পেছনে হাঁটার উপকারিতা
Non Dominant Walking, benefits of
কায়িক শ্রম করার মতো সময় হয় না অনেকেরই। তবে সহজতম ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটাহাঁটিই এগিয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে। এর চর্চা সহজ এবং ফলপ্রসূ। বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজ অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটলে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগশোক থেকে মুক্ত থাকা যায়। তবে আমরা তো হাঁটি সামনের দিকেই, পেছন দিকে হাঁটার অভ্যাস বলতে গেলে বেশির ভাগেরই নেই। এই অস্বাভাবিক হাঁটাহাঁটির বেশ কিছু উপকারিতা আছে।
পা হয় মজবুত
পেছনে ফিরে হাঁটলে পায়ের কাফ মাসল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কারণ, পেছনে পা ফেলতে গেলে ঊরুর চারটি প্রধান পেশির মধ্যে দুটিকে একটু বেশি কাজ করতে হয়। ফলে পায়ের কাফ মাসলের শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পায়ের ওপর শরীরের অতিরিক্ত চাপ সয়ে যায়।
শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে
বার্ধক্যে শরীরের ভারসাম্য বেসামাল হয়ে পড়ে। পেছন ফিরে হাঁটা শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
বাড়তি ক্যালরি খরচ
সামনে হাঁটতে শরীর যে পরিমাণ ক্যালরি খরচ করে, পেছনে হাঁটতে এর থেকে তুলনামূলক বেশি ক্যালরি খরচ হয়। পেছনে মনোযোগ দেওয়ায় এবং হাঁটতে গিয়ে শরীর বেশি শক্তি খরচ করে, যার প্রভাব পড়ে বাড়তি ক্যালরি খরচে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, আশপাশে যেখানে সামনে হাঁটার জায়গা পাওয়াই দুষ্কর, সেখানে পেছনে হাঁটার কথা বলা কতটা যুক্তিযুক্ত? এটা ঠিক, আমাদের সব পথঘাট মসৃণ নয়। অথচ পেছনে হাঁটার জন্য সমান ও সমান্তরাল রাস্তার প্রয়োজন। নইলে গুরুতর আহত হওয়ার শঙ্কা প্রবল। তাই পেছনে হাঁটার সময় তাড়াহুড়া করা বারণ, পাশে সঙ্গীসাথি রাখুন। আর এই অনুশীলন লম্বা সময় ধরে না করলেও চলবে। রোজ অন্তত ৫-১০ মিনিট সময় নিয়ে পেছনে হাঁটার অনুশীলন যথেষ্ট।
No comments:
Post a Comment