ফেল্টুস শিক্ষার্থী হলেন দেশসেরা
সফলদের জীবনীতে অনেকবারই হয়তো শুনেছেন যে পড়ালেখায় খুব একটা ভাল ছিলেন না। অনেকেই বলেন, ‘ওসব আগে সম্ভব ছিল। এখন দিন পাল্টে গেছে।’ এই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন ভারতের শিক্ষার্থী রুক্মিনী রায়ার। একসময় ফেল করা এই শিক্ষার্থী নিজেকে পাল্টে ফেলে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএস) পরীক্ষায় সারাদেশে হয়েছেন প্রথম।
ভারতের চণ্ডীগড়ের রুক্মিনী রায়ার এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র আলোচিত। প্রচণ্ড প্রতিযোগিতামূলক
এ পরীক্ষায় কোনো বিশেষ কোচিং ছাড়াই প্রথম হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ২০১১ সালের ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ( ইউপিএসসি) পরীক্ষাতেও সারাদেশে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, এত ভালো ফলাফল করলেও একসময় তিনি ছিলেন ‘ফেল্টুস শিক্ষার্থী’। বোর্ডিং স্কুলে পড়ার সময় ফেল করেছিলেন তিনি।
সাধারণত শিক্ষার্থীরা ফেল করার পর ভেঙে পড়ে। রুক্মিনীও ভেঙে পড়েছিলেন। তবে সেটাকে কাটিয়ে ছিনিয়ে প্রচণ্ড জেদ তুলেছিলেন মাথায়। সেই প্রত্যয়ী মনোভাবেই ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়।
২৯ বছর বয়সী রুক্মিনী মুম্বাইয়ের টাটা ইন্সটিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্সেস থেকে সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপে স্নাতকোত্তর পর্ব শেষ করেছেন।
২০০৫ সালে ভর্তি হয়েছিলেন স্কুল অব সোশ্যাল সায়েন্সে। ২০০৮ সালে ডিস্টিংশন নম্বর নিয়ে স্বর্ণপদক পেয়ে পাস করেন রুক্মিনী।
পড়াশোনা শেষ করে ভারতীয় সমাজকে ভাল করে জানার আগ্রহে কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের দুটি এনজিওতে কাজ করেন তিনি। এরপর যোগ দেন প্ল্যানিং কমিশন অব ইন্ডিয়ার চাকরিতে। চাকরি করতেই করতেই সিদ্ধান্ত নেন পাবলিক সার্ভিসে যাওয়ার।
২০১১ সালে ইউপিএসসি-তে পুরো দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছিলেন রুক্মিনী। রাষ্ট্রবিজ্ঞান
ও সমাজবিদ্যা নিয়ে প্রথম চেষ্টাতেই উত্তীর্ণ হন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়।
কোনও বিশেষ কোচিং ছাড়াই আইএএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করার কৃতিত্ব পরিশ্রমকেই দিলেন রুক্মিনী। শিক্ষার্থীদের
উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের বলব- পরিশ্রম, লেগে থাকা আর লক্ষ্যে স্থির থাকাই সাফল্যের একমাত্র পথ। এখনই শুরু করো। যদি আমি পারি, বাকি সবাই পারে, তা হলে তোমাকেও কেউ আটকাতে পারবে না।’
সূত্র: আনন্দবাজার
No comments:
Post a Comment