Saturday, January 27, 2024

আল্লাহর অবাধ্যতায় মানুষের অন্তরে যে পরিবর্তন ঘটে

 আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপের কারণে মানুষের অন্তর কঠোর হয়ে যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল—তা পাষাণ কিংবা তার চেয়ে বেশি কঠিন...।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৭৪)

কঠিন অন্তর চেনার কয়েকটি উপায় আছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো—
ইবাদতে অলসতা :
মানুষের অন্তর কঠিন হলে ইবাদতে অলসতা চলে আসবে।
সালাত পড়তে মন চাইবে না। কিংবা সালাত পড়লেও অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকবে না। সালাতে নফল ও সুন্নত আদায়ের পরিমাণ কমে যাবে। মুনাফিকদের চরিত্র প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘তারা সালাতে আসে অলসতার সঙ্গে আর ব্যয় করে সংকুচিত মনে। ’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৫৪)
উপদেশ শুনে অন্তর প্রভাবিত না হওয়া :
অন্তর কঠিন হলে মানুষ কোরআনের আয়াত কিংবা দ্বিনি উপদেশ শুনে, বিশেষ করে আজাবের কথা শুনে ভীত হয় না; বরং কোরআন পড়া ও শোনাকে নিজের কাছে ভারী মনে হয়। মহান আল্লাহ মুমিনদের প্রশংসা করে বলেন, ‘যারা ঈমানদার, তারা এমন যে যখন আল্লাহর নাম নেওয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর আয়াত, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রতি ভরসা করে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২)
দুনিয়ার আজাব দেখে অন্তর ভীত না হওয়া :
মানুষ সাধারণত আজাব-গজব ও আপনজনের মৃত্যু দেখলে ভীত হয়।
কিন্তু কেউ যদি ভীত না হয়, ভালো আমল না করে, খারাপ আমল ছেড়ে না দেয়, তাহলে বুঝতে হবে তার অন্তর কঠিন হয়ে গেছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা কি লক্ষ করে না, প্রতিবছর তারা দু-একবার বিপর্যস্ত হচ্ছে, অথচ তারা এর পরও তাওবা করে না কিংবা উপদেশ গ্রহণ করে না।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ১২৬)
দ্বিনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যাওয়া : যার অন্তর নরম, তার অন্তরে দ্বিনের প্রতি, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকে। ফলে ইবাদত করা ওই ব্যক্তির জন্য সহজ হয়। কিন্তু যার অন্তর কঠোর হয়ে গেছে, তার অন্তর থেকে দ্বিনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়। ফলে দ্বিন-ধর্মের কথা তার কাছে ভালো লাগে না। তার অন্তরে ধর্মের ব্যাপারে অনীহা তৈরি হয়।
মহান আল্লাহ আমাদের অন্তর কঠিন হয়ে যাওয়া থেকে হেফাজত করুন।
রেফা: মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
May be an image of heart
All re

No comments:

Post a Comment