অন্তরে যার তাকওয়া আছে তিনিই সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশি কল্যাণকামী। সমাজের সবচেয়ে বেশি উপকার তিনিই করতে সক্ষম। আমাদের এই উম্মতের শ্রেষ্ঠ মুত্তাকী ব্যক্তি হলেন আবু বকর সিদ্দীক (রা.)। একদিন নবী (সা.) তার সাহাবীদের জিজ্ঞাসা করলেন-
নবী (সা.) বললেন, ‘‘আজ তোমাদের মাঝে কে জানাজায় অংশ নিয়েছো?’’ আবু বকর (রা.) বললেন, ‘‘আমি’’।
নবী (সা.) বললেন, ‘‘তোমাদের মাঝে কে একজন মিসকীনকে আজ খাবার দিয়েছো?’’ আবু বকর (রা.) বললেন, ‘‘আমি’’।
নবী (সা.) বললেন, ‘‘তোমাদের মাঝে কে আজ কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গিয়েছো?’’ আবু বকর (রা.) বললেন, ‘‘আমি’’।
নবী (সা.) বললেন, ‘‘যার মাঝে এ কাজগুলো একত্রিত হয়েছে সে জান্নাতে যাবে।’’ (মুসলিম ৬০৭৬)
উল্লেখ্য, রসুলুল্লাহ (সা.) এই প্রশ্ন করেন ফজরের নামাজের সময়। অর্থাৎ আবু বকর (রা.) ফজরের নামাজে যাওয়ার আগেই এই কাজগুলো সম্পাদন করেছেন।
আজ মানুষের productivity (উৎপাদনশীলতা) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ ব্যক্তি হলেন একজন মুসলিম। কারণ তার মধ্যে রয়েছে তাকওয়ার গুণ। তিনি অবিরাম আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের দায়িত্ব পালনে এবং অন্যদের হক-অধিকার আদায়ে সচেষ্ট থাকেন। বস্তুতান্ত্রিকতা ও আমিত্বে আক্রান্ত আজকের তথাকথিত আধুনিক মানুষ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। I– me-myself- এই আবর্তেই সে ঘুরপাক খায়। নিজের ও আত্মস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠতে সে ব্যর্থ।
No comments:
Post a Comment