোমরা তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না বলে আশংকা
করো, তাহলে একজনকেই বিয়ে করো৷ অথবা তোমাদের অধিকারে সেসব মেয়ে আছে তাদেরকে বিয়ে
করো৷ বেইনসাফীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটিই অধিকতর সঠিক পদ্ধতি৷
Wa in khiftum allaa tuqsitoo fil yataamaa fankihoo maa taaba
lakum minan nisaaa'i masnaa wa sulaasa wa rubaa'a fa'in khiftum allaa ta'diloo
fawaahidatan aw maa malakat aimaanukum; zaalika adnaaa allaa ta'ooloo
মুফাস্সিরগণ এর তিনটি অর্থ বর্ণনা করেছেনঃ
একঃ হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু
আনহা এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ জাহেলী যুগে যেসব এতিম মেয়ে লোকদের অভিভাবকত্বাধীন
থাকতো তাদের সম্পদ ও সৌন্দর্যের কারণে অথবা তাদের ব্যাপারে তো উচ্চবাচ্য করার কেউ
নেই, যেভাবে ইচ্ছা তাদের দাবিয়ে রাখা যাবে এই ধারণার বশবর্তী হয়ে অনেক অভিভাবক
নিজেরাই তাদেরকে বিয়ে করতো, তারপর তাদের ওপর জুলুম করতে থাকতো৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে
বলা হয়েছে, তোমরা যদি আশংকা করো যে তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না, তাহলে সমাজে
আরো অনেক মেয়ে আছে, তাদের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দমতো মেয়েদেরকে বিয়ে করো৷
দুইঃ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে
আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তাঁর ছাত্র ইকরামা এর ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ জাহেলী যুগে
স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে কোন নির্ধারিত সীমা ছিল না৷ এক একজন লোক দশ দশটি বিয়ে
করতো৷ স্ত্রীদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সংসার খরচ বেড়ে যেতো৷ তখন বাধ্য হয়ে তারা
নিজেদের এতিম ভাইঝি ও ভাগ্নীদের এবং অন্যান্য অসহায় আত্মীয়াদের অধিকারের দিকে হাত
বাড়াতো৷ এ কারণে আল্লাহ বিয়ের জন্য চারটির সীমা নির্ধারিত করে দিয়েছেন৷ জুলুম ও
বেইনসাফী থেকে বাঁচার পন্থা এই যে, এ থেকে চারটি পর্যন্ত স্ত্রী গ্রহণ করবে যাতে
তাদের সাথে সুবিচার করতে পার৷
তিনঃ সাঈদ ইবনে জুবাইর,
কাতাদাহ এবং অন্যান্য কোন কোন মুফাস্সির বলেনঃ এতিমদের সাথে বেইনসাফী করাকে
জাহেলী যুগের লোকেরাও সুনজরে দেখতো না৷ কিন্তু মেয়েদের ব্যাপারে ইনসাফ ও
ন্যায়নীতির কোন ধারণাই তাদের মনে স্থান পায়নি৷ তারা যতগুলো ইচ্ছা বিয়ে করতো৷ তারপর
তাদের ওপর জুলুম-অত্যাচার চালাতো ইচ্ছে মতো৷ তাদের এ ব্যবহারের প্রেক্ষিতে বলা
হয়েছে, যদি তোমরা এতিমদের ওপর জলুম ও বেইনসাফী করতে ভয় করে থাকো, তাহলে মেয়েদের
সাথেও বেইনসাফী করার ব্যাপারে ভয় করো৷ প্রথমত: চারটির বেশী বিয়েই করোনা৷ আর চারের
সংখ্যার মধ্যেও সেই ক'জনকে স্ত্রী হিসেব গ্রহণ করতে পারবে যাদের সাথে ইনসাফ করতো
পারবে৷
আয়াতের শব্দাবলী এমনভাবে গ্রথিত হয়েছে, যার ফলে সেখান থেকে এ তিনটি
ব্যাখ্যারই সম্ভাবনা রয়েছে৷ এমনকি একই সংগে আয়াতটির এ তিনটি অর্থই যদি এখানে
উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে, তাহলে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই৷ এ ছাড়া এর আর একটা অর্থও হতে
পারে৷ অর্থাত এতিমদের সাথে যদি এভাবে ইনসাফ না করতে পারো তাহলে যেসব মেয়ের সাথে
এতিম শিশু সন্তান রয়েছে তাদেরকে বিয়ে করো৷
এ আয়াতের ওপর মুসলিম ফকীহগণের 'ইজমা' অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ তাঁরা বলেন, এ
আয়াতের মাধ্যমে স্ত্রীর সংখ্যা সীমিত করে দেয়া হয়েছে এবং একই সংগে এক ব্যক্তির
চারজনের বেশী স্ত্রী রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ হাদীস থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায়৷
হাদীস বলা হয়েছেঃ তায়েফ প্রধান গাইলানের ইসলাম গ্রহণ কালে নয়জন স্ত্রী ছিল৷ নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে চারজন স্ত্রী রেখে দিয়ে বাকি পাঁচজনকে
তালাক দেবার নির্দেশ দেন৷ এভাবে আর এক ব্যক্তির (নওফল ইবনে মুআবীয়া) ছিল পাঁচজন
স্ত্রী৷ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার এক স্ত্রীকে তালাক দেবার হুকম
দেন৷
এছাড়াও এ আয়াতে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতাকে ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠ
ব্যবহারের শর্ত সাপেক্ষ করা হয়েছে৷ যে ব্যক্তি ইনসাফ ও ন্যায়নিষ্ঠতার শর্ত পূরণ না
করে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতার সুযোগ ব্যবহার করে সে মূলত আল্লাহর সাথে প্রতারণা
করে৷ যে স্ত্রী বা যেসব স্ত্রীর সাথে সে ইনসাফ করে না ইসলামী সরকারের আদালতসমূহ
তাদের অভিযোগ শুনে সে ব্যাপারে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে৷
কোন কোন লোক পাশ্চাত্যবাসীদের খৃষ্টবাদী ধ্যান-ধারণার প্রভাবে আড়ষ্ট
ও পরাজিত মনোভাব নিয়ে একথা প্রমাণ করার চেষ্টা করে থাকে যে, একাধিক বিয়ের পদ্ধতি
(যা আসলে পাশ্চাত্যের দৃষ্টিতে একটি খারাপ পদ্ধতি) বিলুপ্ত করে দেয়াই কুরআনের আসল
উদ্দেশ্য৷ কিন্তু সমাজে এ পদ্ধতির খুব বেশী প্রচলনের কারণে এর ওপর কেবলমাত্র
বিধি-নিষেধ আরোপ করেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ এ ধরনের কথাবার্তা মূল নিছক মানসিক
দাসত্বের ফলশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে মূলগতভাবে অনিষ্টকর
মনে করা কোনক্রমেই সঠিক হতে পারে না৷ কারণ কোন কোন অবস্থায় এটি একটি নৈতিক ও
তামাদ্দুনিক প্রয়োজনে পরিণত হয়৷ যদি এর অনুমতি না থাকে তাহলে যারা এক স্ত্রীতে
তুষ্ট হতে পারে না, তারা বিয়ের সীমানার বাইরে এসে যৌন বিশৃংখলা সৃষ্টিতে ততপর হবে৷
এর ফলে সমাজ-সংস্কৃতি-নৈতিকতার মধ্যে যে অনিষ্ট সাধিত হবে তা হবে একাধিক স্ত্রীর
গ্রহনের অনিষ্টকারিতার চাইতে অনেক বেশী৷ তাই যারা এর প্রয়োজন অনুভব করে কুরআন
তাদেরকে এর অনুমতি দিয়েছে৷ তবুও যারা মুলগতভাবে একাধিক বিয়েকে একটি অনিষ্টকারিতা
মনে করেন, তাদেরকে অবশ্যি এ ইখতিয়ার দেয়া হয়েছে যে,তারা কুরআনের রায়ের বিরুদ্ধে এ
মতবাদের নিন্দা করতে পারেন এবং একে রহিত করারও পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু নিজেদের
মনগড়া রায়কে অনর্থক কুরআনের রায় বলে ঘোষণা করার কোন অধিকার তাদের নেই৷ কারণ কুরআন
সস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় একে বৈধ ঘোষণা করেছে৷ ইশারা ইংগিতেও এর নিন্দায় এমন
একটি শব্দ ব্যবহার করেনি, যা থেকে বুঝা যায় যে, সে এর পথ বন্ধ করতে চায়৷
এখানে ক্রীতদাসীদেরকেও বুঝানো হয়েছে৷ অর্থাত যেসব নারী যুদ্ধবন্দিনী
হিসেবে আসে এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয়৷ একথা বলার অর্থ
হচ্ছে এই যে, একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের স্বাধীন মহিলাকে বিয়ে করার দায়িত্ব পালন
করতে না পারলে একজন যুদ্ধবন্দিনী হিসেবে আনীত বাঁদীকে বিয়ে করো৷ অথবা যদি তোমাদের
একাধিক স্ত্রীর প্রয়োজন হয়ে পড়ে এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের স্বাধীন মেয়েদের বিয়ে
করলে তাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা তোমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে থাকে, তাহলে
ক্রীতদাসীদেরকে গ্রহণ করো৷ কারণ, তাদের ব্যাপারে তোমাদের ওপর তুলনামূলকভাবে কম
দায়িত্ব আসবে৷
২. ইসলামী শিক্ষা সিরিজ থেকেঃ ড. জামাল আল
বাদাবী: পৃষ্ঠা ৩৮১-৩৮৩
৩. The Family
structure in Islam- HAMMUDAH ABD AL ATI, American Trust Publication, 1977.