Tuesday, February 11, 2025

‘সুগার ফ্রি’ মানে কী

 হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং অনুসারে, সুগার ফ্রি মানে ওই প্যাকেটে যে পণ্য আছে, সেখানে চিনির পরিমাণ দশমিক ৫ গ্রাম বা আধা গ্রামের চেয়ে কম। অর্থাৎ চিনি ব্যবহার করা হয়নি বললেই চলে। তবে অল্প পরিমাণে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার, যেমন অ্যাসপার্টেম বা স্টেভিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু পণ্যে প্রাকৃতিকভাবেই চিনি থাকতে পারে। ফলে আপনি যখন সুগার ফ্রি কিছু খাবেন, তখন আপনাকে চিনির বাড়তি ক্যালরি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

‘নো অ্যাডেড সুগার’ মানে কী
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অনুসারে, কোনো পণ্যের গায়ে যখন লেখা থাকে ‘নো অ্যাডেড সুগার’, তখন এর মানে পণ্যটি তৈরি, প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেজিং করার সময় কোনো বাড়তি চিনি ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি কোনো আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও ব্যবহার করা হয়নি। তবে সেখানে প্রাকৃতিকভাবে চিনি থাকতে পারে। মনে করুন, একটা পিনাট বারের প্যাকেটের গায়ে লেখা ‘নো অ্যাডেড সুগার’। এর মানে কোনো বাড়তি চিনি ব্যবহার করা হয়নি বটে। তবে বাদাম বা কিশমিশের নিজস্ব ‘চিনি’র কারণে জিনিসটা খেতে মিষ্টি লাগতে পারে।
কোনটি বেশি স্বাস্থ্যকর
আপনি যদি ডায়েটে থাকেন, তাহলেও সুগার ফ্রি বা নো অ্যাডেড সুগার—দুটিই খেতে পারবেন। তবে সুগার ফ্রি খাবার মাঝেমধ্যে খাওয়া ভালো। আপনি যদি নিয়মিত সুগার ফ্রি খাবার খান, তাহলে আপনার চিনির চাহিদা তৈরি হবে। ফলে তৈরি হবে বাড়তি চিনি খাওয়ার প্রবণতা। সেটা আপনার চিনিমুক্ত জীবনযাপনের ‘সাধনায়’ ব্যাঘাত ঘটাবে।
এ কারণেই একাধিক গবেষণা জানিয়েছে, সুগার ফ্রি আর নো অ্যাডেড সুগারের মধ্যে যদি আপনাকে কেবল একটা বেছে নিতে বলা হয়, তাহলে নো অ্যাডেড সুগার বেছে নেওয়াই হবে জ্ঞানীর কাজ। অর্থাৎ এই দুইয়ের মধ্যে নো অ্যাডেড সুগারই তুলনামূলকভাবে ভালো বিকল্প।
সূত্র: এনডিটিভি
May be an image of text
Bilkis Khanom

No comments:

Post a Comment