Monday, April 16, 2018

ইতিবাচক (Positive) বনাম নেতিবাচক (Negative) মানষিকতা (Mentality)


ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজের অর্জনটাই দেখতে পায়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজের কষ্টটাই দেখতে পায়।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজ করিয়ে দেখায়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজের ফল ভোগ করতে চায়।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজের সমাধান খোঁজে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজকে সমস্যা মনে করে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষের আগেই একটা পরিকল্পনা করে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষের আগেই কোন পরিকল্পনা করেনা।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষদের কোন বাহানা/অযুহাত থাকেনা।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষদের বাহানা/অযুহাত একটি নিয়মিত ব্যাপার।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলেন, “এ কাজটি তোমার জন্য।”
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলে, “এ কাজটি আমার নয়”।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলেন এটি কঠিন কাজ কিন্তু করা সম্ভব।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলে কাজটি সম্ভব তবে অনেক কঠিন।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজ করতে গিয়ে ভুল করলে বলেন, “আমি ভুল ছিলাম।”
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজ করতে গিয়ে ভুল করলে বলেন, “না, আমি সঠিক ছিলাম।”
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার চেষ্টাই করে না।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকেন।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দায়িত্ব পালনের আশ্বাস দেন।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বড় স্বপ্ন দেখেন।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বড় স্বপ্ন দেখেননা।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলেন আমি অবশ্যই একটা কিছু করবে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলেন একটা কিছু তো হবে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা নিজেকে দলের অংশ মনে করেন।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা নিজেকে দলবিচ্ছিন্ন ভাবেন।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কেবলই দেখতে পায় সাফল্য।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দেখতে পায় কেবলই পরাজয়।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা উভয় পক্ষের জয়ে বিশ্বাস করে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা উভয় পক্ষের জয়ে বিশ্বাসী নয়।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দেখতে পায় সম্ভাবনা।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দেখতে পায় সমস্যা।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা দেখতে পায় ভবিষ্যত সম্ভাবনা।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা তাকিয়ে থাকে অতীতের দিকে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা তাপনিয়ামক (থার্মোস্ট্যাট)যন্ত্রের মত।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা তাপমানযন্ত্রের (থার্মোমিটার) মত।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা যা বলে তা করবার চেষ্টা করে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা যা বলে তা তার ব্যক্তিগত পছন্দের ওপার ভিত্তি করে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা শ্রুতিমধুর কথ বলে, শক্তিশালী যুক্তি উপস্থাপন করে।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা শ্রুতিকটু কথা বলে আর দুর্বল যুক্তি উপস্থাপন করে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা নীতিতে আটল থাকে আর তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এগোয় না।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা নীতিতে অটল থাকতে পারেনা আর তুচ্ছ বিষয় নিয়েও বিতন্ডার সৃষ্টি করে থাকে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা সহানুভূশীল, পরপোকারী।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা সহানুভূতিশীল হয়না। তারা কালে ভদ্রে পরপোকারী হয়ে থাকে।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলে “কারো সাথে এমন আচরণ করোনা যা তুমি তোমার নিজের বেলায় আন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করোনা।”
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা বলে থাকে “অন্যেরা তোমার সর্বনাশ করার আগে তুমি তাদের ক্ষতি করো।”
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কাজ করে দেথায়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা অন্যের দেখানো কাজের ওপর নির্ভর করে এমনকি অন্যের কাজকে নিজের কাজ বলে চালিয়ে দেয়।
ইতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা কোন কিছুতে জয়ী হতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়।
নেতিবাচক মনোভাবের মানুষেরা পরিকল্পণাহীন আর কোন কাজে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে ভাবেনা।

তাই আমাদের উচিত হবে সবসময় ইতিবাচক মনোভাবের পরিচয় দেয়া ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী গ্রহণকরা। তা হ’লেই জীবনে সফলতা আর সার্থকতা আসবে।

No comments:

Post a Comment