Tuesday, November 14, 2023

যাদের ডায়াবেটিস হয়েছে

 5 Best Vegetables For Diabetics

১. ঢ্যাঁড়শ খেতে ভুলবেন না!​
এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ফলিক অ্যাসিডের ভাণ্ডার যা কিনা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, ঢ্যাঁড়শের ক্যালোরি ভ্যালুও খুবই কম। এমনকী এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার। তাই নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেলে যে অনায়াসে ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য! সুতরাং আর অহেতুক সময় ব্যয় না করে এই সব্জিকে দ্রুত ডায়েটে জায়গা করে দিন। তাহলেই স্বাস্থ্যের হাল ফিরবে।
২. লাউ খাওয়া চাই​
আমাদের হাতের কাছে মজুত থাকা অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি হল লাউ। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার। শুধু তাই নয়, এই সবজির ক্যালোরি ভ্যালু কম, ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তার বদলে এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার মজুত রয়েছে যা কিনা সুগার নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে এই সবজির রসাল পদ জমিয়ে খেতে দেরী করবেন না যেন!
৩. উচ্ছে, করলার জুড়ি মেলা ভার​
ব্লাড সুগারকে বিপদসীমার নীচে নামিয়ে আনার ইচ্ছে থাকলে আপনাকে নিয়মিত উচ্ছে, করলা খেতেই হবে। আসলে এইসব সবজিতে রয়েছে চ্যারানটিন নামক একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিম্মমুখী করার কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, দেহে ইনসুলিন হরমোনের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই ডায়াবিটিস রোগীর রোজের ডায়েটে উচ্ছে ও করলা থাকাটা অবশ্যই। এই কাজটা করতে পারলেই আপনার একাধিক ওষুধের প্রতি নির্ভরশীলতা কাটবে।
৪. গাজর খেতে ভুলবেন না
এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো একাধিক জরুরি ভিটামিন ও খনিজ। তাই তো সুস্থ-সবল জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে যে কোনও মানুষই রোজ গাজর খেতেই পারেন।
শুধু তাই নয়, এই সবজিতে রয়েছে বেশকিছুটা পরিমাণে ইনসলিউবল ফাইবার যা কিনা ব্লাড সুগারকে বাগে আনার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই ডায়াবিটিস রোগীরা যত দ্রুত সম্ভব এই সবজির সঙ্গে সন্ধি করে নিন।
৫. ক্যাপসিকাম কাছে রাখো
এই সবজিতে রয়েছে বেশ কিছু অ্যান্টিডায়াবিটিক উপাদান যা কিনা রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তবে এখানেই শেষ নয়, এতে রয়েছে এ, বি, সি, কে এবং ডায়েটরি ফাইবারের খনি। আর এই সমস্ত উপাদান একত্রে ডায়াবিটিস রোগীর শরীরের হাল-হকিকত বদলে দিতে পারে।
কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Like
Comment
Share

No comments:

Post a Comment