Friday, May 26, 2017

হজরত লুকমান হাকীম (আ.) তাঁর ছেলের প্রতি মূল্যবান নসিহত

শাহর বিন হাওশাব বর্ণনা করেন, হজরত লুকমান হাকীম (.) তাঁর ছেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন,
()    হে বৎস! তুমি উদ্দেশ্যে জ্ঞান অর্জন করবে না যে, তুমি তার দ্বারা আলেমদের সাথে বহাস (জ্ঞানের বড়ত্ব প্রকাশের জন্য তর্ক) করবে
()    অথবা মূর্খদের মাঝে বড় হবে
()    বা মজলিসে তোমার বিশেষ স্থান হবে
()    জ্ঞান অর্জন করার প্রতি তোমার আগ্রহ থাক বা না থাক। তুমি জ্ঞান অর্জন করা ছেড়ে দিবে না
()    হে বৎস! তুমি ইসলামী আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে
()    যদি কোনো স্থানের মানুষদেরকে দেখ যে, তাঁরা আল্লাহর জিকির (স্মরণ করে আলোচনা) করছেন তাহলে তুমি সে জিকিরকারীদের (স্মরণ করে আলোচনাকারী) সাথে বসে যাবে
()    কেননা যদি তুমি আলেম হও তাহলে তখন তোমার জ্ঞান দ্বারা তারা উপকারী হবে
()    আর যদি তুমি অজ্ঞ হও তাহলে তুমি সে জিকিরকারীদের (স্মরণ করে আলোচনাকারী) থেকে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে
()    আল্লাহ তাআলা যদি তাঁদের উপর রহমত নাযিল করেন তাহলে তুমিও সে রহমত লাভ করতে পারবে
(১০)   আর যদি দেখ যে কোনো স্থানের মানুষ আল্লাহর যিকির (স্মরণ করে আলোচনাকারী) করছে না তাহলে তুমি তাদের সাথে বসবে না
(১১)   তাদের সাথে যদি তুমি বস এবং তুমি আলেম হও তোমার সে জ্ঞান কোনো উপকারে আসবে না
(১২)   আর যদি তুমি অজ্ঞ হও তাহলে তাদের সাথে বসার কারণে তোমার অজ্ঞতা আরো বৃদ্ধি পাবে
(১৩)   আল্লাহ তাআলা যদি তাদের উপর কোনো আজাব নাযিল করেন তাহলে তুমিও সে আজাবে গ্রেফতার হয়ে যাবে। (সুনানে দারেমী . ১১২ পৃ. হাদীস নং ৩৮৫/ ৩৮৯)

Source: weeklysonarbangla  সেপ্টেম্বর ২০১৪

No comments:

Post a Comment