নিজেকে বা সন্তানকে বদ্ দু‘আ করা : আমরা অনেক সময় অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, ক্ষোভ ও হতাশা থেকে নিজেরা নিজেদের ওপর বদদোয়া করে বসি, তা আমাদের নিজেদের জন্য ভয়ংকর হতে পারে। নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের এ কাজ করতে নিষেধ করেছেন। জাবের (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, নিজেদের সন্তান-সন্ততির বিরুদ্ধে, নিজেদের ধন-সম্পদের বিরুদ্ধে বদ্ দু‘আ কোরো না (কেননা, হয়তো এমন হতে পারে যে), তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন একটি সময় পেয়ে বসো, যখন আল্লাহর কাছে যা প্রার্থনা করবে, তোমাদের জন্য তা কবুল করে নেবেন। ’ (রিয়াদুস সালেহিন, হাদিস : ১৫০৫)
Friday, January 31, 2025
বদ্ দু‘আ যেগুলোকে বদ্ দু‘আ দেওয়ার ব্যাপারে নবীজি (সা.) সতর্ক করেছেন
সাধারণত সন্তানরা তাদের মায়ের কাছে বেশির ভাগ সময় থাকে, ফলে মাকেই বেশি বিরক্ত করে। সংসারের চাপ, মানসিক অশান্তি, অসুস্থতা, ক্লান্তির মধ্যে সন্তানরা যখন খুব বেশি জ্বালাতন করে, তখন অনেক মা তাঁদের নিজের সন্তানকে বদ্ দু‘আ দিয়ে বসেন, যা থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। কেননা মায়ের অনিচ্ছাকৃত দেওয়া এই বদদোয়াও তার বড় ক্ষতি করে ফেলতে পারে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, (পূর্ববর্তী যুগে) এক মহিলা তার ছেলেকে ডাকল। তখন তার ছেলে গির্জায় ছিল। বলল, হে জুরায়জ! ছেলে মনে মনে বলল, হে আল্লাহ! (একদিকে) আমার মা (এর ডাক) আর (অন্যদিকে) আমার নামাজ! ...(এভাবে একাধিকবার ডেকে সাড়া না পেয়ে) মা বললেন, হে আল্লাহ! পতিতাদের সামনে দেখা না যাওয়া পর্যন্ত যেন জুরায়জের মৃত্যু না হয়। এক রাখালিনী যে বকরি চরাত, সে জুরায়জের গির্জায় আসা-যাওয়া করত। সে একটি সন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো এ সন্তান কার ঔরসজাত? সে জবাব দিল, জুরায়জের ঔরসের। জুরায়জ তার গির্জা থেকে নেমে এসে জিজ্ঞেস করল, কোথায় সে মেয়েটি, যে বলে তার সন্তানটি আমার? (সন্তানসহ মেয়েটিকে উপস্থিত করা হলে) জুরায়জ বলেন, হে বাবুস! তোমার পিতা কে? সে বলল, বকরির অমুক রাখাল।
(বুখারি, হাদিস : ১২০৬)
অধীনদের বদ্ দু‘আ করা : উল্লিখিত একই হাদিসের অপর বর্ণনায় নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা তোমাদের খাদিমদের বদ্ দু‘আ কোরো না এবং তোমাদের ধন-সম্পদের ওপরও বদ্ দু‘আ কোরো না। কেননা ওই সময়টি আল্লাহর পক্ষ থেকে কবুলের মুহূর্তও হতে পারে, ফলে তা কবুল হয়ে যাবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৩২)
ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে বদ্ দু‘আ করা : অনেক সময় আমরা অধৈর্য হয়ে ব্যবহৃত জিনিসপত্রকে বদদোয়া করি। একবার নবীজি (সা.)-এর এক সফরে এক সাহাবি তাঁর উটের ওপর বিরক্ত হয়ে তাঁর উটকে অভিসম্পাত করে বসেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি এর থেকে নেমে যাও। আর অভিশপ্ত উটটি আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। তোমরা তোমাদের সন্তানদের ওপর এবং নিজের ধন-সম্পদের ওপরও বদ্ দু‘আ কোরো না। এমন যেন না হয় যে তোমরা এমন মুহূর্তে বদদোয়া করবে যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া হয় এবং তা কবুল হয়।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭৪০৫)
মুমিনকে বদ্ দু‘আ করা : হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ঈমানদারকে অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার সমতুল্য। (বুখারি, হাদিস : ৬১০৫)।
কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজ করা শোভা পায় না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর পরস্পরকে আল্লাহ তাআলার অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদ্ দু‘আ কোরো না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬)
পরিবেশকে বদ্ দু‘আ দেওয়া : প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা অনেক সময় পরিবেশকে বদ্ দু‘আ করে বসি। অথচ নবীজি (সা.) এ ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছেন। মহানবী (সা.)-এর যুগে এক ব্যক্তির চাদর বাতাসে ওলটপালট হয়ে গেলে সে বাতাসকে অভিশাপ দিল। নবী (সা.) বললেন, ‘তুমি বাতাসকে লানত কোরো না, কেননা সে নির্দেশপ্রাপ্ত। যা অভিশাপযোগ্য নয়, কেউ তাকে অভিশাপ দিলে তা অভিশাপকারীর ওপরই পতিত হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৮)
রেফাঃ মাইমুনা আক্তার
Thursday, January 30, 2025
পাতার তেজ
তেজপাতা যেভাবে শরীরের আটটি সমস্যা দূরে রাখে
তেজপাতা সুগন্ধি মসলা। কাঁচা পাতার রং সবুজ। শুকনা পাতার বাদামি। ভেষজ এই পাতার আছে নানা ওষধি গুণাবলি। রান্নার ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা দেওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু খাবারের প্লেটে চলে এলে অনেকেই বিরক্ত বোধ করেন। কিন্তু যখন জানবেন এই তেজপাতার এত গুণ, তখন আর একে অবহেলা করতে পারবেন না।
তেজপাতায় আছে ফেনোলিক যৌগ, যা ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণ রাখে। যাঁরা টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে আছেন, তাঁদের জন্য তেজপাতা বেশ উপকারী।
২. কাশি দূর করবে
গরম পানিতে দুই থেকে তিনটি তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করতে পারেন তেজপাতার চা। তেজপাতার চায়ে দূর হবে খুসখুসে কাশি। পাশাপাশি স্নায়ু শান্ত হয়, কমে উদ্বেগ। ভালো ঘুমের জন্যও উপকারী এই চা।
৩. ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, তেজপাতা ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে। এতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও ক্যাটেচিন নামক উপাদান থাকায় এটি ক্যানসার কোষকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৪. ব্যথা উপশম করে
তেজপাতা শরীরের প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। যেকোনো ধরনের মাথাব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, এমনকি বাতের ব্যথা উপশমে তেজপাতা কার্যকরী।
৫. হজমে সাহায্য করে
তেজপাতা হজমশক্তি ভালো করে। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয়। হজম রস তৈরিতে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। এর এনজাইম দ্রুত খাবার হজমে সাহায্য করে।
৬. হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
তেজপাতায় রয়েছে রুটিন, ক্যাফেইক অ্যাসিড ও শ্যালিসাইটলস, যা হার্টের দেয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রেসের ঝুঁকি বাড়ায়।
৭. ছত্রাক সংক্রমণ প্রতিরোধ ও ক্ষত নিরাময়ে
তেজপাতায় বেশি পরিমাণে ভালো ব্যাকটেরিয়া ও অ্যান্টিফাঙ্গাল রয়েছে। এটি সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে।
৮. কিডনির কিছু রোগ দূর করে
কিডনিতে ইনফেকশন বা পাথর হলে রক্তে ইউরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। তেজপাতা এই ইউরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
রেফাঃ সাজিয়া মাহমুদ
s
Monday, January 27, 2025
অতিরিক্ত লবণ হৃদযন্ত্রের শত্রু
অতিরিক্ত লবণ হৃদযন্ত্রের শত্রু। কিন্তু অনেকের কাছে কম লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার থেকে না খেয়ে থাকা ঢের ভালো। বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে জাপানের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
জিহ্বায় স্বাদ সনাক্ত করার কয়েকটি রিসেপ্টর স্নায়ু থাকে। এগুলোকে টেস্ট বাড বলে। টক, ঝাল, মিষ্টি, তেতো— স্বাদ অনুভব করার জন্য টেস্ট বাডে আলাদা অংশ থাকে। এই চামচ লবণের স্বাদ রিসেপ্টর অংশে হালকা বিদ্যুৎ পাঠায়। খুব সামান্য ভোল্টেজের। এটি শরীরের জন্য নিরাপদ। ফলে খাবারে লবণ না থাকলেও লবণের স্বাদের অনুভূতি পাওয়া যায়।
তথ্য: বিজ্ঞানপ্রিয়।
and 1 other
সদ্য বিবাহিত মেয়েকে মায়ের দেওয়া নসিহা।
কিছু নসীহা বলছি, খুব হৃদয় দিয়ে শুনবে। খুব মনে রাখবে। সবসময়ই পালন করবে।
"স্ত্রীর মুখের খুন করা হাসিটাকেই স্বামীরা বড্ড বেশি ভালোবাসে। এটাকে খুব করে অনুভব করে।"
"স্ত্রী যখন স্বামীকে তার জীবনের অস্তিত্ব রূপে গ্রহণ করবে ; স্বামীও তাকে হৃদয় রাজ্যে রাণী করে রাখবে।"
মা!
মনে রাখবে তোমার শাশুড়ী এতটা বছর এই সংসারটা আগলে রাখছেন। তার সহযোগী হয়ে যেয়ো। সংসারটা নিজের করতলে আনা বাহাদুরি না। যখন সংসারে তোমার কদর বাড়বে, তোমার যোগ্যতা প্রমাণিত হবে, আপনা আপনি এই সংসারের কর্তৃত্ব তোমার হাতে চলে আসবে। কখনও তাদের সন্তানকে তাদের থেকে পৃথক করো না। করতে যেয়ো না। আজ যেই মানুষটাকে তুমি তাদের থেকে পৃথক করবে ভাবছো, তাকে তারাই আদর-সোহাগ দিয়ে এতো বড় করেছে। প্রতিটি বিপদে তারাই পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদেরকে তাদের থেকে পৃথক না করে তুমিও তাদের সন্তান হয়ে যেয়ো। দুজন মিলে তাদের খেদমত করো। তবেই দুআ পাবে, তোমাদেরও নেক সন্তান মিলবে। মনে রাখবে আজ তুমি তাদের সাথে যেমন আচরণ করবে, তোমার সন্তানরাও তোমার সাথে এমন আচরণ করবে।
আমার দুআ সবসময়ই তোমার সাথে আছে। তোমার আচরণের মাধ্যমে তোমার শ্বশুর বাড়িতে তোমার বাবার সম্মান বাড়বে। তোমার বংশের গৌরব বৃদ্ধি পাবে।
আমার বিশ্বাস শ্বশুরের মাঝে তোমার বাবাকে খুঁজবে। শাশুড়ীর আঁচল তলে মায়ের ভালোবাসা আগলে নিবে।
বই- প্রিয়তম
লেখা- আদিব সালেহ।
d Borsha
মুলা
মুলা অনেকেই খেতে চায় না। বলতে গেলে অবহেলিত এই শীতকালীণ শব্জি। অনেকের পেটে বায়ু হয় এমন অভিযোগও এন্তার। কিন্তু আল্লাহ পাক কি গুণ ছাড়া কোন কিছু তাঁর বান্দাদের জন্য পাঠিয়েছেন?
মুলা একটি শীতকালীন সবজি। পছন্দ এবং অপছন্দ দুই ধরনের তালিকাতেই মুলাকে দেখা যায়। অর্থাৎ অনেকে মুলা খেতে পছন্দ করেন, আবার অনেকেই এটি খেতে চান না। তবে মুলা একটি পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজি, যা সুস্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
মুলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি, যা শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার সরবরাহ করে। এটি হজম শক্তি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। নিয়মিত মূলা খেলে শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তাই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় মূলা রাখা উচিত।
মুলার পুষ্টি উপাদান
মুলায় রয়েছে প্রচুর প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খাদ্য আঁশ।
প্রতি ১০০ গ্রাম মূলায় রয়েছে-
ক্যালরি: ১৬ ক্যালোরি
পানি: ৯৫%
কার্বোহাইড্রেট: ৩.৪ গ্রাম
প্রোটিন: ০.৭ গ্রাম
ফাইবার: ১.৬ গ্রাম
চর্বি: ০.১ গ্রাম
কোলেস্টেরল: ০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি৬: ০.১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি: ১৪.৮ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়াম: ১০ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম: ৩৯ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম: ২৩৩ মিলিগ্রাম
আয়রন: ০.৩ মিলিগ্রাম
এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
মুলার পুষ্টি উপাদানের উপকারিতা
ভিটামিন
মুলা ভিটামিন সি এবং বি গ্রুপের ভিটামিনের ভালো উৎস। মুলা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর একটি বড় অংশ সরবরাহ করে। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শীতে সর্দি, কাশির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
মূলায় রয়েছে ফোলেট (ভিটামিন বি৯) যা রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের সঠিক বিকাশে সহায়ক। ভিটামিন বি৬ স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে। হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে।
খনিজ উপাদান
মুলায় উপস্থিত বিভিন্ন খনিজ উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ক্যালসিয়াম হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। ম্যাগনেসিয়াম মাংসপেশি এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করে। মুলার ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সহায়ক। হাড় ভঙুর হওয়া রোধ করে। আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক। শরীরের অক্সিজেন পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফসফরাস কোষের কার্যকারিতা সঠিক রাখতে সহায়ক। শক্তি উৎপাদন এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভূমিকা
মূলায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যেমন অ্যান্থোসায়ানিন শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। ক্যারোটিনয়েডজ চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। মূলায় থাকা সালফার যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে স্তন, পাকস্থলী এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। কোষের বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর করে। ধমনির ক্ষতি রোধ করে এবং হৃদয়ের কার্যকারিতা উন্নত করে।
খাদ্য আঁশের উপকারিতা
মূলার ফাইবার হজমশক্তি বাড়ায়। ফাইবার অন্ত্রের গতিশীলতা উন্নত করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। খাদ্য আঁশ রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। খাদ্য আঁশ দীর্ঘ সময় ক্ষুধা লাগতে দেয় না, যা অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। এ ছাড়াও মুলায় ক্যালোরি খুব কম এবং এটি অতিরিক্ত চর্বি জমা রোধ করে বিধায় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ডিটক্সিফাইং এজেন্ট
মূলা প্রাকৃতিক ডিটক্সিফাইং উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার এবং কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। লিভারের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। রক্তকে পরিষ্কার করে এবং বিলিরুবিন নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে জন্ডিসও প্রতিরোধ হয়। মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। মূত্রের পরিমাণ বৃদ্ধি করে, যা মূত্রনালীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
মূলায় থাকা পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফাইবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করে। ধমনির স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
ত্বক ও চুলের যত্নে উপকারী
মূলায় থাকা ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং ফসফরাস ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। ত্বকের ব্রন ও র্যাশ দূর করতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধি উন্নত করে এবং খুশকি প্রতিরোধ করে। ত্বক উজ্জ্বল রাখতে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ দূর করতে সহায়ক মূলা।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
মূলা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। মূলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে এটি রক্তে শর্করা বাড়ায় না এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।
ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা
মূলায় থাকা সালফার যৌগ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। বিশেষ করে স্তন, পাকস্থলী এবং কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা দূর করে
মূলার রস কফ এবং গলার সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো রোগের উপসর্গ হ্রাস করে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়। পানির চাহিদা পূরণ করে মূলা। মূলার ৯৫% অংশ পানি, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়ক।
সতর্কতা
যারা নির্দিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন বা অতিরিক্ত মূলা খান, তাদের জন্য কিছু সতর্কতা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
থাইরয়েড সমস্যার ওপর প্রভাব
মুলায় থাকা গ্লুকোসিনোলেট থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত মূলা থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দিতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম বা থাইরয়েড গ্রন্থির কর্মক্ষমতা কম থাকলে মুলা এড়ানো উচিত।
হজমে সমস্যা সৃষ্টি
যাদের হজমশক্তি দুর্বল, তাদের জন্য মুলা খাওয়া সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত মুলা খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস বা বদহজম হতে পারে। এটি অন্ত্রে অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
রক্তচাপ হ্রাসের ঝুঁকি
মুলায় থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা সাধারণত ভালো। তবে যাদের রক্তচাপ খুব কম (হাইপোটেনশন), তাদের জন্য মুলা বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত মুলা খেলে মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
এলার্জি প্রতিক্রিয়া
কিছু মানুষের জন্য মূলা খাওয়া অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকের র্যাশ, চুলকানি বা লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা গলা ফোলার মতো গুরুতর প্রতিক্রিয়াও হতে পারে।
hms
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর এক সুপারফুড। এর উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।
মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গ্রহণে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।
১. মিষ্টি আলুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার ঝুঁকি কমায়। বিশেষত বর্তমানে স্তন ক্যানসারের মাত্রা বেড়ে গেছে। এর ঝুঁকি কমাতে মিষ্টি আলু সহায়ক।
২. মিষ্টি আলু পাকস্থলীর ক্যানসার ও আলসারের ঝুঁকি কমায়।
৩. হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৪. ভিটামিন এ এর অভাবে চোখে নানা সমস্যা ও রাতকানা রোগ হয়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় মিষ্টি আলু চোখ ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় মিষ্টি আলুর গুরত্ব রয়েছে।
৬. শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য পুষ্টির ভালো উৎস হিসেবে মিষ্টি আলু অনেক উপকারী। যেসব শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বিলম্বিত হয় সেসব শিশুর অনেক সময় খাবার গ্রহণে অনীহা থাকে। তাদের জন্য মিষ্টি আলুর তৈরি বিভিন্ন খাবার রাখা যেতে পারে খাদ্যতালিকায়।
৭. মিষ্টি আলু পাকস্থলীর ক্যানসার ও আলসারের ঝুঁকি কমায়।
৮. যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তাদের জন্য মিষ্টি আলু বেশ উপকারী।
৯. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।
১০. বয়সজনিত কারণে চোখের ক্ষতি(AMD) হলে মিষ্টি আলু খেলে উপকার পাওয়া যায়।
মিষ্টি আলু খাওয়ায় সতর্কতা
পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, মিষ্টি আলু অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত অনেকেই খোসাসহ পুড়িয়ে মিষ্টি আলু খান। এ ধরনের অতিরিক্ত পুড়ে যাওয়া খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশি পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে বদহজম ও পেটে ব্যথা হতে পারে।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে। এতে হাইপারকেলিমিয়া অর্থাৎ রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যে রোগীদের পটাসিয়াম খাওয়ায় বিধিনিষেধ রয়েছে, বিশেষ করে কিডনি রোগীদের খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু কম রাখাই ভালো।
এছাড়া হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগীদের অত্যাধিক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ঠিক নয়। শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট, যা কিডনিতে জমে পাথর তৈরির কারণ হতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে মিষ্টি আলু খাওয়া ঠিক নয়, যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি আলু বাদ দেওয়াই ভালো।
Sweet potatoes can help lower the risk of developing macular degeneration, an eye disease that's the most common cause of vision loss. This is because sweet potatoes are high in vitamin A and beta-carotene, which can help protect against macular degeneration.
Explanation
Vitamin A: Vitamin A is important for eye health and boosting the immune system.
Beta-carotene: The body converts beta-carotene into vitamin A. The more orange or yellow a sweet potato is, the more beta-carotene it contains.
Other health benefits of sweet potatoes include:
Lowering the risk of heart disease
Lowering LDL "bad" cholesterol
Reducing inflammation
Stabilizing blood sugar
Improving brain function
Helping with weight loss
Maintaining normal fluid levels in cells
Reducing blood pressure
Sweet potatoes are a good source of complex carbohydrates, fiber, antioxidants, and potassium. They can be eaten in both savory dishes and desserts.
Recent research has indicated that vegetables, such as celery, chicory, onion, and sweet potato, have tremendous anti-hyperuricemic and anti-gout activities.
One cup, or 200 grams (g), of baked sweet potato with skin provides (2Trusted Source):
Calories: 180
Carbs: 41 g
Protein: 4 g
Fat: 0.3 g
Fiber: 6.6 g
Vitamin A: 213% of the Daily Value (DV)
Vitamin C: 44% of the DV
Manganese: 43% of the DV
Copper: 36% of the DV
Pantothenic acid: 35% of the DV
Vitamin B6: 34% of the DV
Potassium: 20% of the DV
Niacin: 19% of the DV
In addition, sweet potatoes — especially the orange and purple varieties — are rich in antioxidants that protect your body from free radicals (3Trusted Source).
Free radicals are unstable molecules that can damage DNA and trigger inflammation.
Free radical damage has been linked to chronic illnesses like cancer, heart disease, and aging. Therefore, eating antioxidant-rich foods is good for your health (4Trusted Source).
Meal Kits
Special Diets
Healthy Eating
Food Freedom
Conditions
Feel Good Food
Products
Vitamins & Supplements
Sustainability
Weight Management
Nutrition
6 Surprising Health Benefits of Sweet Potatoes
Medically reviewed by Jerlyn Jones, MS MPA RDN LD CLT, Nutrition — Written by Erica Julson, MS, RDN, CLT — Updated on February 8, 2024
Nutritional value
Promotes gut health
Anti-cancer properties
Supports vision
Enhances brain function
Supports immunity
How to enjoy
Bottom line
Sweet potatoes are nutritious, packing a good amount of vitamin A, vitamin C, and manganese into each serving. They also have anticancer properties and may promote immune function and other health benefits.
Sweet potatoes are sweet, starchy root vegetables that are grown worldwide (1Trusted Source).
They come in a variety of sizes and colors — including orange, white, and purple — and are rich in vitamins, minerals, antioxidants, and fiber.
Not to mention, they provide a number of health benefits and are easy to add to your diet.
Here are 6 surprising health benefits of sweet potatoes.
1. Highly nutritious
Sweet potatoes are a great source of fiber, vitamins, and minerals.
One cup, or 200 grams (g), of baked sweet potato with skin provides (2Trusted Source):
Calories: 180
Carbs: 41 g
Protein: 4 g
Fat: 0.3 g
Fiber: 6.6 g
Vitamin A: 213% of the Daily Value (DV)
Vitamin C: 44% of the DV
Manganese: 43% of the DV
Copper: 36% of the DV
Pantothenic acid: 35% of the DV
Vitamin B6: 34% of the DV
Potassium: 20% of the DV
Niacin: 19% of the DV
In addition, sweet potatoes — especially the orange and purple varieties — are rich in antioxidants that protect your body from free radicals (3Trusted Source).
Free radicals are unstable molecules that can damage DNA and trigger inflammation.
Free radical damage has been linked to chronic illnesses like cancer, heart disease, and aging. Therefore, eating antioxidant-rich foods is good for your health (4Trusted Source).
2. Promote gut health
The fiber and antioxidants in sweet potatoes can be beneficial for gut health.
Sweet potatoes contain two types of fiber: soluble and insoluble (5Trusted Source).
Your body cannot digest either type. Therefore, fiber stays within your digestive tract and provides a variety of gut-related health benefits.
Certain types of soluble fiber — known as viscous fibers — absorb water and soften your stool. On the other hand, non-viscous, insoluble fibers don’t absorb water and add bulk (6Trusted Source).
Some soluble and insoluble fibers can also be fermented by the bacteria in your colon, creating compounds called short-chain fatty acids that fuel the cells of your intestinal lining and keep them healthy and strong (7Trusted Source).
Fiber-rich diets containing 20–33 g of fiber per day have been linked to a lower risk of colon cancer and more regular bowel movements (8, 9Trusted Source, 10Trusted Source).
The antioxidants in sweet potatoes may provide gut benefits as well.
Test-tube studies have found that antioxidants in purple sweet potatoes promote the growth of healthy gut bacteria, including certain Bifidobacterium and Lactobacillus species (11Trusted Source, 12Trusted Source).
Greater amounts of these types of bacteria within the intestines are associated with better gut health and a lower risk of conditions like irritable bowel syndrome (IBS) and infectious diarrhea (13Trusted Source, 14Trusted Source, 15Trusted Source).
3. May have cancer-fighting properties
Sweet potatoes offer various antioxidants, which may help protect against certain types of cancers.
Anthocyanins — a group of antioxidants found in purple sweet potatoes — have been found to slow the growth of certain types of cancer cells in test-tube studies, including those of the bladder, colon, stomach, and breast (16Trusted Source, 17Trusted Source).
Similarly, mice fed diets rich in purple sweet potatoes showed lower rates of early-stage colon cancer — suggesting that the anthocyanins in the potatoes may have a protective effect (18Trusted Source).
Extracts of sweet potato peels have also been found to have anti-cancer properties in test-tube and animal studies (19Trusted Source, 20Trusted Source).
However, studies have yet to test these effects in humans.
4. Support healthy vision
Sweet potatoes are incredibly rich in beta carotene, the antioxidant responsible for the vegetable’s bright orange color.
In fact, one cup (200 g) of baked orange sweet potato with skin provides more than double the amount of beta carotene that the average adult needs per day (2Trusted Source).
Beta carotene is converted to vitamin A in your body and used to form light-detecting receptors inside your eyes (21Trusted Source).
Severe vitamin A deficiency is a concern in developing countries and can lead to a special type of blindness known as xerophthalmia. Eating foods rich in beta carotene, such as orange-fleshed sweet potatoes, may help prevent this condition (22Trusted Source).
Purple sweet potatoes also seem to have vision benefits.
Older test-tube studies have found that the anthocyanins they provide can protect eye cells from damage, which may be significant to overall eye health (23Trusted Source).
5. May enhance brain function
Consuming purple sweet potatoes may improve brain function.
One animal study found that the anthocyanins in purple sweet potatoes could help protect the brain by reducing inflammation and preventing free radical damage (24Trusted Source).
Another study found that supplementing with anthocyanin-rich sweet potato extract could reduce markers of inflammation and improve spatial working memory in mice, possibly due to its antioxidant properties (25Trusted Source).
No studies have been done to test these effects in humans, but in general, diets rich in fruits, vegetables, and antioxidants are associated with a 13% lower risk of mental decline and dementia (26Trusted Source, 27Trusted Source).
6. May support your immune system
Orange-fleshed sweet potatoes are one of the richest natural sources of beta carotene, a plant-based compound that is converted to vitamin A in your body (28Trusted Source).
Vitamin A is critical to a healthy immune system, and low blood levels have been linked to reduced immunity (29Trusted Source).
It’s also key for maintaining healthy mucous membranes, especially in the lining of your gut.
The gut is where your body is exposed to many potential disease-causing pathogens. Therefore, a healthy gut is an important part of a healthy immune system.
Studies have shown that vitamin A deficiency increases gut inflammation and reduces the ability of your immune system to respond properly to potential threats (30Trusted Source).
No studies have been conducted to determine whether sweet potatoes, in particular, have an effect on immunity, but eating them regularly can help prevent vitamin A deficiency (31Trusted Source).
How to add them to your diet
Sweet potatoes are very easy to add to your diet.
They can be enjoyed with or without the skin and can be baked, boiled, roasted, steamed, or pan-cooked.
Their natural sweetness pairs well with many different seasonings, and they can be enjoyed in both savory and sweet dishes.
Some popular ways to enjoy sweet potatoes include:
Sweet potato chips: Peeled, thinly sliced, and baked.
Sweet potato fries: Peeled, cut into wedges or matchsticks, and baked.
Sweet potato toast: Cut into thin slices, toasted, and topped with ingredients like nut butter or avocado.
Mashed sweet potatoes: Peeled, boiled, and mashed with milk and seasoning.
Baked sweet potatoes: Baked whole in the oven until fork-tender.
Sweet potato hash: Peeled, diced, and cooked with onion and peppers in a pan.
Spiralized sweet potatoes: Cut into spirals, sautéed, and sauced.
In baked goods: Sweet potato puree adds moisture without fat.
From: healthline.
2. Daily Star Bangla
ther
Subscribe to:
Posts (Atom)