Friday, May 31, 2024

পৃথিবীর সামান্যই আমাদের বা মানুষের দখলে। অথচ আমার বা আমাদের বিস্তরণ সবখানে! কেনো?

 Why do humans seem to be so much weaker (physically) than nearly all animals that are around our size?

Asking “why” is begging for an answer that infers intent. Humans did not “choose” to be “weaker”, if indeed we are vs. the rest of the animals around our size, just like we did not choose to be “stronger” than all the animals that are much smaller than us. And indeed, the vast majority of animals that ever existed, were smaller than us humans, including our ancestors.
This is an infographic with an estimated % of biomass distribution on Earth today:
The % of animals that are larger than us, if we exclude the livestock that is by any practical sense completely subjugated to us, is practically insignificant.
So…in hindsight, we are very, very strong vs. the vast majority of animals, and immensely more successful than the few animals we are - in the narrow sense of strict physical might - weaker than.
Natural selection has chosen wisely that we were larger than insects. That was more than half the battle (again, no buttons were pressed, no crossroads were picked, there was no agency, I am just entertaining the “why”).
May be an image of text that says "Wild birds 0.1% Wild mammals 0.3% Molluscs 8% Cnidarians 4% Humans 2.5% Fish 29% Livestock 4% Annelids 8% Arthropods 42% The biomass distribution of the animal kingdom Data rom Yinon Bar-On Rob Phillips, botenYton.bro.o.mipeaeaa Ron Milo, PNAS (2018) Pictures Unsplash fron mR ichand Alex Ghizila, Peter Volf, Kyle yle Mackie dirianna Kaczmarek Kyaw Tun, Brugger nd Nick Dunn @davidmasp Nematodes 1%"
l reactio

সালাত আদায়

 মুসলিম ইবনু ইবরাহিম (রহঃ) .... মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু হাসান ইবনু আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা জাবির ইব‌ন আবদুল্লাহ (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সালাত (নামায/নামাজ) সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, মধ্যাহ্ন গড়ালেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করতেন এবং সূর্য সতেজ থাকতেই আসর আদায় করতেন, আর সূর্য অস্ত গেলেই মাগরিব আদায় করতেন, আর লোক বেশী হয়ে গেলে ইশার সালাত তাড়াতাড়ি আদায় করতেন এবং লোক কম হলে দেরী করতেন, আর ফজরের সালাত অন্ধকার থাকতেই আদায় করতেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৫৩৮, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৫৬৫
May be art of flower
ll reactions

আমার দাদী ও ছোট্ট আমি

 ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো

বর্গী এলো দেশে
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেবো কিসে?
ধান ফুরালো পাট ফুরালো
খাজনার উপায় কি?
আর ক'টা দিন সবুর করো
রসুন বুনেছি।
দাদীর কাছে শোনা ছড়া ছোট সময়ে।
দাদী দিয়েছিল সুখী হওয়ার উপদেশ :
1. Always remember that there is nobody on this earth that does not have problems. You are not the only one that has problems.
2. Challenges is part of life. It is only a dead man that has no challenges.
3. There is no problem that has no solution. There are solutions to the pains you are passing through.
4. The way you picture yourself in your mind can affect your happiness. Picture yourself as a valuable and beautiful person. Avoid low self esteem and inferiority complex.
5. Do not mind about what people say about you. Some people are sadists. They can just say something's just to make you feel sad.
6. Make friends with reasonable people who make you happy. Do not make friends with people who make jest of you or laugh at you over your challenges.
7. At your leisure time, keep yourself busy with your favorite hobbies like reading , Learning, etc.
8. Do not allow anyone to intimidate you with money and material things. A poor man today can become rich tomorrow. Change is constant.
9. No matter what you are passing through today, do not give up. As long as there is life, there is hope. Never stop trying. Give it one more time.
10. Be very prayerful. Pray without ceasing. Prayer is a catalyst that can speed up your blessings to come to you on time.
11. Be courageous to go for what you want. Life is all about risk. If you don't take a risk, you will not get the desires of your heart.❤
শুভ সকাল।
May be art
All reactions:

Hatred spreads through ignorance

 The judge asked the killer of former Egyptian President Anwar Sadat, "Why did you kill President Anwar Sadat?"

The murderer replied- "Because he was secular."
The judge immediately asked the next question – "What does secular mean?"
The killer said, "I don't know."
The man who tried to stab the deceased Egyptian writer Naguib Mahfouz was asked by the judge: "Why did you stab Mr. Naguib?"
The terrorist replied, "Because he has written the anti-religious novel 'Children of Gebalawi'."
The judge showed interest: "Have you read the novel?"
The criminal replied- "No."
The judge asked the murderer of Egyptian writer Farag Fouda - "Why did you kill Farag Fouda?"
The murderer replied- "Because he had no faith."
The judge was curious to know, "How did you know that he had no integrity?"
The terrorist's reply was - "Everything becomes clear by reading his books."
The judge's curiosity increased further - "In which book of his did you find the proof of his dishonesty?"
The killer admitted, "I don't know the name of the book. I haven't read it all."
The judge was surprised: "Why didn't you read it?"
The murderer said, "I don't know how to read and write."
Hatred never spreads through knowledge. Hatred spreads through ignorance. This is how society pays the price of ignorance, the price of keeping people ignorant.
From 'Real African Books'.
May be an image of 1 person
All reactio

তোয়ালে সমাচার

 অপরিচ্ছন্ন তোয়ালে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর

তোয়ালের প্রথম প্রচলন কবে, কোথায় হয়েছিল?
গোসল শেষে গা মোছা, খাওয়া শেষে হাত মোছা ছাড়াও তোয়ালের রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। শরীরের আর্দ্রতা শুষে নেয় এই কাপড়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজেও সর্বাধিক ব্যবহার হয় এটি। সুইমিং টাওয়েল বা সাঁতার তোয়ালে, ম্যাসাজ তোয়ালে, হ্যান্ড টাওয়েল বা হাত তোয়ালে, চুল মোছার তোয়ালে, রান্নাঘরের তোয়ালে—ব্যবহারের ভিন্নতা অনুযায়ী ২০ ধরনেরও বেশি তোয়ালে রয়েছে। সত্যিই, আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কত নিবিড়ভাবে যে বস্তুটি জড়িয়ে আছে, তা যেন আমরা খেয়ালই করি না।
তোয়ালের প্রথম চল হয়েছিল ১৭ শতাব্দীতে, তুরস্কে। তা–ও আবার বিশেষ এক প্রয়োজনে। বিয়ের গোসল শেষে কনের শরীর মোছার জন্য এর আবির্ভাব ঘটেছিল। ধীরে ধীরে ধর্মীয় আচার-প্রথার সঙ্গেও এটি জড়িয়ে যায়।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাপোলো অভিযানের সময় বানানো হয়েছিল বিশেষ ‘স্পেস টাওয়েল’। মাইক্রোগ্র্যাভিটি পরিবেশে নভোচারীদের দেহ পরিচ্ছন্ন রাখতে এটি ব্যবহৃত হতো। ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত ডগলাস অ্যাডামসের কল্পবিজ্ঞান বই দ্য হিচহাইকারস গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি–র তৃতীয় অধ্যায়ে লেখা হয়েছে, ‘নভোচারী হিচহাইকারদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে তোয়ালে।’ ২০০১ সালের ১১ মে ৪৯ বছর বয়সে হুট করেই মারা যান এই বিখ্যাত লেখক। ঠিক দুই সপ্তাহ পর, অর্থাৎ ২৫ মে ভক্ত-অনুরাগীরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চালু করেন তোয়ালে দিবস। দিনটি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করে ২০১৫ সালে ইতালীয় নভোচারী সামান্থা ক্রিস্তোফোরেত্তি দিবসটির প্রতি সমর্থন জানালে এটি আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা পেতে শুরু করে।
আজ ২৫ মে, তোয়ালে দিবস। দিনটি আপনিও পালন করতে পারেন। কিনতে পারেন ঝকঝকে নতুন একটা তোয়ালে। আর আধোয়া পুরোনো তোয়ালে থাকলে অবশ্যই ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, অপরিচ্ছন্ন তোয়ালে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মুখের ব্রণ, ত্বকে ঘা প্রভৃতির জন্য অনেকাংশেই নোংরা তোয়ালে দায়ী। তোয়ালে আপনার শরীর শুকায়, কিন্তু একবার ব্যবহারের পর পরবর্তী ব্যবহারের আগে তোয়ালের নিজেকেও শুকানোর সুযোগ দিতে হবে।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে
আরও তথ্যঃ কবীর হোসাইন
May be an image of towel and towel rack
ll reactions:

বইয়ের যত্ন

 পরিষ্কার হাত দিয়ে বই স্পর্শ ধরুন

বইয়ে হাত দেওয়ার আগে দুই হাত ভালো করে ধুয়ে নিন। হাতে লেগে থাকা তেল, ময়লা বইয়ের মলাট ও ভেতরের পৃষ্ঠার ক্ষতি করতে পারে। এ থেকে সৃষ্টি হয় দাগ, যা কখনোই দূর করা যায় না।
বই পড়ার সময় খানাপিনা করবেন না
যতই সাবধানী হোন না কেন, খানাপিনার সময় খাবারের অংশবিশেষ ছিটকে পড়তেই পারে। বইয়ে কোনোরকম দাগ পড়তে দিতে না চাইলে খাবার কিংবা পানীয় থেকে বই দূরে রাখুন। খাবারের অংশবিশেষ ছিটকে এসে পৃষ্ঠার এমন ক্ষতি করতে পারে, যাতে বই পড়ার অনুপযোগী হতে পারে।
তাক থেকে নামানোর সময় পুটের মাঝবরাবর ধরে টান দিন
শেলফের তাক থেকে বই বের করার সময় পুট বা শিরদাঁড়ার ওপরের অংশ ধরে টান দিলে পুট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশের দুটি বই হালকা চাপ দিয়ে সরিয়ে কাঙ্ক্ষিত বইটির পুটের মাঝ অংশ বরাবর ধরে টান দিন। দুটি বইয়ের মাঝখানে কাঙ্ক্ষিত বইটি যদি শক্তভাবে আটকে থাকে, তাহলে বইটির পেছন থেকে চাপ দিয়ে ছাড়িয়ে নিন।
পাতলা বুকমার্ক ব্যবহার করুন
বইয়ের কোন পৃষ্ঠা পড়ছেন, তার নিশানা রাখতে কখনোই পৃষ্ঠা ভাঁজ করে রাখবেন না। এটি বইয়ের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। আবার বইয়ের মধ্যে কলম বা মোটা কোনো জিনিস রেখে দিলে, তা বইয়ের পৃষ্ঠা ও পুট—উভয়ের ক্ষতি করে। তাই কোন পৃষ্ঠা পড়ছেন, তার চিহ্ন রাখতে পাতলা বুকমার্ক ব্যবহার করুন।
বই সোজা করে দাঁড় করিয়ে রাখুন
পেপারব্যাক ও ছোট হার্ডব্যাক বই সোজা করে দাঁড় করিয়ে তাকে রাখুন। আকৃতি নষ্ট না করতে চাইলে বইটি একই আকারের কয়েকটি বইয়ের পাশে রাখুন। বই যেন কোনো দিকে হেলে না পড়ে, সেটা নিশ্চিত করুন। বইটি খুব বেশি বড় হওয়ার ফলে যদি তাকে সোজা করে দাঁড় করিয়ে রাখতে না পারেন, তাহলে শুইয়ে রাখুন। তবে এ ক্ষেত্রে বইটির ওপর দুটির বেশি বই রাখবেন না।
সরাসরি রোদ থেকে বই দূরে রাখুন
সুর্যের অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি বইয়ের ওপর পড়লে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মলাটের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। এই ক্ষতি স্থায়ী হয় এবং এর ফলে দামি বা বিরল কোনো বইও মূল্যহীন হয়ে পড়ে। পারলে বইয়ের শেলফ ঘরের ছায়াময় কোনো স্থানে সরিয়ে নিন। আর যদি এমন হয় যে কোনোভাবেই সরাসরি রোদ থেকে দূরে রাখতে পারছেন না, তাহলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধী কভার কিনে নিন। অনলাইনে বিভিন্ন স্টোরে একটু খোঁজাখুঁজি করলেই তা পাওয়া যাবে।
যেভাবেই হোক বই শুষ্ক রাখুন
বই রাখার ঘরটি যেন কোনোভাবেই স্যাঁতসেঁতে বা আর্দ্র না থাকে, তা নিশ্চিত করুন। নইলে বইয়ে ছত্রাক জন্মাতে পারে। হিটার বা তাপদায়ক যন্ত্র থেকে বই বেশ দূরে রাখুন। অত্যধিক তাপে বই নষ্ট হয়ে যায় সহজেই।
নিয়মিত ময়লা ঝেড়ে পরিষ্কার করুন
বইয়ের তাকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধুলা–ময়লা জমতে শুরু করে। প্রতি দুই মাস অন্তর, পারলে প্রতি মাসে একবার বইয়ের ধুলা-ময়লা ঝেড়ে ফেলুন। পরিষ্কার কাপড়, পালকযুক্ত ডাস্টার অথবা নরম ব্রাশ দিয়ে বইয়ে জমে থাকা ধুলা-ময়লা ঝেড়ে পরিচ্ছন্ন রাখুন। বইয়ের পুটেও আলাদা করে ময়লা জমে থাকতে পারে। তাই পুট ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
ছিঁড়ে যাওয়া পৃষ্ঠা মেরামতে টেপ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
দোকানে যেসব স্কচটেপ পাওয়া যায়, তা দিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা জোড়া লাগানো থেকে বিরত থাকুন। এ ধরনের টেপ বইয়ের আরও ক্ষতি করতে পারে। আঠালো নোট বা স্টিকারও বই থেকে দূরে রাখুন।
মলাটের ওপরে বুক জ্যাকেট পরিয়ে রাখুন
অনলাইন থেকে বুক জ্যাকেট কিনে বইয়ের মলাটে পরিয়ে দিতে পারেন। বুক জ্যাকেট সহজেই বইয়ের মলাটে বসে যেতে পারে। বই স্থানান্তরের সময় যেন দুমড়ে-মুচড়ে না যায়, সে জন্য বুক জ্যাকেট খুবই উপকারী।
পুরোনো ও মূল্যবান বই মেরামত জন্য সংরক্ষকের সাহায্য নিন
দুর্লভ ও মূল্যবান বই মেরামতের জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ সংরক্ষক। কিন্তু এ রকম সংরক্ষকের খোঁজ আপনি পাবেন কোথায়? দক্ষ কোনো সংরক্ষকের খোঁজ পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে হাতের কাছে যেকোনো একটি পাঠাগারে। পাঠাগারের গ্রন্থাগারিকই আপনাকে দক্ষ সংরক্ষকের খোঁজ পাইয়ে দিতে পারেন।
সূত্র: উইকিহাউ
আরও সোর্স: আবু দারদা মাহফুজ
May be an image of book
l reactions:

সালাম দিন শুদ্ধ উচ্চারণে

 এটা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য বিশেষ জরুরী

সঠিক ও শুদ্ধ উচ্চারণ এবং স্পষ্ট ভাষায় সালাম দিন। কখনো বিকৃত বা অশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেবেন না। কারণ সালাম হচ্ছে সামাজিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও বন্ধন সৃষ্টিতে একটি কার্যকর সামাজিক রীতি এবং ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্কৃতি। যদি সালামকে বিকৃত করেন তাহলে আপনি ইসলামকে বিকৃত করেন। ইসলামী সমাজের অধিবাসীরা একে অন্যের যে কল্যাণকামী, শুভাকাক্সক্ষী ও হিতাকাক্সক্ষী সেটি এই সালামের মাধ্যমেই অধিকতর প্রকাশ পায়। একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই একে অন্যের নিরাপত্তা বা শান্তির দোয়া করবেন এরপর অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজ সমাধা করবেন। প্রথমেই বলবেন, ‘আসসালামু আলাইকুম বা সালামুন আলাইকুম’ অর্থাৎ তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। সাথে সাথে অন্যজন বলবেন, ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম’ অর্থাৎ ‘এবং তোমার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক’। সালামের মাধ্যমে পারস্পরিক হিংসাবিদ্বেষ দূরীভূত হয়; অহঙ্কার থেকে বেঁচে থাকা যায়।
সালাম প্রদানের মাধ্যমে একে অপরের প্রতি শান্তির বার্তা পৌঁছায়। একে অপরের নিরাপত্তা, রহমত ও বরকতের জন্য দোয়া করা হয়। এ জন্য সালাম একটি বিশেষ দোয়া ও ইবাদতও বটে। কেননা প্রথমত, অন্যের জন্য শান্তি কামনা করা মানে দোয়া করা। দ্বিতীয়ত, আল্লাহর কাছে চাওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে মানবতার কল্যাণের জন্য। তাই সালামের মাধ্যমে মানুষের সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য পরিস্ফুট হয়। সালামের মাধ্যমে একে অন্যের কল্যাণকামিতার বার্তা পৌঁছে দেয়া হয়। সাক্ষাতের শুরুতেই বলে দেয়া ‘আমি আপনার কল্যাণকামী সহৃদ বন্ধু। হৃদ্যতা ও সুসম্পর্ক সৃষ্টিতে সালাম ইসলামী জীবনব্যবস্থার এক অন্যতম সংস্কৃতি। সর্বোপরি সালাম আদান-প্রদানের মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে মুসলিম হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
কুরআন ও হাদিসে সালামের ওপর অত্যধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে নবী! ইবরাহিমের সম্মানিত মেনহমানদের কাহিনী কি তোমার কাছে পৌঁছেছে? তারা যখন তার কাছে এলো, বলল- আপনার প্রতি সালাম। সে বলল- আপনাদেরকেও সালাম কিছুসংখ্যক অপরিচিত লোক।’ (সূরা জারিয়াত : ২৪-২৫)
আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আর যখনই কেউ মর্যাদাসহকারে তোমাকে সালাম করে তখন তাকে তার চেয়ে ভালো পদ্ধতিতে জবাব দাও অথবা কমপক্ষে তেমনিভাবে। আল্লাহ সব জিনিসের হিসাব গ্রহণকারী।’ (সূরা নিসা-৮৬)
আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘তবে গৃহে প্রবেশ করার সময় তোমরা নিজেদের লোকদের সালাম করো, আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়েছে কল্যাণের দোয়া, বড়ই বরকতপূর্ণ ও পবিত্র।’ (সূরা নূর-৬১)
আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘হে ঈমানদাররা! নিজের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না যতক্ষণ না গৃহবাসীদের সম্মতি লাভ করো এবং তাদেরকে সালাম করো। এটিই তোমাদের জন্য ভালো পদ্ধতি, আশা করা যায় তোমরা এ দিকে নজর রাখবে।’ (সূরা নূর-২৭)
রাসূলুল্লাহ সা:-ও সালামের প্রতি অত্যন্ত গুরুত্বারোপ করেছেন। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা: থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূল সা:-কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামের কোনো জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেন, ‘তুমি খাদ্য খাওয়াবে ও চেনা-অচেনা সবাইকে সালাম দেবে।’ (বুখারি-১২, ২৮, ৬২৩৬, মুসলিম-৪২, আহমাদ-৬৭৬৫)
আবু হুরায়রা রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘ঈমানদার ছাড়া কেউই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের তা বলে দেবো না, কী করলে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসার সৃষ্টি হবে? তা হলো- তোমরা পরস্পরের মধ্যে বেশি সালাম বিনিময় করবে।’ (মুসলিম-৯৮, তিরমিজি-২৬৮৮, আবু দাউদ-৫১৯৩, ইবনে মাজাহ-৩৬৯২, আহমাদ-৮৮৪১)
কিন্তু ইসলামের এই সুন্দর সম্ভাষণ বা সংস্কৃতিকে আমরা বিকৃত করে ফেলেছি। বিভিন্ন ধরনের বিকৃতির সালাম আমাদের সমাজে বিস্তৃতি লাভ করেছে।
সালামের কিছু ভুল উচ্চারণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো :
১. স্লামালাইকুম : অর্থ উটের নাড়িভুঁড়ি আপনার জন্য।
২. সালামালাইকুম
৩. স্লামালিকুম : আপনাদের ওপর গজব হোক।
৪. সেলামালাইকুম বা আসলা মালিকুম : অর্থ শান্তির পরিবর্তে গজব, অশান্তি ও শাস্তি কামনা।
৫. আস্লা মালিকুম
৬. সেলামালিকুম
৭. আস-সামুকুম অর্থ তোমাদের ওপর অস্বস্তি, ক্লান্তি, অসন্তোষ, বিরক্তি ইত্যাদি।
৮. আসামু আলাইকুম : ইহুদিরা জেনে বুঝে মুসলমানদেরকে আস সামু আলাইকুম বলে সালাম দিত। যার অর্থ তোমাদের মৃত্যু হোক। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা: সূত্রে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘ইহুদিদের কেউ তোমাদের সালাম দেয়ার সময় বলে যে, আসামু আলাইকুম (অর্থাৎ তোমাদের মৃত্যু হোক)। জবাবে তোমরা বলবে- ওয়া আলাইকুম (অর্থাৎ তোমাদের ওপরও তাই)।’ (আবু দাউদ-৫২০৬) হাদিসটি সহিহ। ইমাম আবু দাউদ রহ: বলেন, ইমাম মালেক রহ: আবদুল্লাহ ইবনে দিনার সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘জবাবে তোমরা বলবে- ওয়া আলাইকুম।’ (বুখারি ও মুসলিম)
৯. সেলাম : কলকাতার ‘সংসদ বাংলা অভিধান সালামকে বিকৃত করেছে। তারা সালামের শুদ্ধ বানান লিখেছে ‘সেলাম’। সালামের ব্যাখ্যায় লিখেছে ‘সালাম’ হচ্ছে ‘সেলাম’-এর রূপভেদ। তাদের মতে আস-সালামু-আলাইকুমের শুদ্ধ বানান হচ্ছে, ‘সেলাম আলায়কুম’ যার অর্থ লেখা হয়েছে ‘নমস্কার’।
উপরে উল্লিখিত আল কুরআনের সূরা জারিয়াত, সূরা নিসা ও সূরা নূরে সালাম দেয়া-নেয়ার উত্তম পদ্ধতি এবং বরকত ও দোয়ার কথা বলা হয়েছে। সৃষ্টির প্রথম মহামানব আদম আ:-কে আল্লাহ তায়ালা সালামের দেয়া-নেয়ার পদ্ধতি শিখিয়েছেন। কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের জীবনে একে অন্যের সাথে সাক্ষাৎ হলে এই সম্ভাষণ, দোয়া ও সংস্কৃতি চলছে, চলবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বর্তমানে মুসলিম সমাজে সালামের শব্দাবলির এমন বিকৃতি লাভ করেছে যে, সালামের উদ্দেশ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। আরো দুঃখজনক ব্যাপার হলো, বর্তমান মুসলিম সমাজে সালাম অহঙ্কারের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সামাজিক নেতা, অফিসের বড় বস, বড় বুজুুর্গ, বড় আলেম, পীর-মাশায়েখকে আগে সালাম দিতে হবে এমন কোনো পদ্ধতি বা সুন্নাহ রাসূলুল্লাহ সা: বলেন যাননি। বরং রাসূলুল্লাহ সা:-এর যুগে সালাম নিয়ে পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলত, কে কার আগে সালাম দিতে পারে। সালাম দিলে অহঙ্কার কমে, অন্তরের কৃপণতা থেকে মুক্ত থাকা যায়। সালাম পাওয়ার চেয়ে দেয়ার সওয়াব বেশি। এ জন্য রাসূল সা: ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবাইকে আগে আগে সালাম দিতেন।
সূত্র: জাফর আহমাদ
May be an image of ‎text that says "‎ក لسّلا و لسَّلامُ عَلَيْكُم‎"‎
ll reactio