Saturday, January 27, 2024

মুন্সীগঞ্জের ছেলে জগদীশ চন্দ্র বসুর প্রতিবাদ

 মার্কিন পত্রিকা হারপার্সকে ভুল স্বীকারে বাধ্য করেছিলেন জগদীশচন্দ্র

জগদীশচন্দ্র ইংল্যান্ডে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করে বিখ্যাত মার্কিন সাহিত্য পত্র হারপার্স ম্যাগাজিনে পাঠিয়ে ছিলেন। প্রত্যাশা ছিল পত্রিকার পাতায় লেখাটি প্রকাশিত হবে। ভারত তথা বাঙালির দুই গর্ব রবীন্দ্রনাথ ও জগদীশচন্দ্র বসু পরস্পরের শুধু মাত্র গুণমুগ্ধ নয় তাদের মধ্যে গভীর সখ্য ছিল। মার্কিন ম্যাগাজিনটি অবশ্য রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালা গল্পটি ছাপার অক্ষরে প্রকাশ করল না, একই সঙ্গে জগদীশ বোস কে জানিয়ে দিল "ভারতীয় লেখক সম্পর্কে মার্কিন পাঠকদের কোনও আগ্ৰহ নেই"। এই অপমান জগদীশচন্দ্র ভুলতে পারেন নি, ঘটনার রেশ থেকে গিয়েছিল প্রতিবাদী বিজ্ঞানীর মননে। শুধু তাই নয় শেষ পর্যন্ত ওই পত্রিকাকে বিজ্ঞানীর কাছে ভুল স্বীকার করতে হয়।
বেশ কিছু বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য নোবেল পেলেন ১৯১৩সালে। সারা বিশ্বের মানুষের প্রশংসা পেলেন কবি, সবাই রবীন্দ্রনাথকে আরও বিশদে জানতে চায়। কেন পিছিয়ে থাকবে তাঁর লেখা প্রকাশে প্রত্যাখান করা মার্কিন পত্রিকা হারপার্স। তারা যোগাযোগ করলেন বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসুর সঙ্গে। বিজ্ঞানীকে অনুরোধ করে লিখলেন রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু লিখে পাঠাও।
জগদীশচন্দ্র পুরনো স্মৃতি ভুলে যাননি তিনি হারপার্স ম্যাগাজিনকে লিখলেন -একদিন তারা রবীন্দ্রনাথকে জানতে চায়নি, তাঁর অনুবাদ ফেরত পাঠিয়েছে। তাদের অপমানকর চিঠিটাও তিনি সঙ্গে পাঠাচ্ছেন। আশা করেন হারপার্স সেই চিঠিটাও প্রকাশ করবে।
বলা বাহুল্য শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি জগদীশচন্দ্র হেসেছেন। রবীন্দ্রনাথের নোবেলপ্রাপ্তির পরে হারপার্স পত্রিকা জগদীশচন্দ্র বসুর কাছে তাদের ভুল স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, ১৩বছর পরে পত্রিকায় জগদীশচন্দ্র বসুকে প্রত্যাখ্যানের অপমানকর চিঠিটাও ছাপতে বাধ্য হয়।
সংকলনেঃ অরুণাভ সেন।
পুস্তক ঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার, হাসিকান্না হীরাপান্না, চণ্ডী লাহিড়ী
May be an image of 2 people
All reac

No comments:

Post a Comment