সালামের মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, শত্রুতা ও পরশ্রীকাতরতা দূর হয়। মহানবী (সা.) বলেন, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা ঈমান আনয়ন করবে। আর তোমরা ঈমানদার হিসেবে গণ্য হবে না, যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের এমন কথা বলে দেব না, যা করলে তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে? (আর তা হলো) তোমরা পরস্পরের মধ্যে সালামের প্রসার করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৮৮)
সালাম প্রদানকারী গর্ব-অহংকার থেকে যেমন মুক্ত থাকে, তেমনি বিনয়ীও হয়। বিনয় আল্লাহর গজব থেকে রক্ষা করে, তাঁর রহমতের অধিকারী বানায়। অহংকার ব্যক্তিকে কলুষিত করে। অহংকার শত্রুতা সৃষ্টি করে আর বিনয় শত্রুকেও বন্ধুতে পরিণত করে। তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত অহংকার নামক মারাত্মক ব্যাধি থেকে বাঁচার জন্য সালামের প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়া।
মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের সর্বোত্তম মাধ্যম হলো ‘সালাম’। বিনা কষ্টে, বিনা মূল্যে অত্যন্ত ফলদায়ক অভিবাদনটির নাম ‘আসসালামু আলাইকুম’। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং এটি একটি ম্যাগনেটিক পাওয়ারের নাম। এর মাধ্যমে অপর প্রান্তের ব্যক্তির হৃদয়ে ভালোবাসার বীজ বপন করা হয়। নবী (সা.) কে প্রশ্ন করা হলো উত্তম ইসলাম কোনটি? জবাবে তিনি বলেন, অন্যকে খাদ্য খাওয়ানো এবং পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়া। (বুখারি, হাদিস : ১২)
No comments:
Post a Comment