Wednesday, June 24, 2020

যেসব কাজে অন্যের মুখে হাসি ফোটে

ইসলাম সাম্য ও সামাজিকতার ধর্ম। ব্যক্তিগত ইবাদতের চেয়েও সামাজিক ইবাদতের পরিধি অনেক বিস্তৃত। কোরআন ও হাদিসের বেশির ভাগ অংশজুড়েই রয়েছে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন সুদৃঢ় করার তাগিদ। মানবতা, মানবিকতা ও মানবকল্যাণ এ ধর্মের প্রাণ।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘উত্তম আমল হলো, তোমার মুসলিম ভাইকে খুশি করা। তার ঋণ আদায় করে দেওয়া। তার প্রয়োজন পূরণ করা এবং তার বিপদ দূর করা।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৭২৭৪)
ইসলামে অন্যকে আনন্দিত ও খুশি করার জন্য অনেক ইবাদতের প্রবর্তন করা হয়েছে। যেমন—
► মৃতের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়া। মৃতকে জীবিত করতে পারব না, কিন্তু তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে পারি। যেন আল্লাহ তাআলা তাদের দুঃখ-যন্ত্রণা লাঘব করেন।
► রোগীর সেবা-শুশ্রূষা করা। সম্ভব হলে চিকিৎসা খরচ মিটিয়ে দেওয়া।
► প্রতিবেশীর খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি।
► হাদিয়া দেওয়া। হাদিয়া অনেক দামি হতে হবে—এমন কোনো কথা নেই। আপনি যদি কোনো বন্ধুর বাসায় যান, আর তার সন্তানাদি থাকে, তাহলে কিছু খাবার, খেলনা নিয়ে যান। এটা তাদের আনন্দিত করবে।
► মানুষের সঙ্গে মুচকি হাসা।
► অন্য ভাইয়ের প্রয়োজন পূর্ণ করা।
► উত্তম কথা সদকাস্বরূপ। তাই উত্তম কথা বলা।
► বন্ধুবান্ধবের খোঁজখবর নেওয়া।
► আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া। তাদের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট হওয়া।
► অন্যকে ঋণ দেওয়া। ঋণ পরিশোধে সহায়তা করা। ঋণ আদায়ে অবকাশ দেওয়া।
► ঘরবাড়িহীন মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেওয়া।
► অতীতে মুসলিম সমাজে মসজিদের পাশে অনেক আওকাফ তথা সহায়তাকেন্দ্র ছিল। সেখানে অসুস্থ ও গরিবদের জন্য ওয়াক্ফকৃত বিশেষ সেন্টার ছিল। বর্তমানে এমন সহায়তাকেন্দ্রের বড় অভাব।
► বিভিন্ন মাসয়ালা-মাসায়েল, জিকির-আজকার শিক্ষা দিয়ে অন্যকে খুশি করা যায়।
► বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা।

No comments:

Post a Comment