রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়াতে প্রথমেই দরকার এমন খাবার, যাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। খাবারে প্রাপ্ত আয়রন দু’ধরনের— হিম আয়রন ও নন-হিম আয়রন। হিম আয়রন পাওয়া যায় মাছ, মাংস, ডিমে। এ ধরনের আয়রনের প্রায় শতকরা ৪০ শতাংশ সরাসরি শরীর শোষণ করতে পারে। আর নন-হিম আয়রন পাওয়া যায় উদ্ভিজ্জ খাবার থেকে। তবে সব আয়রন শরীর শোষণ করতে পারে না। তাই আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, যাতে শরীর তা শোষণ করতে পারে। যেমন ভাতের সঙ্গে শাক ভাজা খাওয়ার সময়ে দু’ফোঁটা লেবুর রস দিতে পারেন। এতে আয়রনের শোষণ শরীরে হবে ভাল হবে। পালংয়ের মতো শাক, ব্রকোলি, ডাল, বিন, বাদাম, বেদানা, নানা ধরনের বীজ, ব্রাউন রাইস, নানা সিরিয়াল বা দানাশস্য, হোল হুইট খেতে পারেন। আবার ভিটামিন এ এবং সি-সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় রাখলে তা আয়রন শোষণ করতে শরীরকে সাহায্য করে।
Thursday, November 30, 2023
রক্তে আয়রন
মোজা পরে শোয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর নয়
Reasons why you should avoid wearing socks when going to bed
Oranges Benefits
কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালে অনেকেই সর্দি-কাশির মতো সমস্যাতে ভুগতে থাকেন। কমলালেবু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং রোগ থেকে রক্ষা করে। শীতকালে প্রতিদিন কমলা খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তিকে শক্তিশালী করে। ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। এর জেরে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখেন। শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। কমলালেবু খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। প্রস্রাবে সাইট্রেটের অভাবে কিডনিতে পাথর হতে পারে। সাইট্রেট হল একটি সাইট্রিক অ্যাসিড, যা সাধারণত সাইট্রাস ফল যেমন কমলালেবুতে পাওয়া যায়। কিডনি রোগীদের সাধারণত এক গ্লাস কমলার রস পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি প্রস্রাবে সাইট্রেটের মাত্রা বাড়ায়, যা পাথর গঠনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। সাইট্রাস ফল বিশেষ করে কমলালেবু স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে কমলালেবুতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান হৃদরোগের অগ্রগতি প্রতিরোধ করে। এর পাশাপাশি এটি কোষের কার্যকারিতাও উন্নত করে। কমলা শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয় এটি আমাদের ত্বককেও ভালো রাখে। এটি ব্রণ, দাগ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। তবে কোনও কিছু অতিরিক্ত খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। https://bangla.aajtak.in/ -2023-11-28
ঘি
আধুনিকতার হালফ্যাশনে ঘি-এর সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ক্ষতিকর খাবার হওয়ার তকমা৷ কিন্তু আমরা ভুলেই যাই ঘিয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ৷ তবে ঘি খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে৷ এবং বাড়িতে তৈরি ঘি হলে তো কথাই নেই৷ দোকানের ঘিয়ে উপকারিতা অতটা পাওয়া নাও যেতে পারে৷ দিনের শুরুতে ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক৷ সমীক্ষায় প্রকাশ, এর ফলে ইনসুলিন রেসপন্স বেড়ে যায়৷ ঠিক থাকে হজমের স্বাস্থ্য৷ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ ঘি পর দিন সকালে মুক্তি দেয় কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে৷ বজায় থাকে পরিপাক ক্রিয়ার সুস্থতা৷
আখরোট বা ওয়ালাট
আখরোটকে সুপারফুড বললে ভুল হবে না। এটি এমন একটি শুকনো ফল যা শুধু রোগ থেকে রক্ষা করে না অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধও করে৷ জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলা সমস্যা আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বয়স্কদের পাশাপাশি, তরুণরাও এই ধরনের ব্যথাতে আক্রান্ত। এই ব্যথা থেকে শরীরকে বাঁচাতে চাইলে নিয়মিত আখরোট খাওয়া দরকার।