ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ফজরের দুই রাকাত (সুন্নাত) দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম।’ (মুসলিম : ৭২৫)
প্রথম কাতারে নামাজ : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, পুরুষের কাতারের মধ্যে উত্তম হলো প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট হলো শেষ কাতার। শেষ কাতারকে নিকৃষ্ট বলা হয়েছে মূলত ফজিলত বোঝানোর জন্য। প্রকৃতপক্ষে নিকৃষ্ট নয়, সব কাতারই সমান তবে গুরুত্ব দিতে হবে সামনের কাতারকে।(মুসলিম : ৪৪০)
নামাজের শেষে তাসবিহ পাঠ : প্রত্যেক নামাজের পর তিন তাসবিহ পাঠের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন কিছু নেক কাজের আদেশ দেবো? যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী, তাদের পর্যায়ে পৌঁছতে সহায়ক হবে। তা হলো তোমরা প্রত্যেক নামাজের পর ৩৩ বার করে তাসবিহ (সুবহানাল্লাহ), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) এবং তাকবির (আল্লাহু আকবার) পাঠ করবে।’ (বুখারি : ৮৪৩)
কুরআন পাঠ ও পাঠদান : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি : ৫০২৭)
অসহায় লোকদের সাহায্য করা : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, নিচের হাত থেকে উপরের হাত উত্তম। কেননা, উপরের হাত হলো দানকারীর হাত, নিচের হাত হলো গ্রহণকারীর হাত।’ (বুখারি : ১৪২৯)
মানুষকে খাদ্য খাওয়ানো ও সালাম দেয়া : এক ব্যক্তি নবী সা:-কে জিজ্ঞাসা করলেন, ইসলামের কোন আমলটি উত্তম? তিনি বলেন, মানুষকে খাবার খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান করা।’ (বুখারি : ২৮)
সুন্দর চরিত্র : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সে, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।’ (বুখারি : ৩৫৫৯)
বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, কোনো মুসলিমের পক্ষে বৈধ নয় তার কোনো ভাইয়ের সাথে তিন দিনের বেশি সম্পর্কচ্ছেদ রাখা। যে তাদের দুজনের দেখা- সাক্ষাৎ হলে একজন একদিকে আরেকজন অন্যদিকে চেহারা ঘুরিয়ে নেয়। তাদের মধ্যে উত্তম ওই ব্যক্তি, যে প্রথম সালাম প্রদান করবে। (বুখারি : ৬২৩৭)
পরিবারের সাথে উত্তম আচরণ : রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সে, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। (তিরমিজি : ৩৮৯৫)
No comments:
Post a Comment