ঈমাম বুখারি রহ: সাহাবি হাকিম ইবনে হিজাম রা: থেকে বর্ণনা করেছেন- (তিনি বলেন) আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সা:! আমার সদ্ব্যবহার পাওয়ার ক্ষেত্রে কে অগ্রগণ্য? তিনি বলেন, ‘তোমার মা’। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বলেন, ‘তোমার মা’। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বলেন, ‘তোমার মা’। আমি বললাম, তারপর কে? তিনি বলেন, ‘তোমার বাবা’। (তাবারানি) তারপর ক্রমান্বয়ে আত্মীয় সম্পর্কের লোকেরা নৈকট্যের ভিত্তিতে সদাচরণ পাওয়ার হকদার। (সুনানে দারিমি, সুনানে তিরমিজি ও হাকিম, আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং-৩)
সাহাবি ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত- কোনো ব্যক্তির প্রতি তার পিতা সন্তুষ্ট থাকলে, আল্লাহ তায়ালাও তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন। আর তার পিতা অসন্তুষ্ট থাকলে, আল্লাহও তার প্রতি অসন্তুষ্ট থাকেন।’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং-২)
কুরআনে কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ‘আপনার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি তথা রব আল্লাহকে ছাড়া তোমরা অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করবে; তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হন। তাদেরকে (বিরক্তিসূচক শব্দ) ‘উহ’ বা ‘উফ’ বলো না। আর তাদেরকে ভর্ৎসনা করো না; বরং তাদের সাথে বলো সম্মানসূচক নম্র কথা।’ (সূরা বনি ইসরাইল-২৩)
আল্লাহ তায়ালা আরো শিখিয়েছেন- ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি তুমি দয়া করো; যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছে।’ (সূরা বনি ইসরাইল-২৪)
No comments:
Post a Comment