Tuesday, June 30, 2020

নমনীয়তার নিগূঢ় রহস্য

নমনীয়তা বিষয়ে Bruce Lee’র এই কথাগুলো পড়ে আমি নিজে “নমনীয়” কি না তা ভাবনার মধ্যে আনতে চেষ্টা করেও পারিনি।
আল্লাহ আল কুরআনের অনেক জায়গায় পানির উদাহরণ কেন এনেছেন এখন আমার কাছে তা স্পষ্ট হচ্ছে। আর এটাও স্পষ্ট হচ্ছে যে আল্লাহ কেন “ইক্করা” কথাটি আল কুরআনের প্রথমে এনেছেন।
আল্লাহু আকবার
Bruce Lee’ বলেছেনঃ
তোমার মনটাকে পয়লা খালি করে ফেলো। তুমি নিজেকে পানির মতো মনে করো যে তোমার নিজের কোন আকার নেই।
এবারঃ
একটি পেয়ালায় পানি ঢাল। পানিটি একটি পেয়ালা হলো
একটি বোতলে পানি ঢাল। পানিটি একটি বোতল হলো
একটি টি-পটে পানি ঢাল। পানিটি একটি টি-পট হলো
এখন পানি পেয়ালা থেকে, বোতল থেকে বা টি-পট থেকে পানি ঢালা যেতে পারে বা স্থানান্তর করা যেতে পারে অথবা পেয়ালা, বোতল বা টি-পট ভাঙলে পানি বেরিয়ে যেতেও পারে।
তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত পানির মতোঃ
১. আকারবিহীন হওয়া,
২. নমনীয় হওয়া,
৩. সমোচ্চশীলতা বা Equilibrium বজায় রাখা
৪. প্রবাহমান হওয়া

আল কুরআনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১. কুরআন শব্দের অর্থঃ সার্বজনীন অধিক পাঠ্য কিতাব
২. কুরআন কোথায় সংরক্ষিত রয়েছেঃ আল্লাহর কাছে, উম্মুল কিতাবে
৩. কুরআন কিসে সংরক্ষিত রয়েছেঃ লওহে মাহফুজে
৪. কুরঅনের মর্যাদা কি?: কুরআন মহা বিশ্বের মালিক আল্লাহ তা‘য়ালার বানী
৫. কুরআন নাযিল হয়েছে কাদের জন্যঃ সমগ্র মানবজাতির জন্য (২.১৮৫)
৬. কুরআনের মূল বিষয়বস্তু কি?: মানুষ(২.১৮৫, ১৪.১)
৭. কুরআন নাযিলে উদ্দেশ্য কি?: মানুষকে মুক্তির পথ দেখানো
৮. কুরআন নাযিলের পদ্ধতি কি?: অহি
৯. প্রথম নাযিল হওয়া অহি: সূরা ৯৬, আল আলাক্ক, আয়াত ১ থেকে ৫
১.পড়ো (হে নবী), তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন৷
২. জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন৷
৩. পড়ো, এবং তোমার রব বড় মেহেরবান
৪. যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন৷
৫. মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা সে জানতো না৷
1. Iqra bismi rab bikal lazee khalaq
2. Khalaqal insaana min 'alaq
3. Iqra wa rab bukal akram
4. Al lazee 'allama bil qalam
5. 'Al lamal insaana ma lam y'alam
১০. নাযিল হওয়া শেষ অহি: সূরা ২, আল বাক্কারাহ, আয়াত ২৮১
যেদিন তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে সেদিনের অপমান ও বিপদ থেকে বাঁচো৷ সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার উপার্জিত সতকর্মের ও অপকর্মের পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে এবং কারো ওপর কোন জুলুম করা হবে না ৷
Wattaqoo yawman turja'oona feehi ilal laahi summa tuwaffaa kullu nafsim maa kasabat wa hum laa yuzlamoon.
১১. কুরআন নাযিলের সূচনা কোন মাসে?: রমযান মাসে(২:১৮৫)
১২. কুরআন নাযিলের সূচনা সাল: ৬১০ খৃষ্টাব্দ, অগাষ্ট মাস
১৩. কুরআন নাযিলের সমাপ্তি সাল: ৬৩২ খৃষ্টাব্দ
১৪. কুরআন নাযিলের সূচনা যেখানে: জাবাল আন নূরের হেরা গুহায়
১৫. কুরআনের মূল উপাদান কয়টি: ২টি, ভাষা ও বক্তব্য
১৬. কুরআনের প্রথম শব্দটি কি?: পড়ো
১৭. কুরআনের সূরা সংখ্যা: ১১৪টি
১৮. কুরআনের আয়াত সংখ্যা: ৬২৩৬: ৬ হাজার ২শ ৩৬
১৯. কুরআনের পারা সংখ্যা: ৩০
২০. কুরআনের রুকু সংখ্যা: ৫৪০
২১. কুরআনের সাজদার সংখ্যা: ১৪
২২. কুরআনের ১ম সূরা: আল ফতিহা
২৩. কুরআনের শেষ সূরা: আন নাস
২৪. কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা: আল বাক্করাহ। আয়াত সংখ্যা ২৮৬
২৫. কুরআনের প্রতি মুসলমানদের দায়িত্ব: জানা, মানা এবং মানুষের কাছে পৌছানো
২৬. কুরআনের প্রতি ১ম ঈমান আনেন: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী, হযরত খাদিজা (রা.)
২৭. কুরআনে আল্লাহ নামটি কতবার এসেছে?: ২৬৯৭: ২ হাজার ৬শ ৯৭ বার
২৮. প্রতি আয়াতে আল্লাহর নাম আছে কোন সূরায়?: সূরা ৫৮: আল মুজাদালায়
২৯. কোরআনে নবী ও রাসুলের নাম এসেছে: ২৫ জনের
১. হযরত আদম (আঃ)
২. হযরত ইদরীস (আঃ)
৩. হযরত নূহ (আঃ)
৪. হযরত হুদ (আঃ)
৫. হযরত ছালেহ (আঃ)
৬. হযরত ইবরাহীম (আঃ)
৭. হযরত লূত (আঃ)
৮. হযরত ইসমাঈল (আঃ)
৯. হযরত ইসহাক্ব (আঃ)
১০. হযরত ইয়াকূব (আঃ)
১১. হযরত ইউসূফ (আঃ)
১২. হযরত শুআইব (আঃ)
১৩. হযরত আইয়্যুব (আঃ)
১৪. হযরত যুল কিফল (আঃ)
১৫. হযরত মূসা (আঃ)
১৬. হযরত হারূন (আঃ)
১৭. হযরত দাউদ (আঃ)
১৮. হযরত সুলাইমান (আঃ)
১৯. হযরত ইল্য়াস (আঃ)
২০. হযরত আল ইয়াসা (আঃ)
২১. হযরত ইউনুস (আঃ)
২২ হযরত যাকারিয়া (আঃ)
২৩. হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)
২৪. হযরত ঈসা (আঃ) এবং
২৫. মুহাম্মাদ (সঃ)
৩০. কুরআনে মুহাম্মদ(সা.) এর নাম আছে ৫ বার
৩১. কুরআনে সাহাবীর নাম আছে: ১ জনের(যায়েদ রা.) সূরা আহযাব -এর ৩৭ আয়াতে
হে নবী! স্মরণ করো, যখন আল্লাহ এবং তুমি যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে তাকে তুমি বলছিলে, তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো৷ সে সময় তুমি তোমার মনের মধ্যে যে কথা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলেন, তুমি লোকভয় করছিলে, অথচ আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে৷ তারপর তখন তার ওপর থেকে যায়েদের সকল প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল তখন আমি সেই (তালাকপ্রাপ্তা মহিলার) বিয়ে তোমার সাথে দিয়ে দিলাম, যাতে মুমিনদের জন্য তাদের পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে কোনো প্রকার সংকীর্ণতা না থাকে যখন তাদের ওপর থেকে তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়৷ আর আল্লাহর হুকুম তো কার্যকর হয়েই থাকে৷
Wa iz taqoolu lillazeee an'amal laahu 'alaihi wa an'amta 'alaihi amsik 'alaika zawjaka wattaqil laaha wa tukhfee fee nafsika mal laahu mubdeehi wa takhshan naasa wallaahu ahaqqu an takhshaah; falammaa qadaa ZAIDUM minhaa wataran zawwajnaa kahaa likay laa yakoona 'alal mu'mineena harajun feee azwaaji ad'iyaaa'ihim izaa qadaw minhunna wataraa; wa kaana amrul laahi maf'oolaa
৩২. কুরআনে মহিলার নাম আছে: ১ জনের, মরিয়ম
মরিয়ম হলেন ঈসা (আ.)এর মাতা। কুরআনে উল্লেখিত মহিলাদের মধ্যে একমাত্র তারই নাম উল্লেখ করা আছে। এমনকি তার নামে একটি সূরাও নাযিল হয়েছে। সূরা মারইয়াম ও সূরা ইমরানে তার কথা উল্লেখ রয়েছে। তার পিতা ইমরান। আল্লাহ কুরআনের ৩১ টি আয়াতে তার নাম উল্লেখ করেছেন।
Al Quran: MAS Nasim

একটি ভালো নাম একটি শুভ সূচনা

নাম ব্যক্তি বা বস্তুর চিহ্ন। এটি কোনো কিছুকে চেনা ও পরখ করার উপায়। নাম দ্বারা একজন থেকে অন্যজনকে পৃথক করা যায়। তাই ব্যক্তি ও বস্তুর নাম রাখার ক্ষেত্রে পৃথিবীর সব ধর্ম, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐক্য রয়েছে। একটি সুন্দর নাম অনেক ধন-সম্পদের চেয়েও উত্তম।
নাম রাখার ব্যাপারে ইসলাম একটু বেশি সচেতন হওয়ার তাগিদ দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) শিশুর জন্মের সপ্তম দিন নবজাতকের উত্তম ও সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। (তিরমিজি: ২/১১০)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘কিয়ামতের দিন তোমাদের নিজ নাম ও পিতার নামে ডাকা হবে। সুতরাং তোমরা সুন্দর নাম রাখো।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৩০০)
তবে ইসলামে নাম রাখার কয়েকটি স্তর আছে—
এক. ‘আবদুল্লাহ’ ও ‘আবদুর রহমান’ এ দুটি নাম রাখা সর্বোত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় নাম হলো আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৩৯৮)
দুই. মহান আল্লাহর উবুদিয়্যাত তথা দাসত্বের অর্থজ্ঞাপক নাম রাখা উত্তম। যেমন—আবদুল আজিজ (আজিজ তথা মহাপরাক্রমশালীর বান্দা), আবদুর রহিম (পরম করুণাময়ের বান্দা), আবদুল মালিক (রাজাধিরাজের বান্দা) ইত্যাদি নামগুলোতে আল্লাহর দাসত্বের অর্থ রয়েছে। এগুলো রাখা উত্তম। তবে বর্তমানে এমন নাম রাখা হলে বেশির ভাগ মানুষ পুরো নাম ব্যবহার করে না। আবদুল আজিজকে আজিজ নামেই ডাকা হয়। এতে অর্থ বিকৃত হয়ে গুনাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এজাতীয় নাম না রাখাই ভালো। (মা’আরেফুল কোরআন, ভূমিকা দ্রষ্টব্য)
তিন. নবী-রাসুলদের নামে নাম রাখা উত্তম। প্রিয় নবী (সা.)-এর দুটি নাম রয়েছে: মুহাম্মাদ ও আহমাদ। এ ছাড়া অন্য নবীদের নাম রাখা যায়। তবে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উপনাম ‘আবুল কাসেম’ অন্যদের জন্য রাখা নিষিদ্ধ। (বুখারি, হাদিস ৫৮৩৩)।
চার. নেককার ও ঈমানদার মনীষীদের নামে নাম রাখা উত্তম। সাহাবি, তাবেইন ও তাবে তাবেইনসহ মুসলিম মনীষীদের নামে নাম রাখা যায়।
পাঁচ. এগুলো ছাড়াও ইসলাম সুন্দর ও অর্থবোধক যেকোনো নাম রাখার অনুমতি দিয়েছে।
ভালো নাম মানে শুভ সূচনা
ইয়াহিয়া ইবনে সাঈদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) এক উটনীর দুধ দোহনের জন্য লোকদের জিজ্ঞেস করেন, এ উটনীকে কে দুধ দোহন করবে? এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কী? সে বলল, তার নাম হলো মুররাহ। তিনি বলেন, বসো। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, এ উটনীকে কে দুধ দোহন করবে? অন্য এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কী? সে বলল, তার নাম হারব। তিনি বললেন, বসে পড়ো। অতঃপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ উটনীকে কে দুধ দোহন করবে? এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়াল। তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার নাম কী? সে বলল, তার নাম ইয়ায়িশ। তিনি বলেন, ঠিক আছে, তুমিই দুধ দোহন করো। (জামউল ফাওয়ায়েদ)
প্রথম দুই ব্যক্তিকে দুধ দোহনে বাধা দেওয়ার কারণ হলো, প্রথম দুই নামের ভাবার্থ অপছন্দনীয় এবং সর্বশেষ নামের ভাবার্থ পছন্দনীয়। প্রথম নাম মুররাহ। মুররাহ মানে তিতা বস্তু। আর তিতা নিশ্চয়ই সবার পছন্দনীয় নয়। দ্বিতীয় নাম হারব মানে যুদ্ধ। এটা স্বতঃসিদ্ধ কথা যে যুদ্ধ কোনো পছন্দনীয় কাজ নয়। পক্ষান্তরে ইয়ায়িশ শব্দ জীবন্ত থাকার অর্থবোধক। মহানবী (সা.) এ নাম পছন্দ করেছেন। এর মানে হলো, ইসলাম ব্যক্তি বা বস্তুর সুন্দর নাম চায়। ইসলাম মানুষকে আশাবাদী করতে চায়। সেই আশা জেগে ওঠে সূচনাতেই।

নুন, আল্লাহর একটি নিদর্শন

খুলে যাক মানুষের জ্ঞান
রুপান্তরের দিক বিবেচনা করে অনেকসময় জ্ঞানীরা উদাহরণ যে থাকেন যে, “তোমরা নুনের মত হও। যাতে অল্পতেই বোঝা যায় যে পরিবর্তনের জন্য তোমাদের মনের সঠিক উপস্থিতি কতটা দরকার।”
সাগর জলে পানি আর নুনের অনুপাত যেমন, মানুষের শরীরের প্রত্যেকটি কোষেও পানি আর নুনের অনুপাত ঠিক তেমন। এ এক বিষ্ময়কর ব্যাপার। (Ref: Grolier Encyclopedia of Knowledge)

মহান আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। আর দুনিয়ার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। মানুষের প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তিনি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখেছেন। যার মধ্যে অন্যতম একটি জিনিস হলো লবণ।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর সাগর দুটি একরূপ নয়। একটির পানি সুমিষ্ট ও সুপেয়, অন্যটির পানি লোনা, খর। আর প্রত্যেকটি থেকে তোমরা তাজা গোশত খাও এবং আহরণ করো অলংকার, যা তোমরা পরিধান করো। আর তোমরা দেখো তার বুক চিরে নৌযান চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।’ (সুরা: ফাতির, আয়াত: ১২)
আমরা খাওয়ার জন্য যে লবণ ব্যবহার করি তার বেশির ভাগই আসে সমুদ্রের লবণ থেকে। সমুদ্র থেকে যে লবণ আনা হয় তা একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিশোধন করা হয়। জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানি জমা করে রাখা হয় বড় বড় জমিতে। এরপর সেই জমির চারপাশ বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ফেলা হয়। এরপর সূর্যের আলোতে সেই পানি বাষ্প হয়ে গেলে তার নিচে লবণ পড়ে থাকে। পরে আবার সেই লবণ পরিষ্কার করে বাজারে বিক্রয় করা হয়। ইংরেজিতে একে Table Salt বলা হয়। ল্যাটিন শব্দ ‘salārium’ মানে হলো নুন আর স্যালারি মানে বেতন কথাটি এসেছে salārium থেকে। রোমে সৈন্যদের বেতন দেয়া হতো নুন কেনার জন্য। The word salary ultimately derives from an allowance—salārium—paid to Roman soldiers for the purchase of salt.( https://en.wikipedia.org/wiki/History_of_salt )
আয়েশা (রা.) গোশত সংরক্ষণের জন্য লবণ ব্যবহার করেছেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৫৭০)
জীবনের জন্য লবণের গুরুত্ব অপরিসীম। লবণে আছে বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম। সোডিয়াম শরীরের জন্য দরকারি ইলেকট্রোলাইট। জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ইলেকট্রোলাইট, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম অপরিশোধিত লবণে পাওয়া যায়। তবে তা গ্রহণ করতে হবে পরিমিত। শরীরে লবণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া দুটিই দেহের জন্য বিপজ্জনক। তাই লবণের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার ব্যাপারটি বেশ সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত তা বলাই বাহুল্য।
হাজার হাজার বছর ধরে লবণ যে শুধু রান্নায় ব্যবহার হচ্ছে তা কিন্তু নয়। কোনো কোনো ধর্মেও লবণের রয়েছে আলাদা মর্যাদা। জাপানের Shintoয় যেকোনো মানুষ বা স্থানকে পরিশুদ্ধ করতে লবণ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। দা িভিঞ্চির আঁকা “লাষ্ট সাপার” চিত্র কর্মে একটি নুনের পাত্র উল্টে পড়ে আছে দেখা যায়। এটা ছিল সে সময়কার রীতি অনুযায়ী এক অশুভ ঈঙ্গিত (spilling salt was generally considered a bad omen).
লবণ নিয়ে রীতিমতো একটা আন্দোলন হয়েছিল, যেটিকে লবণ আইন অভিযান বা লবণ সত্যাগ্রহ বলা হয়। ইংরেজিতে একে সল্ট মার্চ বলে অভিহিত করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে এই আন্দোলনের বিশেষ মর্যাদা ছিল। লবণের ওপর ব্রিটিশ সরকার যে কর আরোপ করে তারই প্রতিবাদে এই যাত্রার আয়োজন করা হয়। লাখ লাখ মানুষ সেদিন সেই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিল। The Salt March, also known as the Salt Satyagraha, Dandi March and the Dandi Satyagraha, was an act of nonviolent civil disobedience in colonial India led by Mohandas Karamchand Gandhi. The 24-day march lasted from 12 March 1930 to 6 April 1930 as a direct action campaign of tax resistance and nonviolent protest against the British salt monopoly. Ref: https://en.wikipedia.org/wiki/Salt_March
মহান আল্লাহর এই নিয়ামত পরিমিত ব্যবহারে যেমন খাবার সুস্বাদ করে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষতিকর অনুজীব দমনে এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে। রাসুল (সা.) নিজেও ওষুধ হিসেবে লবণ ব্যবহার করেছেন। একবার রাসুল (সা.)-কে নামাজরত অবস্থায় বিচ্ছু কামড় দিলে তিনি কিছু লবণ ও পানি চেয়ে নিলেন এবং তা একটি পাত্রে মেশালেন, অতঃপর অঙ্গুলির দংশিত স্থানে পানি ঢালতে এবং ওই স্থান মুছতে লাগলেন এবং সুরা ফালাক ও নাস দ্বারা ঝাড়তে লাগলেন। (মিশকাত, হাদিস: ৪৫৬৭)
বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ডাক্তাররা লবণপানিতে গড়গড়া কুলি করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এভাবেই মহান আল্লাহ তাঁর কোটি কোটি নিয়ামত দিয়ে আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছেন। আল্লাহু আকবার। যেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে মুমিনের ঈমান আরো দৃঢ় হয়ে যায়। 

আল কুরআনের বৈশিষ্ট্য সমুহ


১. আল কুরআন অদৃশ্য স্রষ্টার দৃশ্যমান বানী
২. আল কুরআন জ্ঞানের অফুরন্ত ভান্ডার
৩. আর কুরআন সত্য, অণির্বান
৪. আল কুরআন সার্বজনীন
৫. আল কুরআন পাষান হৃদয় কাঁপায়
৬. আল কুরআন শত্রুকে আপন করবার ক্ষমতা রাখে
৭. পৃথিবীর সকল ভাষাদবিদগণ আল কুরআনের ভাষাশৈলীর কাছে ধরাশায়ী
৮. আল কুরআন অবিকৃত
৯. আল কুরআন সর্বাধিক পঠিত আসমানী কিতাব
১০. আল কুরআনের হাফিজ অগুণিত
১১. আল কুরআন সর্বাধিক প্রিয় আসমানী কিতাব
১২. আসমানী কিতাব সবচেয়ে বেশী মর্যাদাপূর্ণ আসমানী কিতাব
১৩. আল কুরআন থেকে সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়
১৪. আল কুরআন বলে দিয়েছে সৃষ্টি যার, বিধান তাঁর
১৫. আল কুরআন শান্তির পথ ও মুক্তির পথ সুনির্দিষ্ট করে বাতলে দেয়
১৬. আল কুরআন মহা-সত্যের আলো
১৭. আল কুরআন বুঝা ফরজ এবং সহজ
১৮. আল কুরআন মানা ও অনুসরন করা অত্যাবশ্যক 
আল কুরআনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
১. কুরআন শব্দের অর্থঃ সার্বজনীন অধিক পাঠ্য কিতাব
২. কুরআন কোথায় সংরক্ষিত রয়েছেঃ আল্লাহর কাছে, উম্মুল কিতাবে
৩. কুরআন কিসে সংরক্ষিত রয়েছেঃ লওহে মাহফুজে
৪. কুরঅনের মর্যাদা কি?: কুরআন মহা বিশ্বের মালিক আল্লাহ তা‘য়ালার বানী
৫. কুরআন নাযিল হয়েছে কাদের জন্যঃ সমগ্র মানবজাতির জন্য (২.১৮৫)
৬. কুরআনের মূল বিষয়বস্তু কি?: মানুষ(২.১৮৫, ১৪.১)
৭. কুরআন নাযিলে উদ্দেশ্য কি?: মানুষকে মুক্তির পথ দেখানো
৮. কুরআন নাযিলের পদ্ধতি কি?: অহি
৯. প্রথম নাযিল হওয়া অহি: সূরা ৯৬, আল আলাক্ক, আয়াত ১ থেকে ৫
১.পড়ো (হে নবী), তোমার রবের নামে  যিনি সৃষ্টি করেছেন৷
২. জমাট বাঁধা রক্তের দলা থেকে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন৷
৩. পড়ো, এবং তোমার রব বড় মেহেরবান
৪. যিনি কলমের সাহায্যে জ্ঞান শিখিয়েছেন৷
৫. মানুষকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা সে জানতো না৷ 
1. Iqra bismi rab bikal lazee khalaq
2. Khalaqal insaana min 'alaq
3. Iqra wa rab bukal akram
4. Al lazee 'allama bil qalam
5. 'Al lamal insaana ma lam y'alam

১০. নাযিল হওয়া শেষ অহি: সূরা ২, আল বাক্কারাহ, আয়াত ২৮১
 যেদিন তোমরা আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে সেদিনের অপমান বিপদ থেকে বাঁচো৷ সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার উপার্জিত কর্মের অপকর্মের পুরোপুরি প্রতিদান দেয়া হবে এবং কারো ওপর কোন জুলুম করা হবে না  
Wattaqoo yawman turja'oona feehi ilal laahi summa tuwaffaa kullu nafsim maa kasabat wa hum laa yuzlamoon. 
১১. কুরআন নাযিলের সূচনা কোন মাসে?: রমযান মাসে(২:১৮৫)
১২. কুরআন নাযিলের সূচনা সাল: ৬১০ খৃষ্টাব্দ, অগাষ্ট মাস
১৩. কুরআন নাযিলের সমাপ্তি সাল: ৬৩২ খৃষ্টাব্দ
১৪. কুরআন নাযিলের সূচনা যেখানে: জাবাল আন নূরের হেরা গুহায়
১৫. কুরআনের মূল উপাদান কয়টি: ২টি, ভাষা ও বক্তব্য
১৬. কুরআনের প্রথম শব্দটি কি?: পড়ো
১৭. কুরআনের সূরা সংখ্যা: ১১৪টি
১৮. কুরআনের আয়াত সংখ্যা: ৬২৩৬: ৬ হাজার ২শ ৩৬
১৯. কুরআনের পারা সংখ্যা: ৩০
২০. কুরআনের রুকু সংখ্যা: ৫৪০
২১. কুরআনের সাজদার সংখ্যা: ১৪
২২. কুরআনের ১ম সূরা: আল ফতিহা
২৩. কুরআনের শেষ সূরা: আন নাস
২৪. কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা: আল বাক্করাহ। আয়াত সংখ্যা ২৮৬
২৫. কুরআনের প্রতি মুসলমানদের দায়িত্ব: জানা, মানা এবং মানুষের কাছে পৌছানো
২৬. কুরআনের প্রতি ১ম ঈমান আনেন: পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নারী, হযরত খাদিজা (রা.)
২৭. কুরআনে আল্লাহ নামটি কতবার এসেছে?: ২৬৯৭: ২ হাজার ৬শ ৯৭ বার
২৮. প্রতি আয়াতে আল্লাহর নাম আছে কোন সূরায়?: সূরা ৫৮: আল মুজাদালায়
২৯. কোরআনে নবী রাসুলের নাম এসেছে: ২৫ জনের
১. হযরত আদম (আঃ)
২. হযরত ইদরীস (আঃ)
৩. হযরত নূহ (আঃ)
৪. হযরত হুদ (আঃ)
৫. হযরত ছালেহ (আঃ)
৬. হযরত ইবরাহীম (আঃ)
৭. হযরত লূত (আঃ)
৮. হযরত ইসমাঈল (আঃ)
৯. হযরত ইসহাক্ব (আঃ)
১০. হযরত ইয়াকূব (আঃ)
১১. হযরত ইউসূফ (আঃ)
১২. হযরত শুআইব (আঃ)
১৩. হযরত আইয়্যুব (আঃ)
১৪. হযরত যুল কিফল (আঃ)
১৫. হযরত মূসা (আঃ)
১৬. হযরত হারূন (আঃ)
১৭. হযরত দাউদ (আঃ)
১৮. হযরত সুলাইমান (আঃ)
১৯. হযরত ইল্য়াস (আঃ)
২০. হযরত আল ইয়াসা (আঃ)
২১. হযরত ইউনুস (আঃ)
২২ হযরত যাকারিয়া (আঃ)
২৩. হযরত ইয়াহইয়া (আঃ)
২৪. হযরত ঈসা (আঃ) এবং
২৫. মুহাম্মাদ (সঃ)
৩০. কুরআনে মুহাম্মদ(সা.) এর নাম আছে ৫ বার
৩১. কুরআনে সাহাবীর নাম আছে: ১ জনের(যায়েদ রা.) সূরা আহযাব -এর ৩৭ আয়াতে
হে নবী! স্মরণ করো, যখন আল্লাহ এবং তুমি যার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলে  তাকে তুমি বলছিলে, তোমার স্ত্রীকে ত্যাগ করো না এবং আল্লাহকে ভয় করো৷ সে সময় তুমি তোমার মনের মধ্যে যে কথা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করতে চাচ্ছিলেন, তুমি লোকভয় করছিলে, অথচ আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তুমি তাকে ভয় করবে৷  তারপর তখন তার ওপর থেকে যায়েদের সকল প্রয়োজন ফুরিয়ে গেল তখন আমি সেই (তালাকপ্রাপ্তা মহিলার) বিয়ে তোমার সাথে দিয়ে দিলাম,  যাতে মুমিনদের জন্য তাদের পালক পুত্রদের স্ত্রীদের ব্যাপারে কোনো প্রকার সংকীর্ণতা না থাকে যখন তাদের ওপর থেকে তাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়৷  আর আল্লাহর হুকুম তো কার্যকর হয়েই থাকে৷ 
Wa iz taqoolu lillazeee an'amal laahu 'alaihi wa an'amta 'alaihi amsik 'alaika zawjaka wattaqil laaha wa tukhfee fee nafsika mal laahu mubdeehi wa takhshan naasa wallaahu ahaqqu an takhshaah; falammaa qadaa ZAIDUM minhaa wataran zawwajnaa kahaa likay laa yakoona 'alal mu'mineena harajun feee azwaaji ad'iyaaa'ihim izaa qadaw minhunna wataraa; wa kaana amrul laahi maf'oolaa

৩২. কুরআনে মহিলার নাম আছে: ১ জনের, মরিয়ম
মরিয়ম হলেন ঈসা (আ.)এর মাতা। কুরআনে উল্লেখিত মহিলাদের মধ্যে একমাত্র তারই নাম উল্লেখ করা আছে। এমনকি তার নামে একটি সূরাও নাযিল হয়েছে। সূরা মারইয়াম ও সূরা ইমরানে তার কথা উল্লেখ রয়েছে। তার পিতা ইমরান। আল্লাহ কুরআনের ৩১ টি আয়াতে তার নাম উল্লেখ করেছেন।

Sunday, June 28, 2020

শিক্ষা কি মানুষকে মহান করে তোলে?

নীচের গল্প থেকে শিক্ষার প্রকৃত স্বরুপ ঠেলে বেরিয়ে এসেছেঃ

ভারতের একসময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার টি. এন. শেষন এক ছুটির দিনে উত্তর প্রদেশের কোন এক এলাকায় পিকনিকে যোগ দেওয়ার জন্য সস্ত্রীক রওনা হয়েছেন। একটি আমবাগান অতিক্রম করার সময় চোখে পড়ল পাশের একটি গাছে অজস্র বাবুইপাখির বাসা ঝুলছে। এ ধরণের দৃশ্য তিনি আগে কখনো দেখেননি। তার স্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করলেন, দুটি বাসা তিনি বাড়িতে নিয়ে যাবেন।
Escort-এর লোকেরা ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক রাখাল তরুনকে দুটি পাখির বাসা নামিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করল। সে রাজি হল না।
শেষন কত বড় অফিসার, কি তার ক্ষমতা, Escort-এর লোকেরা সব কথা বলা সত্ত্বেও তরুনটির কোন ভাবান্তর ছিলনা। শেষ পর্যন্ত শেষন নিজেই এগিয়ে গিয়ে তাকে ১০ টাকা বখশিস দিয়ে প্রলুব্ধ করতে চাইলেন। কিন্তু কাজ হলো না৷ এর পর ৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে চাইলেন তবুও সে অনড়।
ছেলেটি বলল, “সাহেবজি এই বাসা গুলোতে একটি করে পাখির বাচ্চা রয়েছে। মা পাখিটা যখন বিকেলে খাবার নিয়ে এসে তার বাচ্চাটিকে পাবে না তখন তার কান্না আমি সহ্য করতে পারব না। আপনি যত কিছুই আমাকে দিতে চান কোন কিছুর বিনিময়েই আমি এ কাজ করতে পারব না।”
টি. এন. শেষন তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন, “মুহূর্তে মনে হল আমার সমস্ত বিদ্যাবুদ্ধি আই এস এস পদমর্যাদা সবকিছুই এই রাখাল তরুনটির কাছে একদানা শস্যেরও সমতুল্য নয়।” শেষন বলেছেন, এই অভিজ্ঞতা তিনি সারা জীবন বয়ে বেড়িয়েছেন ।
যে বিদ্যা জ্ঞানচক্ষু উন্মীলিত করে না, বিবেক জাগ্রত করে না, তা অসার -অন্তঃসারশূন্য বোঝামাত্র।
-সংগৃহীত

শিক্ষা আসলে কী?
বিখ্যাত উর্দু কবি আলতাফ হুসাইন হালী বহু আগে জ্ঞান নিয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাবুর করা সেই অনুবাদ কবিতাটি পড়ে আমি শিক্ষা নিয়ে অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ি। কবিতাটি আজও অন্ততঃ আমাকে মনে করিয়ে দেয় জ্ঞান বা শিক্ষার নিগূঢ় কথাঃ আলতাফ হুসাইন হালী লিখেছেন-

“হে জ্ঞান! করেছ ধনী কত না জাতিরে,
যাহারে ছেড়েছ সে ই ডুবেছে তিমিরে;
সংসারের সর্বরত্ন তা’দেরি কারণ,
জানে যারা একমাত্র তুমি মূলধন।”

শিক্ষা বা জ্ঞানের মানে-
To Adapt-খাপ খাওয়ানো
To unroll- প্যাঁচ বা জটিলতা খুলে ফেলা
To acquaint with new-নোতুনের কাছে আসা
To accustom –অভ্যস্ত হওয়া
To be terra firma-মাটির মত সলিড বা নিরেট হওয়া
To take quintessence of -সার বা আসল জিনিস নিংড়ে নেয়া
To evolve-বদলে যাওয়া
To out of encystment-খোলসের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসা
To stand head high-মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো
To erect-সোজা থাকা
To solidify-নিরেট হওয়া
To work in motion-গতির সাথে কাজ করা
Resolute-দৃঢ়চিত্ত হওয়া
To metamorphose-রুপান্তরিত হওয়া
To avoid inertia-জাড্যগুণ বা জড়তা থেকে বেরিয়ে আসা
To be out of dormancy, torpor & aestivation-সুপ্ত অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা

শিক্ষা একটি শক্তি
1. Education is a powerful social force. শিক্ষা একটি শক্তিশালী সামাজিক শক্তি
2. It transmits and shapes culture and beliefs. শিক্ষা কৃষ্টি ও বিশ্বাসকে একটি আকার দিয়ে তা বহুদূর ছড়িয়ে দেয়।
3. It can reveal and develop the potentialities inherent in each individual শিক্ষার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীর সম্ভাবনাগুলো প্রকাশ পায় এবং সেগুলো বিকশিত হয়। এ গুণগুলো হলোঃ Purity (cleanliness), wisdom, service, kindliness, forbearance, trustworthiness, unity, truthfulness, righteousness, virtue, courtesy, involvement, selflessness, generosity, compassion
4. It can prepare individuals to contribute to the well being of themselves, their families, their communities and to humankind as a whole.

শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীকে তার কল্যানের দিকে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়- শিক্ষা শিক্ষার্থীর পরিবার, সমাজ তথা মানবজীবনের ওপর শিক্ষার্থীর শিক্ষা অসামান্য প্রভাব রাখে।
তাই বলা হয় সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীকে শিক্ষিত করে তোলো, দেখবে গোটা দুনিয়া তার দিকে ঝুঁকে পড়েছে।

ফরাসী লেখক আনাতোল ফ্রাঁস-এঁর ভাষায় শিক্ষার ১০ ভাগের ভেতর ৯ ভাগই হলো উতসাহের যোগান দেয়া।
ইসলাম বলে, পরিপূর্ণ শিক্ষা অর্জন করা মানুষের জন্য ফরজ।
শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন।

টি. এন. শেষন-এঁর কথা একটি বিখ্যাত কোটেশন দিয়ে শেষ করিঃ

বিখ্যাত বই Undeniable: Evolution and the Science of Creation-এর লেখক মি. Bill Nye লিখেছেন,
“Everyone you will ever meet knows something you don't.”

মি. টি. এন. শেষন বোধকরি শিক্ষার এই স্বাদটি পেয়েছিলেন।

আর আমাদের অবস্থা- সেটা কবি নজরুল ইসলাম Post Mortem করেছেন অনেক আগেই। কবি বলেছেনঃ
“ফল বহিয়াছ, পাওনিক রস, হায় রে ফলের ঝুড়ি,
লক্ষ বছর ঝর্ণায় ডুবে রস পায় নাকো নুড়ি।” 

Wednesday, June 24, 2020

বেগুন

গোপাল ভাঁড় ও বেগুন
সম্রাট বেগুনের তৈরি বেগুনী খেতে খেতে গোপাল ভাঁড়কে বললেন, ‘গোপাল, নামে বেগুন হলে কী হবে, এর স্বাদের গুণতো জব্বর!’ গোপাল হেসে বললো, ‘জ্বি হুজুর, বেগুনের আছে শতেক গুণ।’ এই বলে বেগুনের একশো গুণ বলে দিলো। এত গুণের কথা শুনে সম্রাট যত পারলো বেগুন খেয়ে নিলো। পরদিন সারা শরীরে চুলকানি। সম্রাট ডেকে পাঠালো গোপালকে। গোপাল এলেই ধমকে বললেন, ‘তোমার বেগুনের এত গুণ, তাহলে চুলকায় কেন?’ গোপাল বিনয়ের সাথে বলে, জাঁহাপনা, ‘যার একশোটা গুণ তার একটা দোষ থাকবে না? আর আলমপনা, শরীরতো আর সব ক্ষেত্রেই মহাশয় না যে যাহা সহাবেন তাহাই সইবে। একটু পরিমান মতো খেলে এমনটা হতো না।’
বেগুন পুষ্টিতে ভরা একটা সবজি। বেগুনের পুষ্টিগুণ আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। যুগ যুগ ধরে বেগুন ব্যবহার হয়ে আসছে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে। নামে বেগুন, কিন্তু আসলে গুণের। আসুন জেনে নেয়া যাক বেগুণের পুষ্টিগুণ:
১। ক্যান্সার প্রতিরোধক:
যারা বেশি পরিমান শাক-সবজি খায়, তাদের ক্যান্সারের আশঙ্কা কম থাকে। বেগুনে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান। বেগুন পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদ্রান্ত্রের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করে।
২। ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করে:
কোলেস্টেরল হলো একধরণের চর্বি, যা রক্তে জমে। বেগুনে কোন কোলেস্টেরল নেই। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমান বেশি, তাদের জন্য বেগুন আদর্শ খাদ্য। কারণ, বেগুন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে সহায়তা করে।
৩। রক্তশূন্যতা দূর করে:
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। আয়রন শরীরে রক্ত বাড়াতে সহায়তা করে। তাই রক্ত শূন্যতার রোগীরা খেতে পারেন এই সবজি। উপকারে আসবে।
৪। মুখের ঘা প্রতিরোধ করে:
বেগুনে আছে রিবোফ্ল্যাভিন। রিবোফ্ল্যাভিন মুখ ও ঠোঁটের কোণের ঘা, জিহ্বার ঘা প্রতিরোধ করে। জ্বর হওয়ার পর মুখের বিস্বাদও দূর করে বেগুন। তাই জ্বরের পর বেগুনের তরকারি খেলে মুখের স্বাদ ফিরে পাওয়া যেতে পারে।
৫। ক্ষতস্থান শুকাতে সাহায্য করে:
বেগুন ক্ষত স্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। বেগুনে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’। এরা শরীরের ভেতর রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। ফলে রক্ত চলাচল কার্যক্রমকে সচল রাখে।
৬। চোখের রোগে বেগুন:
বেগুন ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সবজি। বেগুনের ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য খুব উপকারী। এটি চোখের যাবতীয় রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
বেগুনে আছে প্রচুর পরিমান ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ। যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
৮। দাঁত ও হাড়ের যত্নে:
বেগুনে আছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এই দুই উপাদান দাঁত, হাড় ও নখের জন্য খুব উপকারী। ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম দাঁতকে করে মজবুত, মাড়িকে করে শক্তিশালী। নখের ভঙ্গুরতা রোধ করে।
৯। জিঙ্কের ঘাটতি দূর করে:
ডায়রিয়া হলে শরীরে প্রচুর জিঙ্কের ঘাটতি দেখা দেয়। বেগুন জিঙ্কের ঘাটতি দূর করে। তবে ডায়রিয়া চলাকালিন সময়ে বেগুন খাওয়া ঠিক না। ডায়রিয়া ভালো হলে বেগুন খাওয়া উচিত।
বেগুনের আয়ুর্বেদিক ব্যবহার:
যুগ যুগ ধরে বেগুনের রয়েছে নানা রকম আয়ুর্বেদিক ব্যবহার। নানা রোগে বেগুন ঔষধ হিসাবে কাজ করে।
১। রোজ সকালে খালি পেটে কচি বেগুন পুড়িয়ে গুড় মিশিয়ে খেলে ম্যালেরিয়ার ফলে লিভারের যে ক্ষতি হয় সেটা ভালো হয়।
২। বেগুন অনিদ্রা রোগ দূর করে। বেগুন খেলে ভালো ঘুম হয়। এর জন্য বেগুনের আর নাম হল নিদ্রালু। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারা সন্ধ্যায় সামান্য বেগুন পুড়িয়ে মধু মিশিয়ে খেলে রাতে ভালো ঘুমাতে পারবেন।
৩। নিয়মিত বেগুন খেলে প্রসাবের জ্বালাপোড়া কমে। প্রস্রাব পরিষ্কার করে প্রারম্ভিক অবস্থার কিডনির পাথরও নাকি গলিয়ে দিতে পারে বেগুন।
৪। বেগুন একেবারে পুড়িয়ে ছাই করে সেই ছাই বা ভস্ম গায়ে মাখলে চুলকানি ও চর্মরোগ সারে।
৫। কচি ও শাসালো বেগুন খেলে জ্বর সারে।
৬। বেগুনের রসে মধু মিশিয়ে খেলে কফজনিত রোগ দূর হয়।
৭। বেগুন বীর্যের পরিমান বাড়ায়।
৮। মহিলাদের ঋতু নিয়মিত করে।
৯। এ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে বেগুনে উপশম হয়।
তাজা বেগুন রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায় আর সুস্থ থাকুন।

সাফল্যের দুই ডানা সাধনা ও প্রার্থনা

সব মানুষই সফল হতে চায়। সফলতার স্বপ্ন দেখে দেখেই জীবনের দিনগুলো অতিক্রম করে। ব্যর্থ, অসুখী ও অকৃতকার্য হতে চায় না কেউই।
যদিও সফলতার অর্থ ও সংজ্ঞা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন হয়। কেউ অর্থনৈতিক উন্নতির মাঝে সফলতা দেখে। কেউ সম্মান, মর্যাদা ও প্রভাব-প্রতিপত্তির মাঝে সফলতা দেখে। কেউ সফলতা দেখে জ্ঞান বিদ্যা ও পাণ্ডিত্য অর্জনের মাঝে। কেউ সফলতা দেখে মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে সুখী হওয়ার মাঝে। এই সফলতা অর্জনের ক্ষেত্রে পথ-পন্থা নির্বাচনেও মানুষের মধ্যে অনেক ভিন্নতা দেখা দেয়। কেউ বৈধ-অবৈধ, ন্যায়-অন্যায় যেকোনো উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে রাজি হয়ে যায়। কেউ ন্যায়ানুগ পন্থা ছাড়া অগ্রসর হতে চায় না।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে নানা ধরনের যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই যোগ্যতা দিয়ে মানুষ তার কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জনে সচেষ্ট হয়। নিরন্তর সাধনায় পৌঁছতে চায় গন্তব্যে। অবশ্য কিছু মানুষ এমনও আছে, যারা সফলতার স্বপ্ন দেখে ঠিকই, কিন্তু সফলতা অর্জনে কষ্ট করতে চায় না। সাধনার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে না। মূলত তারা উদাসীন। তাদের জীবনে সফলতা পাওয়া বাস্তবিক পক্ষেই কঠিন।
গভীরভাবে ভাবলে দেখা যায়, স্বাভাবিক পন্থায় সফলতার জন্য প্রধানত দুটি বিষয় জরুরি। তা হলো—এক. সাধনা, দুই. প্রার্থনা।
যেকোনো ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের জন্য কী তীব্র সাধনা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজটিও কি কষ্ট ছাড়া হয়? যেকোনো টার্গেট বাস্তবায়নের জন্য কী পরিমাণ শ্রম-সাধনা দরকার, ভুক্তভোগী মাত্রই উপলব্ধি করতে পারে।
কিন্তু সত্য কথা হলো, কেবল সাধনা আর শ্রম ব্যয় করেই মানুষ সফল হতে পারে না। দুনিয়ার কত সামর্থ্যবান শক্তিমান মানুষ জীবন-সংগ্রামে ব্যর্থ। বরং কেউ কেউ চূড়ান্ত অকৃতকার্য! পড়াশোনা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও দেহশক্তি পর্যাপ্ত থাকার পরও চাকরি নেই, এর নজির কি দুনিয়ায় দুই-একটা? ভালো চাকরি ও মোটা অঙ্কের বেতন পেয়েও তীব্র সংকটে দিনাতিপাত করছে, এর নজিরও কি গুনে শেষ করার মতো? তা ছাড়া, প্রখর মেধা ও প্রতিভা নিয়েও শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন করতে পারেনি, যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা পেয়েও যোগ্যতা-দক্ষতা রপ্ত করতে পারেনি, এসবের নজিরও বেহিসাব। তাহলে বোঝা যায়, সাধনা-পরিশ্রম ছাড়া সফলতার দেখা পাওয়া অসম্ভব হলেও শুধু সাধনা-পরিশ্রম দিয়েই সব কিছু হয় না। কেবল মেহনত করেই সফলতা লাভ করা যায় না। এ জন্য দরকার আল্লাহ তাআলার তাওফিক ও মেহেরবানি। আল্লাহ তাআলা যদি চান, তিনি যদি তাওফিক দান করেন, তাহলে কঠিন থেকে কঠিন কাজও সহজ হয়ে যায়। অসম্ভব বিষয়ও সহজলভ্য হয়ে যায়। কল্পনাতীত অর্জনও অতি স্বাভাবিকভাবে হাসিল হয়ে যায়। এ জন্য প্রয়োজন হয় দোয়া ও মোনাজাত। মন খুলে প্রাণভরে আল্লাহ তাআলার কাছে তাওফিক প্রার্থনা করা উচিত। এর সঙ্গে প্রয়োজন মেহনত ও সাধনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আর নিশ্চয়ই তার (মানুষের) প্রচেষ্টার ফল অচিরেই দেখা যাবে। তারপর তার পূর্ণ প্রতিদান তাকে দেওয়া হবে।’ (সুরা নাজম, আয়াত : ৪০-৪১)। এ কথা আখিরাতের প্রতিদানের ক্ষেত্রে যেমন বাস্তব, তেমনি দুনিয়াবি প্রতিফলের ক্ষেত্রেও।
হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তাআলা তার ওপর রাগান্বিত হন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৭৩)
উপসংহারে বলা যায়, নিজস্ব মেহনত ও সাধনার সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তাআলার কাছে সাহায্য চাইতে হবে।

১৩ কাজ না করলে নামাজ হয় না

১৩টি কাজ এমন আছে, যেগুলো না করলে নামাজ হয় না। সেসব কাজকে ইসলামের পরিভাষায় ফরজ বলা হয়। সেগুলো হলো—
নামাজের বাইরে ৭ ফরজ
১. শরীর পবিত্র হওয়া। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
২. কাপড় পবিত্র হওয়া। (সুরা : মুদ্দাসসির, আয়াত : ৪)
৩. নামাজের জায়গা পবিত্র হওয়া। (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫; তিরমিজি হাদিস : ১, ৩)
৪. সতর ঢাকা। পুরুষের নাভি থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত এবং নারীদের চেহারা, দুই হাতের কবজি পর্যন্ত ও পায়ের পাতা ছাড়া গোটা শরীর ঢেকে রাখা ফরজ। তবে পর্দার ক্ষেত্রে নারীদের পুরো শরীরই সতরের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩১; সুরা : নুর, আয়াত : ৩১; আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৬)
৫. কিবলামুখী হওয়া। (সুরা : বাকারা, আয়াত ১৪৪; বুখারি, হাদিস : ৬২৫১)
৬. ওয়াক্তমতো নামাজ পড়া। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১০৩; বুখারি, হাদিস : ৫২১)
৭. অন্তরে নির্দিষ্ট নামাজের নিয়ত করা। (বুখারি : ১)
নামাজের ভেতর ৬ ফরজ
১. তাকবিরে তাহরিমা, অর্থাৎ নামাজের শুরুতে আল্লাহু আকবার বলা।
(সুরা : মুদ্দাসসির, আয়াত ৩; বুখারি, হাদিস : ৮৩৩, মুসলিম, হাদিস : ৪১১, ৪১২)
২. ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ দাঁড়িয়ে পড়া। (সুরা : বাকারা, আয়াত ২৩৮; বুখারি ১/১৫০, হাদিস : ১১১৭, তিরমিজি ১/৬৬, হাদিস : ৩০৪)
৩. কেরাত পড়া। অর্থাৎ কোরআন থেকে ন্যূনতম ছোট এক আয়াত পরিমাণ পড়া ফরজ। (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত ২০; বুখারি, হাদিস : ৬২৫১)
৪. রুকু করা। (সুরা : হজ, আয়াত ৭৭; বুখারি, হাদিস : ১১১৩, ১১১৪, মুসলিম, হাদিস : ৪১২)
৫. দুই সিজদা করা। (সুরা : হজ, আয়াত ৭৭; বুখারি, হাদিস : ৭৩৩, মুসলিম, হাদিস : ৪১১)
৬. শেষ বৈঠক করা। অর্থাৎ নামাজের শেষে তাশাহহুদ পরিমাণ বসা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৯৭০)
বি. দ্র. : নামাজের কোনো ফরজ বাদ পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যায়। সাহু সিজদা করলেও নামাজ শুদ্ধ হয় না। নামাজ পুনরায় পড়তে হবে। (আল বাহরুর রায়িক ১/৫০৫; ফাতাওয়া শামি ১/৪৪৭; হিদায়া ১/৯৮)
সূত্র: মুফতি তাজুল ইসলাম