Has it All!
মানবদেহে যেসব উপাদানের নিয়মিত প্রয়োজন, তার সবই শজনেপাতায় আছে। এ পাতায় প্ল্যান্ট প্রোটিন ও আয়রনের উপস্থিতি বেশি। এটিকে শুকিয়ে গুঁড়া করে খাওয়া হলে পুষ্টিগুণ ঠিক থাকবে, একদম নষ্ট হবে না।
শজনেপাতা শরীরে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডায়াবেটিসের মতো কঠিন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। নিয়ম করে দৈনিক শজনেপাতার গুঁড়া সেবন করলে শরীরের প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে এবং ‘ইমিউনিটি স্টিমুল্যান্ট’ হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরের হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। শরীরের ওজন কমাতে ব্যায়ামের পাশাপাশি নিয়মিত শজনেপাতার গুঁড়া খেলে কার্যকরী ফল মেলে। শজনেপাতা মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই। ১ টেবিল চামচ শজনেপাতার গুঁড়ায় ১৪ শতাংশ প্রোটিন, ৪০ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ২৩ শতাংশ আয়রন বিদ্যমান। ৬ টেবিল চামচ মরিঙ্গা পাউডার একজন অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়ী মায়ের প্রতিদিনের আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। শজনেপাতার গুঁড়ায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এটি যকৃৎ ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবেও কাজ করে শজনেপাতা। শজনেতে ৯০টিরও বেশি এবং ৪৬ রকমের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এতে ৩৬টির মতো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আছে। এ ছাড়া এটি অকালবার্ধক্যজনিত সমস্যা দূর করে, ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে দারুণ কার্যকর।
এখানেই শেষ নয়, শজনেপাতায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি–অক্সিড্যান্ট, যা আপনার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও শরীরের বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে আপনার দেহকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। নিয়মিত শজনেপাতার পাউডার খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। করোনা প্রতিরোধে শজনেপাতা ও ফল উভয় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment