Thursday, May 11, 2017

সফল ব্যক্তিরা এড়িয়ে চলেন -

বেদনাবিধুর অতীত: অতীতে হয়তো অনেক ঝক্কি-ঝামেলার মধ্য দিয়ে আপনার জীবন কেটেছে। সেই দুঃসহ স্মৃতিময় জীবন কি চাইলেই এখন পরিবর্তন করতে পারবেন? না, সেটা কখনো সম্ভব নয়। অতীতকে যেহেতু পরিবর্তন করা যায় না, তাই অতীতের বেদনাময় স্মৃতিগুলো মনে করে অসুখী থাকার কোনো মানে হয় না। ভুলে যান সেসব স্মৃতিময় অতীত। শুধু মনে রাখুন সামনে এগানোর পথে যেন একই ভুল আর না হয়। ভুল থেকেই মানুষ শিক্ষা নেয়। কেউ ভুল না করলে ভবিষ্যতে সেই ভুল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া মানুষের একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এখনো আপনি জীবনে সফলতার শীর্ষে আরোহণ করতে পারেননি, তার মানে এই নয় যে আর কখনই আপনার সফলতা আসবে না। বর্তমানই তো একসময় অতীত হয়ে যায়। তাই বর্তমানের বেদনাদায়ক বিষয়গুলো যথাসম্ভব উপেক্ষা করার চেষ্টা করুন।
সমস্যাগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা: জীবনে সফল মানুষরা কখনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে না। তারা এর সমাধান নিয়ে চিন্তা করে। তাই আপনি যদি কোনো সমস্যায় পড়ে যান, তবে সেটা নিয়ে হা-হুতাশ না করে সমাধান নিয়ে চিন্তা করুন, সমাধান খুঁজে বের করুন। অন্যের মতামত মনোযোগ দিয়ে শোনা একটি ভালো গুণ। পরমতসহিষ্ণুতা ব্যক্তিজীবনে সবার কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা অনেকখানি বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু অন্যের মত শোনা মানে এই না যে, সেটাই আপনাকে গ্রহণ করতে হবে। নিজের সমস্যা সবার সঙ্গে শেয়ার করবেন  না। সবাইকে বোঝাবেন আপনি যথেষ্ট পরিমাণ সুখী এবং সেই সঙ্গে সফল একজন মানুষ। হয়তো এখনই হতে পারছেন না, কিন্তু একসময় আপনি সুখী সফল হয়ে উঠবেনই।
মনোবল না হারানো: সফল ব্যক্তিরা সহজে মনোবল হারান না। সফল মানুষ সবসময় আত্মপ্রত্যয়ী থাকেন। অন্তত মানসিকভাবে তারা যে কোনো সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা রাখেন। তাই সবসময় নিজের ভেতর ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখেন তারা কোটি টাকার মালিক না হলেও নিজেকে বিশ্বাস করুন একজন সফল মানুষ হিসেবে।
অর্থকড়ি নিয়ে ভাবনা: সফল ব্যক্তিরা জীবনের শুরুতে টাকাকড়ি নিয়ে তেমন কোনো চিন্তা করেন না। বিশেষ করে তারা মনে করেন অর্থের ওপর ভিত্তি করে কখনো সফল হওয়া যায় না। তাই তারা কখনো দ্বিধায় ভোগেন না। যে কোনো ব্যাপারে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতেও তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। বিশেষত. অর্থকড়ির দুশ্চিন্তা কখনো হূদয়ে স্থান না দেয়ায় তাদের সফলতার মাত্রা বেড়ে যায়।
অবস্থা বুঝে না বলা: সফল ব্যক্তিরা মনে করেন; উপযুক্ত স্থানে না বলাটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং পেশাদারি মনোভাবের পরিচয়। বিশেষত. একজন মানুষের পক্ষে সবার মুখে হাসি ফোটানো সম্ভব নয়। তারা মনে রাখেন যে একজন ব্যক্তি আর যা- হোক অন্তত সুপারম্যান না যে, অন্যের সব সমস্যার সমাধান একাই করে দিতে পারবেন। তাই সফল মানুষেরা জানেন কীভাবে এবং কোথায়নাবলতে হয়। তাই বলে এটাকে আবার স্বার্থপরতা ভাবেন না তারা।
সাধ্যের অতিরিক্ত না করা: সফল ব্যক্তিরা নিজের সাধ্যমতো অন্যকে সাহায্য করেন ঠিকই কিন্তু কখনো সাধ্যের অতিরিক্ত চেষ্টা করেন না। যে ব্যাপারগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ সেগুলো তারা খুঁজে বের করে আগে শেষ করতে চান। তারা কখনই কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বেশি সময় দেন না। এই দিক থেকে ভাবতে গেলে সময় থাকতে হাতের কাজ শেষ করে ফেলা সফল মানুষদের অন্যতম গুণ।
হতাশা এড়িয়ে চলা: সফল ব্যক্তিরা হতাশাকে এড়িয়ে চলেন। তারা জীবনের খারাপ সময়গুলোকে খারাপই মনে করেন। তাদের হিসেবে এমন সময় আসে আবার চলে যায়। ধৈর্য ধরে তারা এগুলোকে উপেক্ষা করে সুন্দর আগামীর অপেক্ষায় থাকেন
Adapted

No comments:

Post a Comment