Thursday, November 30, 2023

রক্তে আয়রন

 রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে প্রথমেই দরকার এমন খাবার, যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। খাবারে প্রাপ্ত আয়রন দু’ধরনের— হিম আয়রন ও নন-হিম আয়রন। হিম আয়রন পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিমে। এ ধরনের আয়রনের প্রায় শতকরা ৪০ শতাংশ সরাসরি শরীর শোষণ করতে পারে। আর নন-হিম আয়রন পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে। তবে সব আয়রন শরীর শোষণ করতে পারে না। তাই আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শরীর তা শোষণ করতে পারে। যেমন ভাতের সঙ্গে শাক ভাজা খাওয়ার সময়ে দু’ফোঁটা লেবুর রস দিতে পারেন। এতে আয়রনের শোষণ শরীরে হবে ভাল হবে। পালংয়ের মতো শাক, ব্রকোলি, ডাল, বিন, বাদাম, বেদানা, নানা ধরনের বীজ, ব্রাউন রাইস, নানা সিরিয়াল বা দানাশস্য, হোল হুইট খেতে পারেন। আবার ভিটামিন এ এবং সি-সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখলে তা আয়রন শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করতে অনেকে আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই আয়রন সাপ্লিমেন্ট খান। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট থেকে পেটব্যথা, পেট খারাপের মতো বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া তা না খাওয়াই শ্রেয়।
anandabazar
May be an image of flower
All reactions:
You, Atowar Khan, Lulu Bilkis Khanom and 2 others

মোজা পরে শোয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়

 Reasons why you should avoid wearing socks when going to bed

শীত পড়তে শুরু করেছে রাজ্যে। দিনে গরম লাগলেও রাতের দিকে খানিকটা শীত শীত ভাব বেশ মালুম হচ্ছে। সোয়েটার, জ্যাকেট, দোহর ইতিমধ্যেই বেরিয়ে পড়েছে আলমারি থেকে। মোজা পরতে শুরু করেছেন কেউ কেউ। শীতের রাতে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই পায়ে মোজা পরেই শুয়ে পড়েন। বেশ আরামও হয়। তবে এই অভ্যাস কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
রাতে মোজা পরে শোয়ার অভ্যাস আরামদায়ক হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। সারা রাত মোজা পরে থাকলে যেমন আমাদের ঘুমের উপর প্রভাব পড়তে পারে, তেমনই হৃদ্‌স্পন্দনের তারতম্য হতে পারে। এই অভ্যাসের ফলে আরও কী কী সমস্যা হয়?
১) শরীরের রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। এর ফলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা শরীরের পক্ষে ভাল নয়।
২) নাইলন অথবা ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয় এমন কাপড়ে তৈরি মোজা দীর্ঘ ক্ষণ পরে থাকলে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে সুতির মোজা ব্যবহার করা যায়।
৩) মোজা খুব আঁটসাঁট হলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ঘুমের সময়ে অস্বস্তি হতে পারে। তাই ঘুমোনোর আগে মোজা খুলে রাখাই ভাল।
ঠান্ডায় ঘুমোনোর সময় তা হলে কী ভাবে পা গরম রাখা যায়?
ঘুমের আগে পায়ের তলায় তেল মালিশ করতে পারেন। এ ছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে একটি সুতির মোজা পরে নিতে পারেন। তবে ঘুমোনোর আগে মোজাটি খুলে নিতে ভুলবেন না যেন।
-আনন্দবাজার অনলাইন
May be an image of 1 person and sleepwear
All reactions:
You, Atowar Khan and Imran Hasan Tulon

Oranges Benefits

 কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে অনেকেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যাতে ভুগতে থাকেন। কমলালেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। শীতকালে প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে। ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এর জেরে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন। শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। কমলালেবু খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। প্রস্রাবে সাইট্রেটের অভাবে কিডনিতে পাথর হতে পারে। সাইট্রেট হল একটি সাইট্রিক অ্যাসিড, যা সাধারণত সাইট্রাস ফল যেমন কমলালেবুতে পাওয়া যায়। কিডনি রোগীদের সাধারণত এক গ্লাস কমলার রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়ায়, যা পাথর গঠনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সাইট্রাস ফল বিশেষ করে কমলালেবু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে কমলালেবুতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান হৃদরোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করে। এর পাশাপাশি এটি কোষের কার্যকারিতাও উন্নত করে। কমলা শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয় এটি আমাদের ত্বককেও ভালো রাখে। এটি ব্রণ, দাগ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। https://bangla.aajtak.in/ -2023-11-28

May be an image of fruit
All reactions:
You, Atowar Khan, Lulu Bilkis Khanom and 2 others

ঘি

 আধুনিকতার হালফ্যাশনে ঘি-এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ক্ষতিকর খাবার হওয়ার তকমা৷ কিন্তু আমরা ভুলেই যাই ঘিয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ৷ তবে ঘি খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে৷ এবং বাড়িতে তৈরি ঘি হলে তো কথাই নেই৷ দোকানের ঘিয়ে উপকারিতা অতটা পাওয়া নাও যেতে পারে৷ দিনের শুরুতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক৷ সমীক্ষায় প্রকাশ, এর ফলে ইনসুলিন রেসপন্স বেড়ে যায়৷ ঠিক থাকে হজমের স্বাস্থ্য৷ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ ঘি পর দিন সকালে মুক্তি দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে৷ বজায় থাকে পরিপাক ক্রিয়ার সুস্থতা৷

ঘিয়ের ভিটামিন কে সাহায্য করে ক্যালসিয়াম শোষণে৷ দাঁতের ক্ষয় এবং হাড়ের দুর্বলতা দূর করে খাঁটি ঘি৷ ভারতীয় রান্নার ক্ষেত্রে উচ্চ তাপ বা বেশি আঁচ খুবই দরকার৷ এই তাপমাত্রায় রান্নার ফলে ঘিয়ের গুণমান নষ্ট হয়ে যায় না৷ ঘিয়ের নানা উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে৷ ফলে ঘন ঘন অসুস্থতার প্রবণতা দূর হয়৷
- পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর, bengali.news18
No photo description available.
All reactions:
You, Atowar Khan, Lulu Bilkis Khanom and 1 other

আখরোট বা ওয়ালাট

 আখরোটকে সুপারফুড বললে ভুল হবে না। এটি এমন একটি শুকনো ফল যা শুধু রোগ থেকে রক্ষা করে না অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধও করে৷ জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা সমস্যা আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বয়স্কদের পাশাপাশি, তরুণরাও এই ধরনের ব্যথাতে আক্রান্ত। এই ব্যথা থেকে শরীরকে বাঁচাতে চাইলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া দরকার।

আখরোট এমন একটি শক্তিশালী শুকনো ফল যা মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা রাখে । আখরোটের মধ্যে বিশেষ ভিটামিন ও মিনারেল থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়।
প্রচুর ক্যালরি ছাড়াও আখরোটে প্রোটিন, ফ্যাট, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, থায়ামিন, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, জিঙ্ক, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো বিশেষ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শরীরের জন্য উপকারী।
জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা সমস্যায় ভুগে থাকেন বা এটি এড়াতে চান, তাহলে আখরোট আপনার জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন বৈদ্যরাজ দীনানাথ উপাধ্যায়ের মতে, এটি নিয়মিত খেলে জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা প্রতিরোধ করে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পুষ্টি উপাদান আখরোটে রয়েছে। এটি শুধু জয়েন্ট, ফোলা এবং আর্থ্রাইটিসে ব্যথা কমাতে উপকারী নয়, এটি মস্তিষ্কের জন্যও ভাল।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকে বয়সের প্রভাব দেখা দিতে দেয় না। এছাড়া এটি কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণ করে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে বার্ধক্যের প্রভাব এমনকি বৃদ্ধ বয়সেও অনেকটাই কমে যায়।
আখরোটে থাকা পুষ্টি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে ফ্রি Radical কমিয়ে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে যে তেল পাওয়া যায় তা পারকিনসন্স রোগ প্রতিরোধ করে এবং বিষণ্ণতা ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতেও সহায়ক। এটি নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তিও উন্নত হতে পারে এবং মানসিক শীতলতাও বজায় থাকবে।
আখরোট অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ। এই উপাদানটি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক। আসলে, এলডিএল-এর কারণে, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, নিয়মিত আখরোট খেলে তা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকার সম্ভাবনা থাকে।
পরিমাণ মতো আখরোট খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং এতে উপস্থিত তেল ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। অকাল বার্ধক্য রুখতে দারুণ কার্যকরী আখরোট৷ নিয়মিত আখরোট খেলে যৌবনও ধরে রাখতে পারবেন৷ ত্বকের বয়সও বাড়বে না ৷
আলফা-লিনোলিক অ্যাসিডও আখরোটে পাওয়া যায়, যা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি উৎস৷। এই তৈলাক্ত উপাদান হাড়ের পুষ্টি জোগাতে কার্যকরী। এই দুটি উপাদানই পেশী সুস্থ রাখতেও সহায়ক।
আখরোটে উপস্থিত বিশেষ পুষ্টি উপাদান ত্বককে তৈলাক্ত ও চকচকে করে। এছাড়াও বলিরেখা থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বক ছাড়াও ভিটামিন সি এবং ই চুলের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
-bengali.news18
No photo description available.
All reactions:
You, Atowar Khan and Lulu Bilkis Khanom