হলুদ খাবারের স্বাদ এবং রঙ বাড়ালেও, এটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি এবং ত্বকের সমস্যার জন্যও ব্যবহৃত হয়। এছাড়া শরীর সুস্থ রাখতেও হলুদ খুবই সহায়ক। যৌবন ধরে রাখতে প্রতিদিন পান করুন এক গ্লাস হলুদ জল। তাহলে আপনি থাকবেন নিরোগী।
সুস্থ থাকার জন্য হলুদ: হলুদে কারকিউমিন নামক রাসায়নিক থাকে যা ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জলে হলুদ মিশিয়ে পান করলে তা মস্তিষ্কের জন্য খুবই ভালো।
হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে। অনেক গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন হলুদ খেলে পিত্তরস বেশি হয়। এ কারণে খাবার সহজে হজম হয়। হলুদের জল পান করলে রক্ত জমাট বাঁধে না এবং এটি রক্ত পরিষ্কার করতেও সহায়ক।
হলুদে উপস্থিত কারকিউমিনের কারণে, এটি জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলা উপশমে ওষুধের চেয়ে ভাল কাজ করে। নিয়মিত হলুদ জল পান করা ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা মুখে বয়স বেড়ে যাওয়ার ছাপ ফেলতে দেয় না, বয়স ধরে রাখে।
বায়োকেমিস্ট্রি এবং বায়োফিজিকাল রিসার্চের গবেষণা অনুসারে, হলুদের নিয়মিত সেবন গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে পারে এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে পারে। শরীরকে ডিটক্স করতে, লেবু, হলুদ গুঁড়ো এবং মধু মিশিয়ে গরম জল পান করুন।
এই পানীয়টি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে খুবই সহায়ক। আবার রূপচর্চার ক্ষেত্রেও হলুদ খুব উপকারী। তবে সাবধান, হলুদ কখনওই মুখে ২০ মিনিটের বেশি লাগিয়ে রাখবেন না। মুখে হলুদ ও চন্দন বাটা লাগান। অযথা হলুদের মধ্যে বেশি উপকরণ মেশাবেন না। শুধু এটুকু চর্চাতেই ত্বক থাকেব ঝলমলে ও দূর হবে ত্বকের পোড়াভাব।
No comments:
Post a Comment