সালাউদ্দিন আইয়ুবীকে তাঁর চিন্তার কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, বাইতুল মুকাদ্দাস জয় হয়েছে ঠিক কিন্তু এখনও এমন শত্রু আমাদের মাঝে রয়ে গেছে যাদেরকে খুঁজে বের করতে না পারলে বাইতুল মুকাদ্দাস আমরা বেশিদিন আমাদের কাছে রাখতে পারবো না।
তখন তাঁর এই কথার প্রয়োজনীয়তা কেউ অনুভব করলো না।
এদিকে সালাউদ্দীন আইয়ুবী তাঁর অত্যন্ত বিশ্বস্ত চৌকস সেনাদের নিয়ে খুবই গোপনে
নতুন একটি গোয়েন্দা বিভাগ গঠন করলেন। যাদেরকে আটককৃত ইহুদিদের গোয়েন্দা বিভাগের
সেনাদের থেকে পাওয়া তথ্য দিয়ে ট্রেনিং দিলেন।
ফিলিস্তিনীরা এক ইমামের প্রশংসায় ভরপুর। ইসলামি স্কলার, শায়খ এবং অত্যন্ত আমলদার ও পরহেজগার হিসেবে তার সুখ্যাতি পুরো ফিলিস্তিন জুড়ে।
একদিন তিনি তাফসিরের আলোচনা করছিলেন তার মসজিদে। এ সময় দুজন অপরিচিত আগন্তুক
আসলো। তারাও খুব গভীর মনোযোগ দিয়ে তার তাফসির আলোচনা শুনলো। আলোচনা শেষে তারা
ইমামের সামনে গিয়ে প্রশ্ন করলো,
সূর্য কখন ওঠে? ইমাম জবাব দিল, যখন বৃষ্টি
থেমে যায়। অপরিচিত আগন্তুক আবার প্রশ্ন করলো, বৃষ্টি কোন
দিক থেকে আসে? ইমাম উত্তর
দিল, ঝড়ো হাওয়ার দিক থেকে। এভাবে আরো কয়েকটি
প্রশ্নোত্তর হল।
উপস্থিত মুসল্লিরা এগুলোর কিছুই বুঝতে পারল না। লোকজন চলে যাওয়ার পর ইমাম
সাহেব আগন্তুকদের নিয়ে তার ঘরে প্রবেশ করল।
ঘরে গিয়ে ইমাম তাদের সাথে তার নিজের আসল পরিচয় তুলে ধরে কথা বলতে শুরু
করলেন...
ইমামের স্ত্রী আগন্তুকদের মদ পরিবেশন করতে আসলো। আগন্তুকরা ইমামের সাথে
বিস্তারিত কথা বলা শুরু করলো।
ইমাম কবে থেকে এখানকার মানুষের মধ্যে কী কী ফিতনা ছড়িয়েছে, মানুষের ঈমানের মধ্যে চিড় ধরাতে কতটুকু সক্ষম হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ে কথা হতে
লাগলো।
ইমামও অত্যন্ত আগ্রহের সাথে কীভাবে মানুষের মাঝে ফিতনা তৈরি করেছে,
কীভাবে মাসআলাগত বিরোধ লাগিয়েছে, কীভাবে এর মাঝেও ইহুদি পণ্ডিতের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে, কীভাবে মানুষকে জি.হা.দ থেকে বিমুখ রাখছে, কীভাবে
ইহুদিদের ক্ষমতার ভয় মুসলিমদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছে— অনায়সে সব বলতে লাগলো।
মোটামুটি প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পরে আগন্তুকরা তাদের মাথার পাগড়ি খুললো এবং
উপরের জামা খুললো। এটা দেখে ইমাম এবার ভয়ে পালাতে চাইলো কারণ এই আগন্তুকরা মূলত
ছিল হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবীর সেই গোয়েন্দা বিভাগের সেনা।
তারা তাকে খপ করে ধরে নিয়ে গেলেন এবং তাকে হত্যা করে দিলেন।
এভাবে হযরত সালাউদ্দীন আইয়ুবী তিন হাজারের মত ইহুদি আলেম যারা মুসলিম সেজে
ধোঁকাবাজি করছিলো—তাদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করেছিলেন।
যারা মূলত ইহুদি কিন্তু ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানুষের মধ্যে ফিতনা ছড়ানোই ছিল তাদের মূল কাজ ছিল।
যদি হাজার বছর আগে ইসলামি খেলাফতে তিন হাজারের মত ইয়াহুদি আলেম-ইমাম থাকতে
পারে, তাহলে বর্তমানে কেমন রয়েছে তা একটু অনুমান
করুন।
ঈসরাইলের ইয়াহুদিদের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো কথা যাদের মুখ থেকে বের হয় না, এমন আলেম আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে খুঁজে পাবেন।
যারা লেবাস-পোশাকে আলেম-পীর-ইমাম; কিন্তু
দিল-দেমাগে ইয়াহুদী,খৃস্টান,বেইমান।
সুতরাং সময় থাকতে সাবধান হন হে মুসলিম ভাইয়েরা।
No comments:
Post a Comment