Good? bad? who knows?
তুমি যদি কোথাও কুকুরের মল মাড়িয়ে ফেল, তাহলে বিরক্ত না হয়ে সেই নোংরা বস্তুটা তোমার জুতো থেকে মুছে ফেলবে। তোমার বাড়ির বাগানের আপেল গাছের তলায় সেই কাজটা তুমি করতে পার। পরের বছর তোমার সেই আপেল গাছটির আপেল হবে আগের চেয়ে বেশি, অধিক রসালো ও মিষ্টি। কিন্তু তোমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, যখন তুমি সে সুস্বাদু আপেলে কামড় দিয়েছ তখন তুমি কুকুরের সেই নোংরা বস্তুটিই খাচ্ছ। তফাৎ এইটুকু যে, সেই বস্তুটা এখন রসালো মিষ্টি আপেলে রূপান্তরিত হয়েছে।
একইভাবে, যখন তুমি জীবনে কোনো সমস্যায় জড়িয়ে পড়ো, সেটাও কুকুরের মল মাড়িয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার। কিন্তু রেগে যাওয়া, ত্যক্তবিরক্ত হওয়া কিংবা বিমর্ষ হয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, তুমি বরং সেই ব্যাপারটি বাড়িতে নিয়ে যাও এবং তোমার হৃদয়ের মধ্যে তা রেখে দাও। শিগগিরই তুমি আরও বেশি জ্ঞানী ও করুণার আধার হয়ে উঠবে। তবে মনে রাখবে, সেইসব রসালো জ্ঞান আর সুমধুর ভালোবাসা কী? এ হচ্ছে আসলে জীবনের নোংরা জিনিসেরই রূপান্তরিত রূপ।
এই বিস্ময় উদ্রেককর উপদেশবাণী প্রদানের কয়েক ঘণ্টা পর, মোটরগাড়িতে ভ্রমণের সময় একটি বিশ্রামস্থলে, আমি সত্যিই আসল কুকুরের মলই মাড়িয়ে ফেলেছিলাম। আমার গাড়ির চালক, যিনি মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে কুকুরের পরিত্যক্ত নোংরা বস্তুটির উপমা শুনেছিলেন তিনি কিন্তু আমার দুই পায়ের স্যান্ডেল থেকে অই নোংরা জিনিসটা পুরোপুরি সাফ না করা পর্যন্ত আমাকে কিছুতেই আবার গাড়িতে উঠতে দিতে রাজি হলেন না। বস্তুতপক্ষে আমার উপদেশে কুকুরের মল নিয়ে যে উপমাটি আমি দিয়েছিলাম তিনি সেটিকে প্রায় ফুৎকারেই উড়িয়ে দিলেন।
আজকালকার দিনে অনেক মানুষের ক্ষেত্রে এটিই এক বড় সমস্যা। তারা প্রকৃতি থেকে আলাদা করে দেওয়া এপার্টমেন্টে বাস করে এবং সেখানে একটি নোংরা বস্তুকে রসালো ফলে রূপান্তরিত করার মতো কোনো বাগান নেই।
No comments:
Post a Comment