পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার এক গবেষণায় এন্ট্রপির ফলিতত্ত্ব দেখা গেছে ভ্রমণ মানবদেহের জন্য ইতিবাচক এবং এতে করে বয়ঃবৃদ্ধির লক্ষণ কম প্রকাশ পায়। এন্ট্রপির মৌলিক ধারণামতে মহাবিশ্ব সর্বদাই বিশৃঙ্খলতা ও ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যায়। অন্যদিকে বার্ধক্যের বিষয়টি অপ্রত্যাবর্তী। বয়ঃবৃদ্ধি থামানো অসম্ভব হলেও এর গতি কমানো সম্ভব। ইতিবাচক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, নতুন পরিবেশে উপস্থিতি এন্ট্রপি পরিবর্তনকে ব্যস্তানুপাতে প্রভাবিত করে। ফলে ব্যক্তির শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক অবস্থা সম্মিলিতভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে।
ট্রাভেল থেরাপি মূলত শরীরের চারটি সিস্টেমে প্রভাব রাখে এবং ইতিবাচক অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সিস্টেমকে নিম্ন এনট্রপি অবস্থায় নিয়ে আসে। বাহ্যিক চাপ, বিপাকক্রিয়া ও হার এবং অনেকক্ষেত্রে দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এতে স্থিতিশীল থাকে। যা বয়ঃবৃদ্ধির গতি কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে।
ভ্রমণে হাইকিং, হাঁটা, সাইক্লিং এর মতো এক্টিভিটির অন্তর্ভুক্তি থাকলে বিপাকক্রিয়া এবং শক্তিব্যয় এমনভাবে হয় যা দেহের বিভিন্ন সিস্টেমকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কাজ করতে সাহায্য করে। এতে অনাক্রম্যতন্ত্র উন্নত হয়, বাহ্যিক ঝুঁকি কমে আসে। মধ্যম পর্যায়ের শারীরিক কসরত হাড়, পেশি, জয়েন্টের জন্য ও উপকারী।
তবে ভ্রমণকালীন নেতিবাচক অভিজ্ঞতা শরীর ও বার্ধক্যের জন্য হিতে বিপরীত ভূমিকা রাখতে পারে কারণ এতে এন্ট্রপি বাড়ার প্রবণতা বেশি।
No comments:
Post a Comment