ধর্ম ঐতিহাসিক সত্য। মানুষের বাইরে এর বিকাশ। শিকড় মানবাত্মার গভীরে। এই
বিশ্বব্যবস্থা পৃথিবী থেকে এবং মানবজাতির অন্তর থেকে কোনো দিন লুপ্ত হয়ে
যাবে না।
বস্তুজগতের ঊর্ধ্বে এমন কিছু আছে, অনুভূতি দিয়ে যার স্বাদ পাওয়া যায়। অনুভূতির এই অভিজ্ঞতা বাস্তবতার ঊর্ধ্বে সত্যি সত্যিই অন্য এক বাস্তবতাকে শনাক্ত করতে পারে। সেই বাস্তবতার বৈশিষ্ট্য পবিত্রতা। পবিত্রতার আবহ আমাদের পরিচিত বস্তুজগৎ এবং বিশুদ্ধ নিত্যজগৎ বা স্বর্গীয় পরিমণ্ডলের মধ্যে যোগসূত্র রচনা করে। সেই সুপবিত্র তৃষিত স্বর্গের উদ্বোধন ঘটিয়েছেন যুগে যুগে ওলি, কামেল তথা ঋষি ও মনীষীরা। বৈদগ্ধের উচ্চতম স্তরে রয়েছে সেসব তত্ত্ব ও তাত্ত্বিকতা।
বলাবাহুল্য আজ আমাদের জীবন নানা চাপে ও মানসিক অস্থিরতায় ভরা। দুঃখের সমূহ গান ভেসে ওঠে কণ্ঠে কণ্ঠে- ‘শান্তির পারাবত যা উড়ে আকাশে, যেখানে অবাধ প্রাণ মুক্ত বাতাসে। যেখানে বিরোধ নেই, নেই বিদ্বেষ- স্বার্থের হানাহানি নেই কোন ক্লেশ, যেখানে দরদী মন শুধু ভালোবাসে। এখানে মানুষ নামে অমানুষ যারা, পৃথিবীটা কলুষিত করে দিল তারা। দূষণের বিষ আজ প্রতি নিঃশ্বাসে। সৃষ্টির সেরা জীব হলো নরাধম, মানুষ হয়েছে মানুষের যম। নিখিল ধরণী আজ কাঁপে সন্ত্রাসে। শান্তির পারাবত যা উড়ে আকাশে।’
বস্তুত মানুষের মনে শান্তি নেই স্বস্তি নেই। সমাজ-জীবনও সহজ-সরল নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও নানাভাবে বিপর্যস্ত। দৈনন্দিন যাপনের মাধ্যমে প্রাত্যহিকতার চাপে আমরা দীর্ণ। আসলে জীবনটা কেমন যেন তালকানা হয়ে গিয়েছে। বাজার অর্থনীতির ডমরুধ্বনিতে চলমান পৃথিবীর বুকে আমরা যেন হঠাৎ আটকে গেছি। বিশ্বায়নের এ যুগে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, রেষারেষি তো রয়েছে। তার বাইরে বিশ্ব অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্বাভাবিক জীবনধারণ প্রায় অসম্ভব। ব্যক্তি মানুষ বিপর্যস্ত। এক অনিশ্চয়তার মধ্যেই জীবন কাটানো। অথচ এক দিকে থরে থরে সহজলভ্য বিলাসী ভোগ্যপণ্য, অন্য দিকে দারিদ্র্যের সর্বগ্রাসী থাবায় বিপন্ন সমাজ। দারিদ্র্য ও অভাব এ দেশের আধুনিকতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমষ্টির স্বার্থে তাই ব্যক্তির আত্মত্যাগ জরুরি। কেননা সৎ ও সচেতন জনমানসই সুস্থির সুনিয়ন্ত্রিত সমাজ গঠন করতে পারে।
বস্তুত দ্রুত বদলে যাচ্ছে সময়। বদলে যাচ্ছে মানবিক মূল্যবোধ। সবাই ছুটছে আর ছুটছে, কিন্তু কোথাও পৌঁছতে পারছে না। বিষয়-আশয়ে আশ্রয় নিতে গিয়েও দেখছে সব শূন্য।
আসলে আমরা ভুলে গেছি ধর্মের অমোঘ বাণী : অন্তরের অনুসন্ধানে ভোগ কমাও, ভোগ্যপণ্য সংযত করো। যদি শেষ অবধি বাঁচতে চাও, যদি সন্তানসন্ততির বেঁচে থাকা চাও, অল্প নিয়ে থাকো। কেবল ইন্দ্রিয় সুখ নয়, অতীন্দ্রিয় আনন্দে জেগে ওঠো।
Adapted
বস্তুজগতের ঊর্ধ্বে এমন কিছু আছে, অনুভূতি দিয়ে যার স্বাদ পাওয়া যায়। অনুভূতির এই অভিজ্ঞতা বাস্তবতার ঊর্ধ্বে সত্যি সত্যিই অন্য এক বাস্তবতাকে শনাক্ত করতে পারে। সেই বাস্তবতার বৈশিষ্ট্য পবিত্রতা। পবিত্রতার আবহ আমাদের পরিচিত বস্তুজগৎ এবং বিশুদ্ধ নিত্যজগৎ বা স্বর্গীয় পরিমণ্ডলের মধ্যে যোগসূত্র রচনা করে। সেই সুপবিত্র তৃষিত স্বর্গের উদ্বোধন ঘটিয়েছেন যুগে যুগে ওলি, কামেল তথা ঋষি ও মনীষীরা। বৈদগ্ধের উচ্চতম স্তরে রয়েছে সেসব তত্ত্ব ও তাত্ত্বিকতা।
বলাবাহুল্য আজ আমাদের জীবন নানা চাপে ও মানসিক অস্থিরতায় ভরা। দুঃখের সমূহ গান ভেসে ওঠে কণ্ঠে কণ্ঠে- ‘শান্তির পারাবত যা উড়ে আকাশে, যেখানে অবাধ প্রাণ মুক্ত বাতাসে। যেখানে বিরোধ নেই, নেই বিদ্বেষ- স্বার্থের হানাহানি নেই কোন ক্লেশ, যেখানে দরদী মন শুধু ভালোবাসে। এখানে মানুষ নামে অমানুষ যারা, পৃথিবীটা কলুষিত করে দিল তারা। দূষণের বিষ আজ প্রতি নিঃশ্বাসে। সৃষ্টির সেরা জীব হলো নরাধম, মানুষ হয়েছে মানুষের যম। নিখিল ধরণী আজ কাঁপে সন্ত্রাসে। শান্তির পারাবত যা উড়ে আকাশে।’
বস্তুত মানুষের মনে শান্তি নেই স্বস্তি নেই। সমাজ-জীবনও সহজ-সরল নেই। ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও নানাভাবে বিপর্যস্ত। দৈনন্দিন যাপনের মাধ্যমে প্রাত্যহিকতার চাপে আমরা দীর্ণ। আসলে জীবনটা কেমন যেন তালকানা হয়ে গিয়েছে। বাজার অর্থনীতির ডমরুধ্বনিতে চলমান পৃথিবীর বুকে আমরা যেন হঠাৎ আটকে গেছি। বিশ্বায়নের এ যুগে অসুস্থ প্রতিযোগিতা, রেষারেষি তো রয়েছে। তার বাইরে বিশ্ব অর্থনীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে স্বাভাবিক জীবনধারণ প্রায় অসম্ভব। ব্যক্তি মানুষ বিপর্যস্ত। এক অনিশ্চয়তার মধ্যেই জীবন কাটানো। অথচ এক দিকে থরে থরে সহজলভ্য বিলাসী ভোগ্যপণ্য, অন্য দিকে দারিদ্র্যের সর্বগ্রাসী থাবায় বিপন্ন সমাজ। দারিদ্র্য ও অভাব এ দেশের আধুনিকতার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সমষ্টির স্বার্থে তাই ব্যক্তির আত্মত্যাগ জরুরি। কেননা সৎ ও সচেতন জনমানসই সুস্থির সুনিয়ন্ত্রিত সমাজ গঠন করতে পারে।
বস্তুত দ্রুত বদলে যাচ্ছে সময়। বদলে যাচ্ছে মানবিক মূল্যবোধ। সবাই ছুটছে আর ছুটছে, কিন্তু কোথাও পৌঁছতে পারছে না। বিষয়-আশয়ে আশ্রয় নিতে গিয়েও দেখছে সব শূন্য।
আসলে আমরা ভুলে গেছি ধর্মের অমোঘ বাণী : অন্তরের অনুসন্ধানে ভোগ কমাও, ভোগ্যপণ্য সংযত করো। যদি শেষ অবধি বাঁচতে চাও, যদি সন্তানসন্ততির বেঁচে থাকা চাও, অল্প নিয়ে থাকো। কেবল ইন্দ্রিয় সুখ নয়, অতীন্দ্রিয় আনন্দে জেগে ওঠো।
Adapted
No comments:
Post a Comment